Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

ভয় এখন আ.লীগের বিদ্রোহীরা!

জানুয়ারি ২৫, ২০২১, ০৭:০০ পিএম


ভয় এখন আ.লীগের বিদ্রোহীরা!
  • পাঁচলাইশে দলীয় প্রার্থীকে ঠেকাতে ৮ বিদ্রোহী
  • ফিরিঙ্গিবাজার ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা 
  • কাট্টলীতে আ.লীগের দুই প্রার্থী, ঘটেছে হত্যাকাণ্ড
  • চকবাজার ভোটের মাঠে ঘুরছে কিশোর গ্যাং
  • পাঠানটুলীতে খুন, এখনো উত্তাপ, ভোটের দিন ভয় 
  • লালখান বাজারে রক্তাক্তের সম্ভাবনা
  • পাহাড়তলীর আ.লীগের কেউ কাউকে ছাড় দেবে না

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এবার ভোটের প্রচারণার সময়েই প্রাণ গেছে দুজনের। প্রথমবারের মতো দলীয় সমর্থনে হওয়া চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর পদ নিয়ে অনেকগুলো ওয়ার্ডে সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। নগর পুলিশ (সিএমপি) এরই মধ্যে ৪১টি ওয়ার্ডের প্রায় অর্ধেক ২০টি ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যেই এসব সংঘর্ষের সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে।

৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ছাত্রলীগের দুই নেতায় সংঘাতের সম্ভাবনা : (৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজার)— এই ওয়ার্ডে মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন সাবেক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। দুজনই নগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির নেতা। তবে এই ওয়ার্ডের নির্বাচনে একটা ফ্যাক্ট হিসেবে কাজ করছেন সিডিএর চেয়ারম্যান জহিরুল আলম চৌধুরী দোভাষ। গত নির্বাচনে চারবারের কাউন্সিলর দোভাষকে পরাজিত করে কাউন্সিলর হয়েছিলেন হাসান মুরাদ বিপ্লব। এবার সেই পরাজয়ের শোধ নিতে মরিয়া দোভাষ। দোভাষের ‘প্রতিশোধ স্পৃহা’ এখানকার নির্বাচনি পরিবেশকে সংঘাতময় করে তুলতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের। এছাড়া স্থানীয় কোতোয়ালি আসনের সাংসদ মহিবুল হাসান চৌধুরীর বিশেষ আগ্রহ রয়েছে এই ওয়ার্ড নিয়ে। ফলে জয়ের জন্য এখানে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে সাবেক কাউন্সিলর বিপ্লবকে। এসব প্রাসঙ্গিকতা ইঙ্গিত করেই কিছুদিন আগে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হোসেন বাচ্চু জানান, ‘বিপ্লব গতবার নির্বাচিত হয়েছে। এবার মনোনয়ন পায়নি, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে। পরিণতি ভেবেই নিশ্চয়ই হয়েছে। আমার কথা হলো, সে যদি দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হোক। তবে অন্যভাবে যেনো তাকে হয়রানি না করা হয়। সেও দলের কর্মী।’

পাহাড়তলীতে মারমুখী আওয়ামী লীগ-বিএনপি, জসিমের পোয়াবারো : (৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী)— এই ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম জসিম নির্বাচন করছেন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে। এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন পাহাড়তলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আবছার মিয়া। অন্যদিকে বিএনপির হয়ে লড়ছেন আরেক সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস ছাত্তার সেলিম। বিএনপি অধ্যুষিত এই ওয়ার্ডে জহুরুল হক জসিমের ভালো অবস্থান রয়েছে ভোটের মাঠে। তবে তার বিরুদ্ধে কিশোরগ্যাং পালন ও দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগও রয়েছে। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও ভোটের মাঠে দুজন সাংসদের সহযোগিতা পাচ্ছেন জসিম। অন্যদিকে নুরুল আবছার মিয়াও জিততে মরিয়া। এর বাইরে নির্বাচনি প্রচারণার সময়ে ঠুনকো ঘটনা নিয়ে এক স্কুল শিক্ষক ও ম্যাজিস্ট্রেটকে হামলার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ফলে এই ওয়ার্ডে ব্যাপক সংঘাতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

