Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

এসএমই শিল্প বাঁচাতে ৩০ কোটি ডলার ঋণ

জাহাঙ্গীর আলম

মার্চ ৩, ২০২১, ০৭:২০ পিএম


এসএমই শিল্প বাঁচাতে ৩০ কোটি ডলার ঋণ

করোনার প্রভাব থেকে এসএমই ও কুটিরশিল্পকে বাঁচাতে সরকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে এই প্যাকেজ বাস্তবায়ন করতে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআাাইআইবি) থেকে ৩০ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে। যা তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ আট বছরে পরিশোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের সাথে সম্প্রতি একটি ঋণ চুক্তি করেছে এআইআই। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূূত্র জানায়, ২০২০ সালের মার্চে করোনা ভাইরাস মহামারি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এর প্রকোপ ঠেকাতে সরকার ৬৬ দিন ছুটি ঘোষণা করে। এতে লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। বড় ব্যবসায়ীদের মতো এসএমই ও কুটিরশিল্প বন্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস মহামারি রোধে সরকার গত এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময়ে এক লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার ২৩টি প্রণোদনা ঘোষণা করে। এর মধ্যে বড় বড় তৈরি পোশাক শিল্প থেকে ক্ষুদ্র শিল্প-উদ্যোক্তারা এবং কৃষকও রয়েছেন। এসব প্রণোদনার বড় বড় ঋণগুলো নির্দিষ্ট সময়ে আগেই বিতরণ হয়ে যায়। কিন্তু ছোট্ট ঋণগুলো বিতরণ হয়নি। পরপর দুইবার ঋণ বিতরণের সময় বাড়ালেও ঋণের অর্ধেক টাকা বিতরণ হয়নি। আবার সময় বৃদ্ধি করা হয়।

ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয় ঋণের চাহিদা থাকলেও গ্রাহকরা জামানতসহ অন্যান্য যে সব শর্ত আছে সেগুলো পরিপালন করতে পারে না। তাই স্বল্পসুদে এ ধরনের ঋণ বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি সামলাতে অর্থাৎ প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বাজেট সহায়তা প্রদান করতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং কুটির শিল্পকে পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ বিশেষ ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্রাইসিস রেসপন্স ফ্যাসিলিটি’ প্রকল্পের আওতায়  ৩০০ মিলিয়ন (৩০ কোটি) ডলার ঋণের ব্যবস্থা করেছে এআইআইবি থেকে। গত সোমবার এ ব্যাপারে একটি ঋণ চুক্তি হয়েছে। এতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এআইআইরি ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিজে পানডিয়ান। এআইআই থেকে এ ঋণ তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ আট বছরে পরিশোধ করতে হবে। সুদের হার দশমিক ৮৪ শতাংশ বলে সূত্র জানায়।

উল্লেখ্য, এআইআইবি এর আগেও ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ রুর্যাল ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজেন ফর হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০ কোটি ডলার ঋণচুক্তি করা হয়েছে। পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৫ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। এ ঋণের সুদহার এক দশমিক ৪০ শতাংশ। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালে ৩০ জেলার ৯৮টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে। উদ্দেশ্য হচ্ছে আর্সেনিক ও আয়রনের সমস্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের গ্রামে পাইপলাইনের মাধ্যমে নিরাপদ পানি সরবরাহ, হতদরিদ্রদেও মাঝে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন স্থাপন, নির্বাচিত জনগোষ্ঠীর হাইজিন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম ও হাইজিন কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া।

আমারসংবাদ/জেআই