Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

আমানত রক্ষার গুরুত্ব

আবু রুফাইদাহ রফিক

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১, ০৮:০৫ পিএম


আমানত রক্ষার গুরুত্ব
  • রাসূল সা. বলেন, যার আমানতদারিতা নেই, তার ঈমান নেই এবং যে ওয়াদা রক্ষা করে না, তার দ্বীন নেই

যেসব উন্নত গুণাবলি মানুষকে সুশোভিত করে, আমানত রক্ষা সেগুলোর মধ্যে প্রধান ও অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি গুণ। এ গুণটি দুনিয়াতে যেমন মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক, তেমনি আখিরাতে মুক্তি ও কল্যাণ লাভের জন্য অপরিহার্য। আমানাত অর্থ অন্যের হক বা প্রাপ্য সংরক্ষণ করা এবং যথা সময়ে তা আদায় করে দেয়া। ইসলামি মৌলিক চরিত্র সমূহের মধ্যে আমানত অন্যতম।

কেউ প্রকৃত ঈমানদার হতে পারে না, যতক্ষণ না তার মধ্যে আমানতদারিতা থাকে। পবিত্র কুরআনের সূরাহ মুমিনুনে সফল মুমিনের যেসব বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম আমানত রক্ষা। আল্লাহ বলেন, ‘এবং (তারাও সফল মুমিন) যারা আমানত এবং অঙ্গীকার রক্ষা করে।’ (আয়াত ৮)। অপরদিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যার আমানতদারিতা নেই, তার ঈমান নেই এবং যে ওয়াদা রক্ষা করে না, তার দ্বীন নেই। (আহমাদ)। অন্য একটি হাদিসে এসেছে, ‘মুমিন সেই ব্যক্তি, যার অনিষ্ট থেকে মানুষের সম্পদ ও জীবন নিরাপদ থাকে।’(আহমাদ)। বস্তুত ইসলাম এক ব্যক্তির জীবন, সম্পদ ও সম্মান অপর ব্যক্তির নিকট আমানত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূল সা. বলেছেন, ‘আজকের এই দিন, মাস ও স্থান তোমাদের কাছে যেমন সম্মানিত, তেমনি তোমাদের একজনের জীবন, সম্পদ ও সম্মান অন্য জনের নিকট সম্মানিত।’

আমানত রক্ষার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা সূরা নিসার ৫৮ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যেনো তোমরা আমানতকে তার প্রকৃত হকদারের নিকট পৌঁছে দাও।’

সুতরাং প্রকৃত মুমিনের দায়িত্ব হচ্ছে, কিছুতেই আমানতের খেয়ানত না করা। এমনকি খেয়ানতকারীর আমানতও নষ্ট করা যাবে না। এ প্রসঙ্গে হাদিসের ভাষ্য হচ্ছে, যে তোমার কাছে আমানত রাখে, তার আমানত রক্ষা কর এবং খেয়ানতকারীর সাথেও খেয়ানত কর না। (আবু দাউদ)। ছয়টি আমলকে হাদিসে জান্নাতে যাওয়ার গ্যারান্টি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে আমানত রক্ষা অন্যতম। যেমন রাসূল সা. বলেন, তোমরা তোমাদের পক্ষ থেকে আমাকে ছয়টি আমলের নিশ্চয়তা দাও, আমি তোমাদেরকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দিব; সত্য কথা বলবে, ওয়াদা পালন করবে, আমানত রক্ষা করবে, লজ্জাস্থানকে হেফাজত করবে, দৃষ্টিকে সংযত করবে এবং হাত সংবরণ করবে। (আহমাদ)। অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, তোমার মধ্যে চারটি অভ্যাস থাকলে পৃথিবীর সবকিছু হারিয়ে ফেললেও তোমার কোনো ক্ষতি নেই; আমানত রক্ষা করা, সত্য বলা, উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া এবং পবিত্র আহার গ্রহণ করা।

আমারসংবাদ/জেআই