কাট্টলীতে আ.লীগের দুই প্রার্থী, ঘটেছে হত্যাকাণ্ড : (১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী)— এই ওয়ার্ডে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ইসমাইল। মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করছেন আগের দুই মেয়াদে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়া মোর্শেদ আকতার চৌধুরী। চসিক নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ঘটে যাওয়া দুটি হত্যাকাণ্ডের একটি ঘটেছে এখানে। করোনায় নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ার আগে এখানে তানভীর নামে এক যুবলীগ নেতা খুন হন মোর্শেদ আকতার চৌধুরীর বাড়িতে। তিনি ছিলেন মোর্শেদের কর্মী। ইসমাইলের দাবি, হামলায় আহত হওয়ার পর ইসমাইলকে মামলার আসামি করতে মোর্শেদই তানভীরকে হাসপাতাল নিতে দেননি। তবে সদ্য সাবেক কাউন্সিলর হওয়ায় স্থানীয় রাজনীতিতে মোর্শেদের বেশ শক্ত অবস্থান রয়েছে। অধ্যাপক ইসমাইলও অবশ্য বেশ দ্রুত মাঠ গুছিয়ে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে স্থানীয় সাংসদ আফসারুল আমিনের সাথে মোর্শেদের দূরত্ব তাকে বাড়তি সুবিধা দিলেও মোর্শেদ ছাড় দেয়ার পাত্র নন।

পাঠানটুলীতে সংঘর্ষে খুন, এখনো উত্তাপ, ভোটের দিন ভয় : (২৮ নম্বর পাঠানটুলী)— এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাহাদুর। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন সদ্য সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল কাদের। চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই ওয়ার্ডে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে বাবুল নামে একজন খুন হয়েছেন। এই হত্যামামলায় বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী কাদের কারাগারে আছেন। এদিকে নির্বাচনের ঠিক আগে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের যে কয়েকটি থানায় রদবদল ঘটানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে এই ওয়ার্ডের অধীন ডবলমুরিং থানাও। কাদের গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখানে তার নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা স্থগিত হয়ে পড়লেও গত কয়েকদিন ধরে সেখানে প্রচারণা চালাচ্ছেন কাদেরের স্ত্রী নুসরাত জাহান। তার দাবি— তার স্বামীর কর্মীদের বিভিন্ন ভয়ভীতি হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বাহাদুরের কর্মী-সমর্থক ছাড়াও ডবলমুরিং থানার পুলিশ। নির্বাচনের দিনে এই ওয়ার্ডের ভোটের মাঠে উত্তাপ থাকবে বেশ।

চকবাজার ভোটের মাঠে ঘুরছে কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা : (১৬ নম্বর চকবাজার)— এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন টানা পাঁচবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়া সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু। তবে তিনি আওয়ামী লীগের কেউ নন দাবি করে চকবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগ সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়ে এখানে নির্বাচন করছেন নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ। নির্বাচনের শুরু থেকেই তুলনামূলক নিরীহ ইমেজের মিন্টুকে হঠাৎ করেই কিশোরগ্যাং লিডার ইভানসহ কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিতে দেখা যায়। ভোটের ঠিক আগে চকবাজারের ত্রাস শীর্ষ সন্ত্রাসী নুর মোস্তফা টিনুর জামিন এই ওয়ার্ডে সংঘাতের সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।

লালখানে আ.লীগের দুই প্রার্থীর বিরোধে রক্তাক্তের সম্ভাবনা : (১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ড)— এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মো. বেলাল। অন্যদিকে নির্বাচনে প্রার্থী না হয়েও এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম। এই দুই নেতার মধ্যে এখানে পুরনো বিরোধ রয়েছে। যার জের ধরে গত এক বছরে অন্তত অর্ধশত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে তাদের মধ্যে। বেলালের অভিযোগ, তাকে হারাতে মরিয়া মাসুম। অন্যদিকে মাসুম বলছেন, বেলাল তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছেন। চসিক নির্বাচনে একমাত্র এই ওয়ার্ডে পূর্বনির্ধারিত প্রচারণা চালাতে পারেননি আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। মাসুম-বেলালের সমর্থকদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় সেই ওয়ার্ডে প্রচারণার কর্মসূচি বাতিল করেই ফিরতে হয়েছিল রেজাউলকে। ভোটের দিনও এই দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে।

