Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

বাড়তি দামেই তেল-চাল বিক্রি

এম এ আহাদ শাহীন

মার্চ ১৯, ২০২১, ০৭:৩৫ পিএম


বাড়তি দামেই তেল-চাল বিক্রি

রাজধানীতে সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজিতে দাম কমেছে ১০-১৫ টাকা। আলুর দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। এছাড়া বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে তেল ও চাল।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির প্রভাবে দেশের বাজারে তেলের দামে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটার ৫ টাকা বেড়ে প্রতি লিটার বিক্রয় হচ্ছে ১৩৫-১৪০ ও খোলা সয়াবিন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার পাম ওয়েল ১০৮ টাকায়। প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চালের দাম চড়া। এক কেজি মোটা চাল কিনতেই এখন খরচ হচ্ছে ৪৮-৫২ টাকা। আরেকটু ভালো মানের চাল কিনতে হলে ভোক্তাকে গুণতে হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও তা এখনও সম্ভব হয়নি। মুরগির দামও এখন চড়া। এদিকে বাজারে নতুন আসা সজনে, পটল ও ঢেঁড়সের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে। তবে অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সজনে কেজি ৬০-৮০ টাকা পর্যন্ত। পটল ও ঢেঁড়স কেজিতে কমেছে ১০-২০ টাকা।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০-৪৫ টাকা। গত সপ্তাহে দুই দফা দাম বেড়ে ৫০-৫৫ টাকা বিক্রি হয়েছিল। আলুর দাম গত সপ্তাহে ছিল ১৮ টাকা যা ২ টাকা বেড়ে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী আবুল কাশেম আমার সংবাদকে বলেন, পেঁয়াজের একটু দাম বাড়ায় গত সপ্তাহে কিছু ক্রেতা বাড়তি কিনে মজুদ করে। এতে দাম বেড়ে গিয়েছিল। এখন কমলেও বিক্রি কম হচ্ছে।

তিনি বলেন, এবার পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার সম্ভাবনা খুব কম। কিছুদিন পর ভালো মানের নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। তখন দাম আরও কমে যাবে। রোজায় দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

এদিকে গত সপ্তাহে বাজারে নতুন আসা সজনের ডাটার কেজি বিক্রি হচ্ছিল ২০০-২২০ টাকা। যা এখন ১২০-১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দাম কমার পাশাপাশি সরবরাহও বেড়েছে। কিছুটা দাম কমেছে পটল ও ঢেঁড়সের। গত সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বরবটি। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২৫, শশা ২০-৩০, শিম ৩০-৪০, বেগুন ৩০-৪০, পেঁপে ৩০-৩৫, গাজর ২০-৩০ টাকা। কয়েক সপ্তাহ ধরেই এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা। লাউ ৪০-৬০ টাকা পিস।

হাতিরপুলের এক ব্যবসায়ী বলেন, শীতের সবজির সরবরাহ এখনও ভালো আছে। তাই তুলনামূলক কম দামেই সবজি কিনতে পারছেন ক্রেতারা। তবে আর বেশিদিন এই দামে সবজি পাওয়া যাবে না। টমেটো, কপির সরবরাহ কমে এলেই সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে যাবে।

বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ এবং লাল লেয়ার ১৮০-২০০ টাকা। তবে পাকিস্তানি সোনালি বা কক ২০ টাকা কমে ৩২০-৩৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায় অথচ গত সপ্তাহে ছিল ৫৭০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রয় হচ্ছে ৮০০ টাকা। রুই মাছের দাম (আকারভেদে) ১৮০-৩৫০, মাগুর ৪০০-৬০০, শিং (আকারভেদে) ৩০০-৪৫০, মৃগেল ১১০-১৫০, পাঙ্গাস ১২০-১৫০, ইলিশ (আকারভেদে) ৮৫০-হাজার টাকা, চিংড়ি ৫০০-৬০০, বোয়াল ৪০০-৫০০, কাতল ১৭০-২৮০, ফোলি ৩০০-৪০০, পোয়া ২০০-২৫০, পাবদা ১৫০-২৫০, টেংরা ১৮০-২০০, টাটকিনি ১০০, তেলাপিয়া ১৪০, সিলভার কার্প ১২০-১৪০, দেশি কৈ ১৫০-৭০০, কাচকি ও মলা ২৫০-৪৫০, আইড় ৫০০, রিটা ২২০ ও কোরাল ৩০০-৫০০, গুড়া বেলে ১২০, রূপচাঁদা ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আমারসংবাদ/জেআই