Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

দৈনিক ৬ কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানির লক্ষ্যমাত্রা

মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম

মার্চ ৯, ২০২১, ০৭:৪০ পিএম


দৈনিক ৬ কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানির লক্ষ্যমাত্রা

দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে এক হাজার ৯৯৫ কোটি টাকার চট্টগ্রাম ওয়াসার ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের বিশুদ্ধ পানির সমস্যা লাঘব হবে। তারা দৈনিক ছয় কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানি পাবে।

ইতোমধ্যে প্রকল্পের অনেক কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, অনেক কাজ অর্ধেক শেষ হয়েছে, আবার অনেক কাজ শুরুর পর্যায়ে। পুরো প্রকল্পে ৫৫ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন পাইপলাইনের মধ্যে ৪৫ কিলোমিটার পাইপলাইনের কাজ শেষ হয়েছে। সমানতালে চলছে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং পটিয়া ও আনোয়ারায় রিজার্ভার নির্মাণের কাজ। বোয়ালখালী প্রকল্প এলাকা থেকে পটিয়া ও আনোয়ারায় ট্রান্সমিশন পাইপলাইনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আর ১০ কিলোমিটার বাকি আছে। সব মিলে পুরো প্রকল্পের ৪৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম।

সরেজমিন গিয়ে এবং প্রকল্প পরিচালকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রকল্পের মোট ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ক্রমেই দৃশ্যমান হয়ে উঠছে ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ। দৈনিক ছয় কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর। ২০২২ সালে এই প্রকল্প উৎপাদনে আসবে। মূলত দক্ষিণ চট্টগ্রামের শিল্পকারখানায় বিশেষ করে পটিয়া, বোয়ালখালী, কর্ণফুলী ও আনোয়ারায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে এ ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে।

কর্ণফুলী নদীর তীরঘেঁষে রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলার মধ্যবর্তী জৈষ্ঠপুরার ভাণ্ডালজুড়ি এলাকায় নদীর তীরে ও দুই পাহাড়ের পাদদেশে ৪১ দশমিক ২৬ একর জায়গায় চলছে ওয়াসার ভাণ্ডালজুড়ি মেগা প্রকল্প তথা পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ। একই সাথে ওই প্রকল্পের অধীনে পটিয়া বাইপাস এলাকায় পাঁচ একর জায়গায় ও আনোয়ারা দৌলতপুর মৌজায় ২ দশমিক ৯৪ একর জায়গায় পৃথক দুটো জলাধার নির্মাণের কাজও এগিয়ে চলছে। প্রকল্প ব্যয় এক হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা।

এর মধ্যে মূল প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে (ঠিকাদারের) এক হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। অন্যান্য ব্যয় হলো- ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ১০০ কোটি টাকা, প্রকল্পের বিদেশ থেকে ইক্যুইপমেন্ট ক্রয় বাবদ কাস্টমস ভ্যাট ৩০০ কোটি টাকা, আইটি ট্যাক্স ১৫০ কোটি টাকা। মূল প্রকল্পের এক হাজার ১৯৫ কোটি টাকা কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক দিচ্ছে। অবশিষ্ট টাকাগুলো বাংলাদেশ সরকারের। শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম তার ইউনিয়ন থেকে বৃহৎ এই প্রকল্পের কাজ শুরু করায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

আমারসংবাদ/জেআই