Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান ১৫ শতাংশ চায় বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২, ২০২১, ০৭:৫০ পিএম


তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান ১৫ শতাংশ চায় বিএসইসি

অতালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর হারের ব্যবধান ১৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আগামী বাজেটে এ বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।

গতকাল মঙ্গলবার বিএসইসির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে আয়োজিত রোড শো নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হলে করপোরেট করের ব্যবধান বাড়াতে হবে। আগে করের ব্যবধান ১০ শতাংশ থাকলেও চলতি বাজেটে সেটি কমিয়ে সাড়ে সাত শতাংশ করা হয়েছে। এতে করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এ জন্য বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে করপোরেট করের ব্যবধান বাড়াতে হবে।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে তাদের রুলস-রেগুলেশন মানতে দুই থেকে তিন শতাংশ আরও খরচ বেড়ে যাবে। এতে করে তারা তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। তাছাড়া তাদের টাকার প্রয়োজন হয় না। তাদের অতিরিক্ত অর্থ রয়েছে। যে কারণে তাদের কিছু ইনসেনটিভ দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের ইনসেনটিভ দেয়ার একমাত্র উপায় কর ছাড়। করপোরেট কর হারের ব্যবধান ১৫ শতাংশ করা হলে তারা তালিকাভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী হবে। দুবাইতে আয়োজিত রোড শো-র বিষয়ে তিনি বলেন, দুবাইতে আয়োজিত প্রতিটি প্রোগ্রামে ভিন্ন ফ্লেভার থাকবে। সেখানে বাংলাদেশকে পজিটিভভাবে তুলে ধরা হবে। আমরা আশা করি, এতে বিনিয়োগ আসবে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আলম বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং এনআরবিদের সামনে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট তুলে ধরতে হবে। রোড শো-র মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ অনেক বাড়বে এবং ক্যাপিটাল মার্কেটের ডেভেলপমেন্ট হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইকোনমিক গ্রোথ খুবই ভালো। দেশের ইকোনমিক গ্রোথের সঙ্গে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট পিছিয়ে আছে। বিভিন্ন দেশের ইকোনমিক গ্রোথের সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপ করে এবং ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে মূলত লংটার্ম ফাইন্যান্সিং হয়ে থাকে।

মাহবুব আলম বলেন, ফাইন্যান্সিংয়ের জন্য দেশি বিনিয়োগ বাড়ছে তবে বিদেশি বিনিয়োগটা কম হচ্ছে। কারণ এখানে আমাদের যারা এনআরবিরা আছেন বিদেশে, আপনারা জানেন আমাদের ইদানিং রেমিট্যান্স বেড়েছে করোনার পরও। আর করোনা-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশে ইকোনমি কিন্তু অনেক ক্রাইসিস আছে। ইনভেস্টমেন্ট বা রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট অনেক দেশে নেগেটিভ হয়ে গেছে।

আমারসংবাদ/জেআই