Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

‘তাঁতশিল্প ও তাঁতিদের জীবনমান উন্নয়ন করবে সরকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১, ০৭:৫৫ পিএম


‘তাঁতশিল্প ও তাঁতিদের জীবনমান উন্নয়ন করবে সরকার’

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, তাঁতশিল্প এবং তাঁতিদের উন্নয়ন করাই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। কোন ধরনের পরিকল্পনা বা নীতিমালা প্রণয়ন করলে তাঁতিদের জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব— বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সেরূপ নীতিমালা প্রণয়ন করবে। তাঁতিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং মূলধন জোগানের কষ্ট দূর করার জন্য সরকার কাজ করছে। গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজার বেসিক সেন্টার পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার সুইটিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা।

মন্ত্রী বলেন, তাঁতশিল্প বাংলাদেশের ঐতিহ্যের ধারক। এ শিল্পে প্রত্যক্ষ প্রায় ৯ লাখ এবং পরোক্ষভাবে ছয় লাখ মোট ১৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। বছরে ৪৭.৪৭৪ কোটি মিটার কাপড় উৎপাদনের মাধ্যমে তাঁতশিল্প দেশের মোট বস্ত্র চাহিদার প্রায় ২৮ ভাগ পূরণ করে থাকে। তাঁতিদের চলতি মূলধনের চাহিদা মিটাতে ‘তাঁতিদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত (ডিসেম্বর, ২০২০) ৪৬ হাজার ৬৪৫ জন প্রান্তিক তাঁতিকে ৯৬৮৭.৩৫ লাখ (৯ হাজার ৬৮৭ কোটি) টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতু সংলগ্ন মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের জাজিরায় নির্মিত হচ্ছে শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁতিদের সুতার রংসহ বিভিন্ন কাঁচামালের সুবিধা দেয়া হবে। নির্মিত হবে আন্তর্জাতিক মানের প্রর্দশনী ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র।

বাংলাদেশের বস্ত্র খাতের অধিকাংশ জোগান আসে তাঁতশিল্প থেকে। তাঁতশিল্প বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কুঠিরশিল্প। জাতীয় অর্থনীতিতে তাঁতশিল্পের ভূমিকা অপরিসীম। সর্বশেষ তাঁত শুমারি অনুযায়ী, দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদার ৪০ শতাংশ তাঁতশিল্প জোগান দিয়ে থাকে। এ শিল্পের বার্ষিক উৎপাদনের পরিমাণ ৬৮.৭০ শতাংশ। আর জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজনের দিক থেকে তাঁতশিল্প খাতের অবদান ১২২৭ কোটি টাকা। আরও জানা গেছে, দেশে বিদ্যমান এক লাখ ৮৩ হাজার ৫১২টি তাঁত ইউনিটে মোট হস্তচালিত তাঁতের সংখ্যা পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার ৫৫৬টি। এর মধ্যে চালু তাঁতের সংখ্যা তিন লাখ ১১ হাজার ৮৫১টি।

আমারসংবাদ/জেআই