Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

শুরু হচ্ছে বইমেলা

মোতাহার হোসেন, ঢাবি

মার্চ ১৬, ২০২১, ১০:০০ পিএম


শুরু হচ্ছে বইমেলা
  • বইমেলা নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না তা নজরদারি করা হচ্ছে -অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি

দেশে মহামারি করোনা ভাইরাস, চৈত্র-বৈশাখ মাসে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে শুরু হচ্ছে বাঙালির ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১’। প্রতিবছর ভাষার মাসে শহীদদের স্মরণে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু হলেও এবছর মহামারির কারণে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে। এবছর করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে কাল থেকে বইমেলা শুরু হয়ে চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।  ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ও ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এবারের বইমেলা উৎসর্গিত হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে। এবারের বইমেলার মূল থিম ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। অন্যসব বছরের মতো এবছরও বইমেলা শুরু হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও  ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গায়। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট; মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় থাকবে ৩৩টি প্যাভিলিয়ন। এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে। সেখানে ১৩৫টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দের পাশাপাশি ৫টি উন্মুক্ত স্টলসহ ১৪০টি স্টল দেয়া হয়েছে।

একক ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যারা বই প্রকাশ করেছেন তাদের বই ও বিক্রি/প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে। বইমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫% কমিশনে বই বিক্রি করবে। বাংলা একাডেমির ৩টি প্যাভিলিয়ন, শিশুকিশোর উপযোগী বইয়ের জন্য ১টি এবং সাহিত্য মাসিক উত্তরাধিকার-এর ১টি স্টল থাকবে। এবারও শিশুচত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রথমদিকে ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে। অমর একুশে বইমেলা ২০২১-এর প্রচার কার্যক্রমের জন্য একাডেমিতে বর্ধমান ভবনের পশ্চিম বেদিতে ১টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩টি তথ্যকেন্দ্র থাকবে। সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধার্থে বইমেলায় মিডিয়া সেন্টার থাকবে তথ্যকেন্দ্রের উত্তর পাশে। বর্তমান সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ধারণার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কর্তৃপক্ষ বইমেলায় তাদের নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, তথ্যকেন্দ্রের সর্বশেষ খবরাখবর এবং মেলার মূল মঞ্চের সেমিনার প্রচারের ব্যবস্থা করবে। মেলায় ওয়াইফাই সুবিধা থাকবে। মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠান সরাসরি সমপ্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মেলার তথ্যাদি প্রতিদিন সরাসরি সম্প্রচার করবে। এফএম রেডিওগুলোও মেলার তথ্য প্রচার করবে। গ্রন্থমেলার খবর নিয়ে প্রতিদিন বেশকটি বুলেটিন প্রকাশিত হবে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রতিদিন মেলার তথ্য প্রচার করবে।

এবার সোহরাওয়ার্দীতে ৩টি প্রবেশ পথ ও ৩টি বাহির পথ থাকবে। প্রত্যেক প্রবেশ পথে সুরক্ষিত ছাউনি থাকবে, যাতে বৃষ্টি ও ঝড়ের মধ্যে মানুষ আশ্রয় নিতে পারেন। বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।

মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় এলাকাজুড়ে ৩ শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বইমেলা সম্পূর্ণ পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে। সমগ্র মেলাপ্রাঙ্গণ ও দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত এবং দোয়েল চত্বর থেকে শহিদ মিনার হয়ে টিএসসি, দোয়েল চত্বর থেকে চাঁনখারপুল, টিএসসি থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে। মেলার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত ধূলিনাশক পানি ছিটানো এবং প্রতিদিন মশকনিধনের সার্বিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৯ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয়কেন্দ্রিক আলোচনার পাশাপাশি বরেণ্য বাঙালি মনীষার জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন এবং গত এক বছরে প্রয়াত বিশিষ্টজনদের জীবন ও কৃতী নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মাসব্যাপী প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রতিদিনই রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ এবং আবৃত্তি। অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০২০ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগতমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ২০২০ বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে শৈল্পিক বিচারে সেরা বই প্রকাশের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেয়া হবে। এছাড়া ২০২০ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থের জন্য ১টি প্রতিষ্ঠানকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং এ-বছরের মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত প্রতিষ্ঠানকে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ প্রদান করা হবে। এবারের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে নতুন ও পুনর্মুদ্রিত ১১৫টি বই।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আকর্ষণ বঙ্গবন্ধুর নতুন বই

এবারের অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ বঙ্গবন্ধু রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত আমার দেখা নয়াচীন-এর ইংরেজি অনুবাদ ঘঊড ঈঐওঘঅ ১৯৫২-এর আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই গ্রন্থ উন্মোচন করবেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২০ প্রদান করা হবে।

