Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

জাতির পিতার জন্মদিন

মার্চ ১৬, ২০২১, ১০:২৫ পিএম


জাতির পিতার জন্মদিন
  • আজ সেই মহান নেতার শুভ জন্মদিন। এই দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হয়ে আসছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়ার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অসামপ্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ নীতি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীরা তার রেখে যাওয়া দলের নেতৃত্বেই জনগণের সমর্থনে বর্তমান সরকার টানা তৃতীয়বারের মতো দেশ পরিচালনা করছে। আমরা মনে করি, সরকারের সামনে প্রধান কাজটিই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাওয়া।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি, ইতিহাসের মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন আজ। জাতি আজ সানন্দচিত্তে তার জন্মোৎসব উদযাপন করবে। অবশ্য এই উৎসবের আড়ম্বর অনেকটাই সীমিত করে ফেলা হয়েছে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ করোনা ভাইরাস উদ্ভুত পরিস্থিতিতে। তবে গণমাধ্যমগুলো দিবসটির মহিমা ও তাৎপর্য তুলে ধরবে নানা আঙ্গিকে। সংবাদপত্রসমূহ প্রকাশ করছে বিশেষ ক্রোড়পত্র, টিভি চ্যানেলগুলো প্রচার করছে নানাধরনের অনুষ্ঠান।

একজন নেতা তার দেশের মানুষকে মর্যাদাপূর্ণ আত্মপরিচয়ের আলোকে কী অপরিসীম সাহসিকতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন তার উজ্জ্বল উদাহরণ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশের সর্বস্তরের মানুষ তথা আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার ভালোবাসা, হূদয় উজাড় করা শ্রদ্ধা ও সম্মানে তিনি অভিষিক্ত হয়েছেন। সমগ্র দেশের মানুষ অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে, বিশ্বাসের কারণে তার ওপর অর্পণ করে পূর্ণ আস্থা, তাকে স্থান দেয় তাদের হূদয়ে। আজ এই দিনে আমরা পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি এই মহান নেতাকে। স্মরণ করি তার কাজ, তার আদর্শকে।

তিনি এদেশে জন্মেছিলেন, এ দেশের মানুষকে ভালোবেসেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন, এটা আমাদের সৌভাগ্যের কথা। তিনি নিরলস পরিশ্রম করে চারণের মতো সারাদেশ ঘুরে মানুষকে জাগিয়েছেন, পাকিস্তানি স্বৈরাচারী সামরিক শাসকদের জেলে বছরের পর বছর বন্দি থেকেও অকুতোভয় বীরের মতো নিজ সঙ্কল্পে অটল থেকেছেন। মুক্তির মহামন্ত্রে জাতিকে জাগিয়েছেন এবং স্বাধীনতার পথ ধরে জাতিকে পৌঁছে দিয়েছেন স্বপ্ন পূরণের চূড়ান্ত লক্ষ্যে- এ কৃতিত্ব একান্তভাবে তারই। কারণ, তিনিই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের রূপকার এবং প্রতিষ্ঠাতা। দেশের মানুষের স্বার্থের বিষয়ে তিনি সবসময় ছিলেন আপসহীন। পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তিনি সব সময় ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থ। কখনো কোনো কিছুর বিনিময় বা প্রলোভনে বা ভয়ে বিন্দুমাত্র নতিস্বীকার করেননি।

সত্তরের নির্বাচনে জাতির অবিসংবাদিত নেতারূপে তিনি অভিষিক্ত হন। গোটা জাতিকে তিনি ঐক্যবদ্ধ করেন। শুরু হয় এক অভূতপূর্ব আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন। দেশের মানুষকে তিনি মুক্তি ও স্বাধীনতার মন্ত্রে ঐক্যবদ্ধ করেন। এরই একপর্যায়ে আসে মহান একাত্তরের ৭ মার্চ। সেদিন ঢাকার ঐতিহাসিক জনসমুদ্রে তিনি যে ভাষণ দেন সেটাও হয়ে ওঠে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অত্যুজ্জ্বল মাইলফলক। তিনি ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু। তিনিই তার নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতিকে পৌঁছে দিয়ে গেছেন স্বাধীনতার স্বর্ণ তোরণে।

আজ সেই মহান নেতার শুভ জন্মদিন। এই দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হয়ে আসছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়ার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অসামপ্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ নীতি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীরা তার রেখে যাওয়া দলের নেতৃত্বেই জনগণের সমর্থনে বর্তমান সরকার টানা তৃতীয়বারের মতো দেশ পরিচালনা করছে। আমরা মনে করি, সরকারের সামনে প্রধান কাজটিই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাওয়া।

আমারসংবাদ/জেআই