Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪,

‘বঙ্গবন্ধু বাঙালির ভাগ্যোন্নয়নে স্বপ্ন দেখেছিলেন’

বিপুল মিয়া, জামালপুর

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১, ০৮:১০ পিএম


‘বঙ্গবন্ধু বাঙালির ভাগ্যোন্নয়নে স্বপ্ন দেখেছিলেন’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনেক জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করে এই হতভাগ্য বাঙালি জাতির ভাগ্যের উন্নতির জন্য স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সফল নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যকে পিছিয়ে দিতেই তাকে বাঁচতে দেয়া হয়নি।’ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর জেলা পরিষদ আয়োজিত নবনির্মিত মির্জা আজম অডিটোরিয়াম ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসে হাটবাজার, গ্রাম-গঞ্জ ঘুরে সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তারই বিচক্ষণতায় আওয়ামী লীগ বারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে। শেখ হাসিনা প্রথমবারই ক্ষমতায় এসে খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশে উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন করেন। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ছাড়াও এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুতায়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও মানুষের কর্মসংস্থানসহ সার্বিক উন্নয়নে কাজ শুরু করেন।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা ও দক্ষতার কারণেই হতদরিদ্র দেশ থেকে বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে স্থান করে নিয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী মহাপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ব্যাপক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সারা দেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনসহ বিভিন্ন কলকারখানা স্থাপনের বিষয়ে বর্তমান সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার সময় আমাদের মাথাপিছু আয় ছিলো ৫০০ ডলারের মতো। এখন বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ডলারেরও কিছু বেশি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সারা দেশে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে সঠিক সময়ে বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ও লক্ষ্য পূরণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জামালপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি, মো. মোজাফফর হোসেন এমপি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি প্রমুখ। এর আগে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জেলা পরিষদের আওতাধীন নবনির্মিত মির্জা আজম অডিটোরিয়াম ভবনের উদ্বোধনী নামফলক উন্মোচন ও ফিতা কাটেন এবং বেলুন উড়ান। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ১৬ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে এক হাজার আসন ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধাবিশিষ্ট এই অডিটোরিয়াম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে জামালপুর জেলা পরিষদ। পরে মির্জা আজম এমপিসহ অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে জামালপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী প্রকল্প ও মেলান্দহের মহিরামকুলে জামালপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমি প্রকল্পসহ বাস্তবায়নাধীন বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

আমারসংবাদ/জেআই