মেলায় নতুন সংযোজন

১) এবার বইমেলার মূল থিম ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। জাতির পিতার জীবন ও কর্ম অধ্যয়ন এবং স্বাধীনতার মর্মবাণী জাতীয় জীবনে যাতে প্রতিফলিত হয় তার ওপর বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে; মেলার বিন্যাসে মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩টি প্রবেশ পথ থাকবে। ৩টি প্রবেশপথ বিবেচনায় রেখে স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলো এমনভাবে বিন্যাস করা হয়েছে যাতে কোনো এলাকা প্রান্তিক বা অবহেলিত বলে প্রতীয়মান না হয়; দীর্ঘদিনের দাবির বাস্তবায়ন হয়েছে রমনা প্রান্তে একটি প্রবেশপথ ও পার্কিং-এর ব্যবস্থা করার মাধ্যমে; ঝড়ের আশঙ্কা থাকায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে; বৃষ্টি ও ঝড়ের আশঙ্কা বিবেচনায় রেখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪টি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে; এবার বৃষ্টির পানি মেলা প্রাঙ্গণ থেকে দ্রুত নিষ্কাষণের ব্যবস্থা থাকবে; লেখক বলছি মঞ্চ ও গ্রন্থ উন্মোচনের স্থান বিশেষভাবে নির্মাণ করা হয়েছে; নামাজের ঘর, টয়লেট ব্যবস্থা সম্প্রসারিত ও উন্নত করা হয়েছে। মহিলাদের জন্য সম্প্রসারিত নামাজ ঘর থাকবে; পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কাছে একটি ব্রেস্টফিডিং কর্নার থাকবে; প্রতি বছরের মতো এবারও হুইল-চেয়ার সেবা থাকবে। তবে গতবারের চেয়ে বেশি সংখ্যায় স্বেচ্ছাসেবী এ কাজে নিয়োজিত থাকবেন। এবার হুইল চেয়ারের সংখ্যা বাড়বে; সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দুটি ফুডকোর্ট থাকবে। এদিকে অমর একুশে গ্রন্থমেলার সাবির্ক বিষয় নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, অমর একুশে বইমেলা ২০২১-এর সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ প্রমুখ। প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বাংলা একাডেমির উদ্যোগে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির মাসজুড়ে প্রাণের এই মেলা চললেও এবার করোনা মহামারির কারণে আগামী ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। দেশে গত কদিনে করোনার প্রকোপ বাড়ছে এর সঙ্গে সামনে বৈশাখ মাস, ঝড়-বাদলের দিন। মহামারির প্রকোপ বাড়তে থাকলে শুধু বইমেলা না, সমগ্র জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, কোভিড পরিস্থিতি এবং অকালের বই মেলায় ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডবের পাশাপাশি করোনার ভেতর দিয়ে আমাদের এ আয়োজন চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাই ‘মাস্ক নেইতো, বইমেলা নেই’— এই নীতিতে আমরা মেলা পরিচালনা করবো। এসময় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার স্টল নির্মাণের ক্ষেত্রে কোভিড পরিস্থিতি ও ঝড়-বৃষ্টির বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।

বইমেলা নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না তা নজরদারি করা হচ্ছে

মেলাকে কেন্দ্র করে কোনো নাশকতার ষড়যন্ত্র কেউ করছে কি না তা নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণপদ রায়। তিনি বলেন, কোনো বিপর্যয় ঘটানোর জন্য কোনো গোষ্ঠী কাজ করছে কি না সে ব্যাপারেও আমরা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে মিলে কাজ করছি। অমর একুশে বইমেলার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডিএমপির অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। প্রকাশক ও লেখকদের ওপর অতীতে অনেক হামলার ঘটনা ঘটেছে, এবার এরকম কোনো হামলার আশঙ্কা রয়েছে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, এই বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে। বইমেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়টি মাখায় রেখে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে, তারা তথ্য সংগ্রহ করছেন। তিনি বলেন, প্রতি বছর আমাদের যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, এবারো একই ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রতি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে থাকে, নির্দিষ্ট প্রবেশ পথ থাকে, নির্দিষ্ট বাহির পথ থাকে। যারা বইমেলায় আসেন তারা প্রবেশ পথে আমাদের সহযোগিতা করেন। সবার স্বার্থেই এই নিরাপত্তাব্যবস্থা করে থাকি। তিনি বলেন, একটি সিসিটিভি কাভারেজ থাকে। নির্দিষ্টসংখ্যক প্রবেশ গেট আমরা চিহ্নিত করেছি, এবার একটি অতিরিক্ত প্রবেশ পথ যুক্ত করেছি, যেটি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট অথবা শিখা চিরন্তন গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে। আপনারা জানেন, রাস্তাঘাটের উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। এজন্য অতিরিক্ত গেট রাখা হয়েছে। এবার কিছু কিছু নিরাপত্তা স্ট্র্যাকচার পরিবর্তন করা হয়েছে। আমাদের মোবাইল পেট্রোল থাকবে, ফুট পেট্রোল থাকবে। যারা বইমেলায় আসবেন শুধু তারাই ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন। আমরা বাংলা একাডেমির সঙ্গে কথা বলেছি। মেলা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের জন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষের একটি ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

আমারসংবাদ/জেআই