Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

সমস্যা সমাধানের চেষ্টায় চট্টগ্রাম ওয়াসা

মো. গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম

জানুয়ারি ২০, ২০২১, ০৮:৩৫ পিএম


সমস্যা সমাধানের চেষ্টায় চট্টগ্রাম ওয়াসা

চট্টগ্রাম নগরীর জামাল খান এলাকার মো. কামাল উদ্দিন খান ওয়াসার মিটারের আবেদন  করেছিলেন ১৯৯২ সালে। ২০১৫ সালে পৃথিবী ত্যাগের আগ পর্যন্ত মিটার না পেলেও  ২০২০ সালে তার ছেলে মো. ইখতেয়ার উদ্দিন খান পান সেই স্বপ্নের মিটার। মূলত মিটার সংকট এবং ওয়াসা-গ্রাহকের সমন্বয়হীনতাই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার অবতারণা হয়েছিল- এমনটাই মনে করছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মকর্তারা। সহজে গ্রাহকরা মিটার পেতে চট্টগ্রাম ওয়াসার সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মাহমুদুল হক ২০১৯ সালে অনলাইনে মিটারের টাকা জমা করে এক ঘণ্টায় মিটারের ব্যবস্থা করেছিলেন। তারপর ও গ্রাহকের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাননি বলে দাবি ওয়াসার।

ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, অধিক বিলের অপবাদ থেকে মুক্তি পেতে যেমন নষ্ট মিটার বদলে দেয়া দরকার তেমনি রেভিনিউ ওয়াটার (এনআরডব্লিউ)র ভয়াল গ্রাস থেকে প্রতিষ্ঠাকে বাঁচাতে নষ্ট মিটার পরিবর্তন ছাড়া অন্যকোনো বিকল্প হাতে নেই ওয়াসার। তাই অনেটা বাধ্য হয়েই কর্তৃপক্ষ এখন নিজ উদ্যোগেই বদলে দিচ্ছে নষ্ট মিটার। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ গত বছরের মধ্যেই সব নষ্ট মিটার বদলে দিতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগকে।

রাজস্ব বিভাগের তথ্য মতে, বিগত বছরের সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর- এ চার মাসে নষ্ট মিটারের সংখ্যা ছিলো ১০ হাজার ৫৬৪টি। গত বছরই বদলানো হয়েছে ১০ হাজার ৪৭টি।

মিটারের মান নিয়ে গ্রাহকদের নানা অভিযোগে উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসায় সংযুক্ত হচ্ছে ভালো মানের মিটার। নতুন লাগানো মিটারগুলো ইতালি ও তুরস্কের তৈরি, এমনটাই জানাচ্ছে রাজস্ব বিভাগ।

গড় বিলের অপবাদ থেকে মুক্তি পেতে ওয়াসার উদ্যোগে নষ্ট মিটার বদলে দেয়া হচ্ছে জানিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ আমার সংবাদকে বলেন, ‘যত ব্যবহার তত বিল’- একথা মাথায় রেখে আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। এতে ওয়াসার প্রতি গ্রাহকদের আস্থা যেমন বাড়বে, তেমনি নন রেভিনিউ ওয়াটার (এনআরডব্লিউ) কমে আসায় বাড়বে রাজস্বের পরিমাণ।

গ্রাহকদের সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি চলতি বছর রাজস্ব বিভাগে আরও একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে অন্যতম আলট্রাসনিক মিটার সংযোজন। সাউন্ড ওয়েবের মাধ্যমে এ মিটার ডাটা সংগ্রহ করবে। মেকানিক্যাল কোনো পার্টস না থাকায় টেম্পারিংয়ের কোনো সুযোগ এই মিটারে থাকবে না, বিধায় বাড়বে রাজস্ব। এমনটাই মনে করেন চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি।

আয় বাড়লে গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবা দিতে পারবো। মোদ্দাকথা সরকার আমাদের এখানে নিয়োগ দিয়েছে গ্রাহকদের সেবা দিতে। গত বছর করোনার প্রভাবে পুরো দেশ যখন  স্থবির, সরকারিভাবে দেশে সাধারণ ছুটি বলবৎ ছিলো, তখনো আমরা নীরবে নগরীতে স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক পানি উৎপাদন করে সরবরাহ করেছি। যে জন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও পানির সমস্যা হয়নি। যদিও আমিসহ আমাদের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাক্রান্ত হয়েছিলাম।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আগামীতে আরও প্রকল্প বাস্তবায়ন করে গ্রাহকসেবায় নব দিগন্তের উন্মোচন করবো ইনশাআল্লাহ, যোগ করেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ।

আমারসংবাদ/জেআই