Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

গাড়ি সংকটে পরিদর্শনে বিঘ্ন

জাহাঙ্গীর আলম

মার্চ ২২, ২০২১, ০৮:২০ পিএম


গাড়ি সংকটে পরিদর্শনে বিঘ্ন
  • প্রকল্প পরিচালকরা নিজের গাড়িতে কাজ দেখিয়ে বিদায় জানান কর্মকর্তাদের
  • ল্যাব টেস্টের জন্য প্রকল্পে ব্যবহূত উপকরণ দীর্ঘদিন পরিবহন করা যাচ্ছে না
  • সঠিকভাবে কাজ না হওয়ায় কিছু প্রকল্পের কাজ ভেস্তে যাচ্ছে

সরকার প্রতি অর্থবছরে উন্নয়নকাজে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। এসব কাজ সময়মতো ও কোয়ালিটিসম্পন্ন হচ্ছে কি-না তা দেখার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সারা বছরই বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করে। কিন্তু কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের জন্য গাড়ি কেনার একটি প্রকল্পে দুই বছর আগে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান অনুমোদন দিলেও শর্ত পূরণের ঠেলাঠেলিতে আটকে আছে। ফলে কর্মকর্তারা গাড়ির অভাবে ঠিকমতো প্রকল্প পরিদর্শন করতে পারছেন না।

এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোনো কোনো প্রকল্প পরিচালক তাদের গাড়িতে পরিদর্শনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মনের মতো কাজ দেখিয়ে বিদায় জানাচ্ছেন কর্মকর্তাদের। এর ফলে ইচ্ছা থাকলেও ভালো করে প্রকল্প পরিদর্শন করতে পারছেন না কর্মকর্তারা। প্রকৃত চিত্রও তুলে ধরা যাচ্ছে না। তাই তো কাজ শেষ না হতেই কোনো কোনো প্রকল্পের কাজ ভেঙেচুরে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী আমার সংবাদকে বলেন, ‘এ প্রকল্পের ডিপিপিতে কিছু ভুলত্রুটি ছিলো। যার ফলে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভায় কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আর্থ-সামাজিক বিভাগ থেকে। সেগুলো সংশোধন করা হয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই জিও জারি হবে। যাতে প্রকল্প পরিদর্শনে সুবিধা হয়। কোয়ালিটি নিশ্চিত করা যায়। তিনি আরও বলেন, প্রকল্প পরিদর্শন রুটিন ওয়ার্ক। তারা প্রতিবেদন তৈরি করে ত্রুতি-বিচ্যুতি থাকলে সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়। একই সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুলিপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে দেয়া হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানও সম্প্রতি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘অবশ্যই আইএমইডি মাঠে কাজ করে। পরিদর্শনে গিয়ে সঠিক চিত্র তুলে ধরে। ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে রিপোর্ট করে সংশোধনের জন্য সুপারিশ দেয়া হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে।’ এ ক্ষেত্রে কাজের কোয়ালিটি নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানান তিনি।  

সূত্র জানায়, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের মান যাচাই করতে ও কোয়ালিটি মানা হচ্ছে কি-না তার বাস্তব চিত্র জানতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সারা বছরই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করে। সরকারের ৪৮টি বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের কাজকে আইএমইডি আটটি সেক্টরে ভাগ করে সচিব থেকে সহকারী পরিচালক পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। সরকারের এসব কাজ করতে কর্মকর্তাদের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘স্ট্রেনদেনিং মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন ক্যাপাবিলিটিজ অব আইএমইডি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ছয়টি মনিটরিং জিপ সংগ্রহ করা হয়েছিল। প্রকল্পটি গত জুনে শেষ হওয়ায় গাড়িগুলো পরিবহন পুলে জমা দেয়া হয়েছে। এর ফলে বর্তমানে আইএমইডিতে কোনো গাড়ি নেই। অপরদিকে, ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর ‘ফলাফলভিত্তিক পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন পদ্ধরি কার্যকর ব্যবহারে আইএমইডির সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জুনে বাস্তবায়ন করার কথা। বাস্তবায়নকারী সংস্থা আইএমইডি। প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজ হিসেবে ধরা হয়েছে— এডিপিভুক্ত সকল চলমান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকদের প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা। টেকসই প্রশিক্ষণ নিশ্চিতকরণে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইএমইডিতে কর্মরত জনবলের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিকরণ। প্রকল্প পরিবীক্ষণ কার্যক্রম দ্রুত সম্পাদনে আইএমইডির লজিস্টিক সুবিধা বৃদ্ধিকরণ। এছাড়া এডিপিভুক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবহূত সামগ্রী ও উপকরণের গুণগতমান যাচাইয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ।