পাহাড়তলীর ১৩-তে আ.লীগের কেউ কাউকে ছাড় দেবে না : (১৩ নম্বর পাহাড়তলী)— এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন নগর যুবলীগের সদস্য ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী। অন্যদিকে তাকে চ্যালেঞ্জ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তারই এক সময়কার কর্মী মাহমুদুর রহমান। তবে মাহমুদের চেয়েও এখানকার মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হীরণের সঙ্গেই বেশি লড়তে হচ্ছে ওয়াসিম উদ্দিনকে। স্থানীয় রাজনীতিতে মোহাম্মদ হোসেন হীরণের তুমুল প্রভাব রয়েছে। অন্যদিকে ওয়াসিম উদ্দিনেরও এমইএস কলেজকেন্দ্রিক শক্ত অবস্থান রয়েছে। এখানে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলতে রাজি নন। প্রচার-প্রচারণার সময়েও এখানে বেশ কয়েকটি সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।

আওয়ামী লীগের বিরোধ শক্তি বাড়াচ্ছে বিএনপির : (২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর)— এই ওয়ার্ডে বিএনপির হয়ে নির্বাচন করছেন সদ্য সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাশেম। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী লায়ন ইলিয়াস পাশে পাচ্ছেন স্থানীয় সাংসদ আফসারুল আমিনের পরিবার ও থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দীঘলকে। এই ওয়ার্ডে বিএনপির বেশ শক্ত অবস্থান রয়েছে। এখানেও কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না।

জালালাবাদে দুই লীগের পুরনো বিরোধে সংঘাতের সম্ভাবনা : (২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ড)— এই ওয়ার্ডে সদ্য সাবেক কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নগর যুবলীগের সদস্য মো. ইব্রাহীম। নির্বাচনের প্রচার প্রচারণায় এখানে ছোটখাট বেশকিছু সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় কাউন্সিলর বাবুর ভালো অবস্থান রয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইব্রাহীমও ছেড়ে কথা বলবেন না। পাশাপাশি স্থানীয় রাজনীতিতে বাবুর সঙ্গে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের পুরনো বিরোধ এই ওয়ার্ডে সংঘাতের সম্ভাবনার পালে বাড়তি হাওয়া জোগাচ্ছে।

দক্ষিণ পাহাড়তলী আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ঘরোয়া লড়াই : (১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড)— এই ওয়ার্ডে সদ্য সাবেক কাউন্সিলর তৌফিক আহমদ চৌধুরীকে বাদ দিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী মোহাম্মদ শফিউল আজিমকে প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। মনোনয়নবঞ্চিত তৌফিক এখান থেকে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তিনি ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও নগর যুবলীগের সদস্য। এলাকায় তার প্রভাব-প্রতিপত্তিও রয়েছে বেশ। বিপরীতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর অবস্থান তুলনামূলকভাবে দুর্বল। এদিকে বিএনপির হয়ে এখানে লড়ছেন সিরাজুল ইসলাম রাশেদ। এই ওয়ার্ডে ভোটের রাজনীতিতে বিএনপির বেশ শক্ত অবস্থান রয়েছে। এখানে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, তৌফিক যদি না জেতেন তাহলে বিএনপি প্রার্থীই জিতে যাবে— এমন ধারণা রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অনেকের মধ্যে।

পাঁচলাইশে দলীয় প্রার্থীকে ঠেকাতে ৮ বিদ্রোহী : (৩ নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ড)— ৩ নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর কফিল উদ্দিন খান। তবে এখানে এক কফিলকে ঠেকাতে মাঠে নেমেছেন আট বিদ্রোহী প্রার্থী। জয়ের চেয়ে কফিলকে ঠেকানোই তাদের বড় টার্গেট। ফলে এই ওয়ার্ডেও সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে বেশ।

বিএনপির ঘাঁটিতে দুই ভাইয়ের লড়াই : (১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া)— বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নুরুল আলম। অন্যদিকে বিএনপির হয়ে নির্বাচন করছেন ইয়াছিন চৌধুরী আছু। আছু ও নুরুল আলম দুজনই ভাই। এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীও রয়েছে একজন। তবে এখানে আছু ও নুরুল আলম দুই ভাইয়ের মধ্যে আগে থেকেই তিক্ত সম্পর্ক ছিলো। নির্বাচনের শুরুতে আছু মাঠে না থাকলেও গত দুদিন ধরে প্রচারণা করছেন তিনি। আছু মাঠে নামতেই নুরুল আলম তার বাসার নিচে নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন তার বিরুদ্ধে। তবে আছুর অভিযোগ নুরুল আলমের মামলাটি সাজানো অভিযোগের ভিত্তিতে করা। এই ওয়ার্ডেও সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে।

আমারসংবাদ/জেআই