কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএসইসি

শেয়ারবাজারে তারল্য পরিস্থিতি বাড়ানো, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সমন্বয়ের জন্য উচ্চতর পর্যায়ে বৈঠকে বসবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ১৫ মার্চ বিএসইসির কার্যালয়ে বেলা ১২টায় এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। উভয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা কীভাবে বাজারের স্বার্থে আরও সমন্বয় করে কাজ করতে পারে, সেসব বিষয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও পুঁজিবাজারের জন্য স্বল্প সুদে কীভাবে ঋণ সরবরাহ বাড়ানো যায়, সেসব বিষয়ও আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এতে বিএসইসির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

এছাড়াও বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দুইজন নির্বাহী পরিচালক এবং বিএসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও পুঁজিবাজারের জন্য স্বল্প সুদে কীভাবে ঋণ সরবরাহ বাড়ানো যায়, সেসব বিষয়ও আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। জানা গেছে, দেশের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব অনেক পুরনো ইস্যু। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসি অন্যতম। অনেক সময় বাংলাদেশ ব্যাংক এমন সিদ্ধান্ত নেয়, যা বিএসইসির সঙ্গে পরস্পরবিরোধী।

সামপ্রতিক সময়ে ব্যাংকের লভ্যাংশ বিতরণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে, শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা তা ভালোভাবে নেয়নি। আর বাজারেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কিন্তু এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে বাজারের স্বার্থে কাজ করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিএসইসির পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাতে সাড়া দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এ ধরনের বৈঠকে ইতিবাচক বার্তা আসবে। যা দেশের আর্থিক খাতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থবছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। এ সময়টিতে মূলত এসব প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করে থাকেন। লভ্যাংশ ঘোষণার মৌসুমে বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে যান বিনিয়োগকারীরাসহ বাজার বিশ্লেষকরা। এ অবস্থার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেন তারা। এসব পরিপ্রেক্ষিতেই বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কিছু অবগত নয়, এমন বক্তব্য আসে বিএসইসির পক্ষ থেকে। এ ব্যাপারে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, পুঁজিবাজার সংবেদনশীল জায়গা। এখানে যেকোনো সিদ্ধান্ত দ্রুত বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করে। পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য বিএসইসি এককভাবে কিছু করতে পারবে না। প্রয়োজন বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরের সহযোগিতা। ভালো পুঁজিবাজার সবার সমন্বয় ছাড়া সম্ভব নয়। বৈঠকের বিষয়ে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম আমার সংবাদকে বলেন, বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সভায় মুদ্রাবাজার ও পুঁজিবাজার উন্নয়নে আলোচনা হবে। তবে এজেন্ডা সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

আমারসংবাদ/জেআই