Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

খুলনায় আপেল কুলের বাম্পার ফলন

জানুয়ারি ১৪, ২০২১, ০৫:১৫ এএম


খুলনায় আপেল কুলের বাম্পার ফলন

দেখতে অনেকটা মাঝারি সাইজের আপেলের মতো। রঙ আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। খেতে অনেক মিষ্টি। অনেকটা বাউকুলের মতো দেখা গেলেও এটি মূলত আপেল কুল। এ বছর খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় আপেল কুলের পাশাপাশি নতুন জাতের কাশ্মীরি আপেল কুলচাষে এসেছে সাফল্য। ভালো দাম পাচ্ছে কৃষক।

পাঁচ বিঘা জমিতে কুলচাষ করেছেন ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া গ্রামের কৃষক মো. ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, এ বছর কুল প্রথম বিক্রি করেছি ১৮০ টাকা কেজি দরে। এখন ১৯০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের ফলন ও বেচাকেনা খুব ভালো। কৃষি অফিস থেকে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে। এ বছর উপজেলায় কুলচাষির সংখ্যা বেড়েছে। ফলনও বেড়েছে। কোনো প্রকার সমস্যা না হলে এবার পাঁচ লাখ টাকার কুল বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন। স্থানীয় আরেক কৃষক তুষার বিশ্বাস। তিনি বলেন, কুলচাষের জন্য উপযুক্ত স্থানগুলোর মধ্যে ডুমুরিয়া অন্যতম।

তিনি বলেন, যেখানে সূর্যের আলো পায়, সেসব জায়গায় আপেল কুল ভালো হয়। ভিটা জমিতে যে কুল চাষ হয়, তার চেয়ে ঘেরের বেড়ির আইলে যে কুলটা হয়, সেই কুলের রং, স্বাদ, উৎপাদন ও বাজারের চাহিদা খুবই ভালো। কুল গাছ থেকে পেড়ে বাছাই ও প্যাকেজিং করে পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকার কাওরান বাজারে আড়তে বিক্রি করেন তারা। ডুমুরিয়ার শোলমারি গ্রামের কৃষক হোসেন সরদারের জমিতে এ বছর ব্যাপক পরিমাণে কুলচাষ হয়েছে। তিনি ১৮ বছর ধরে কুলচাষ করছেন। ফলন বেশি হওয়ায় ফলের ওজনে গাছগুলো ঝুঁকে পড়েছে।

তিনি বলেন, শীতের কারণে তার কুল ভালো হয়েছে। এবার তিনি দুই বিঘা জমিতে কুলচাষ করেছেন। আশা করছেন এবার চার লাখ টাকার কুল বিক্রি হবে।

ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, ডুমুরিয়ায় এবার ১০০ হেক্টর জমিতে কুলচাষ হয়েছে। অধিকাংশ কুলই ঘেরের পাড়ে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ উপায়ে উৎপাদন হয়েছে। এখানের উৎপাদিত কুল দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। এখান থেকে ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার কুল দেশের বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি হয়। এখানে যে জাতগুলো করা হয়েছে তার মধ্যে আপেল কুল, বাউকুল, নারকেল কুল এবং সাতক্ষীরার যে কুলগুলো সেগুলো আবাদ হয়েছে।

ইতোমধ্যে আপেল কুল ও কাশ্মীরি আপেল কুলের হারভেস্টিং (গাছ থেকে ফল কর্তন) চলছে। এখান থেকে কুল সরাসরি ঢাকায় যাচ্ছে। এ বছর কুলের বাজারমূল্য ভালো। দক্ষিণাঞ্চল লবণাক্ত এলাকা। কুল লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। এ উপজেলায় ঘেরের পাড়ে ও বাণিজ্যিকভাবে আরও বাগান তৈরি হচ্ছে। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষকদের মাঠের যে সমস্যাগুলো হচ্ছে, সেগুলো মাঠে গিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করছি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর এই উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের কুলচাষ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে পাঁচ হেক্টর বেশি। এ বছর এই উপজেলা থেকে এক কোটি টাকার কুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আমারসংবাদ/জেআই