Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

খাপ খাইয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১, ০৮:২০ পিএম


খাপ খাইয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ হবে বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরব ও সম্মানের বিষয়। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার সফল বাস্তবায়ন। একই সঙ্গে এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছে তারই স্বীকৃতি। সামপ্রতিক বছরগুলোতে পৃথিবীতে যখনই অর্থনৈতিক সংকট এসেছে, সব সংকটের সময়ই বাংলাদেশ খুব দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছে। একইভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। একই সাথে স্বল্পোন্নত দেশ হতে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য তিনি দেশের বেসরকারি খাতের গবেষণা ও উন্নয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর আরও বেশি নজর দেয়ার আহ্বান জানান।

গতকাল অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ‘সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রজেক্টের (এসএসজিপি) অনলাইন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চেয়ারপার্সন জুয়েনা আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন। প্যানেলিস্ট ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন, বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির এবং রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ার ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তাসমূহ হ্রাস পাওয়া সাপেক্ষে বাংলাদেশকে এখন থেকেই প্রস্তুত হতে হবে। উত্তরণ পরবর্তী সময়ে জন্য প্রস্তুতির লক্ষ্যে বাংলাদেশকে এখন থেকেই বিভিন্ন দেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আলোচনা শুরু করতে হবে।

ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জন্য কি কি সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি হবে। একই সাথে সরকার বেসরকারি খাতের সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতা ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে কি কি প্রস্তুতি গ্রহণ করছে তাও তিনি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সরকার জাতিসংঘের কাছে স্বাভাবিক ৩ বছরের স্থলে আরও ২ বছর বর্ধিত সময়সহ ৫ বছর প্রস্তুতিকাল চেয়েছে। আব্দুর রউফ তালুকদার উত্তরণ পরবর্তী সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার লক্ষ্যে দেশের জনগণের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। একই সঙ্গে তিনি রপ্তানির নতুন বাজার অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রণোদনা প্রদান, স্টার্টআপসমূহকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান এবং ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নীতকরণের উপর জোর দেন।

বাণিজ্যে নতুন সুবিধা পাবে বাংলাদেশ : এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সুবিধা পাবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ার সাথে দেশে নতুন কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনন্য গর্বের প্রাপ্তি হচ্ছে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। গ্র্যাজুয়েশনের জন্য দেশ হিসেবে আমাদের মর্যাদা বেড়েছে এবং বিশ্বের কাছে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে যা বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এতে মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সুবিধা পাওয়া যাবে, দেশে বিনিয়োগে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে এবং সঙ্গে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের ফলে স্বল্পোন্নত দেশের জন্য প্রদত্ত ইন্টারন্যাশনাল সাপোর্ট ম্যাজারস যেমন-ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি মার্কেট এক্সেস, প্রিফারেনশিয়াল ট্রিটমেন্টস, ট্রিপসের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে।

আমারসংবাদ/জেআই