কিন্তু অর্থ বিভাগের জনবল কমিটির সুপারিশ প্রাপ্তির পর প্রকল্পটির অনুমোদন সংক্রান্ত প্রশাসনিক আদেশ জারি নিয়ে চলছে জটিলতা। আইএমইডি ২০১৯ সালের ৩ জুলাই পুনর্গঠিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি)  পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক বিভাগে পাঠালেও সরকারি আদেশ জারির চিঠি ইস্যু করেনি। বরং ২০ দিন পরই অর্থাৎ ২৩ জুলাই আর্থ-সামজিক বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধানের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে পুনর্গঠিত ডিপিপিতে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে, তা নিরসন করা আবশ্যক। এর ১৫ দিন পরই অর্থাৎ ৮ আগস্ট আইএমইডির সরকারি পরিচালক ফারজানা হোসেনের সই করা চিঠিতে আবার পুনর্গঠিত ডিপিপি জমা দিয়ে সরকারি আদেশ জারির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। কিন্তু অনুমোদনের প্রায় এক বছর চলে গেলেও আইএমইডি থেকে পাঠানো পুনর্গঠিত ডিপিপি মনোপূত না হওয়ায় অর্থাৎ শর্ত যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি বলে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর আর্থ-সামজিক বিভাগ থেকে আবার জরুরি ভিত্তিতে পুনর্গঠিত ডিপিপি জমা দিতে অনুরোধ জানিয়েছে। তাদের এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে দুই মাস পরে গত ২৯ ডিসেম্বর গাড়ি কেনার প্রকল্পের সরকারি আদেশ জারির লক্ষ্যে পুনর্গঠিত ডিপিপি জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। তাতে ব্যয় ২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ঠিক রেখে মাঝে অনেক সময় চলে যাওয়ায় বাস্তবায়নকাল ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন ধরা হয়েছে। তাতে কোনো পরিবহন না কিনে আউটসোর্সিংয়ে ৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, প্রশিক্ষণ ব্যয় চার কোটি ৪৫ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে। তারপরও কোনো উত্তর পায়নি আইএমইডি। এর ফলে কর্মকর্তারা গাড়ির অভাবে ঠিকমতো প্রকল্প মনিটরিং করতে পারছেন না। মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে পঞ্চম গ্রেডের উপ-সচিব পর্যন্ত গাড়ি সুবিধা পান। সাথে মেরামতের জন্য মাসিক ভাতাও পাচ্ছেন। এ ছাড়া পরিদর্শনে গেলে বিমানভাড়াসহ অন্যান্য সুবিধাও পান।

কিন্তু পঞ্চম গ্রেডের নিচের কর্মকর্তারা কোনো গাড়ির সুযোগ পান না। আইএমইডির গাড়িতেই তারা প্রকল্প মনিটরিংয়ে যান। অনেক সময় গাড়ি না থাকলেও বিমানের সুবিধা পান। কিন্তু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজ চলমান থাকলেও যখন তখন যেকোনো সময়ে যেতে পারেন না। এর ফলে ঠিকাদাররা নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে থাকেন। তা নজরে আসে না। সম্প্রতি মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদীখানের তালতলা বাজার থেকে বয়রাগাদী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নিম্নমানের তিন নম্বর ইট ও সুরকি দিয়ে সড়ক তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে এলজিইডির এ কাজটি করছে হলি বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভেলপারস নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

শুধু তাই নয়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক তাদের গাড়িতে নিয়ে মনের মতো করে আইএমইডির কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘুরে বেড়ান। কোনো এক প্রকল্পে পাঁচটি উপজেলা পর্যন্ত ঘুরানো হয়েছে। তারা সাধারণত ভালো রাস্তায় ঘুরে দেখান। কিন্তু পার্বত্য জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং নদীবিধোত রিমোট এলাকায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজ হলেও তা দেখার সুযোগ হয় না। ফলে তা কোয়ালিটিসম্পন্ন হচ্ছে কি-না তা দেখার সুযোগ হয় না। এ জন্য টেকসই হচ্ছে না। অল্প সময়ের মধ্যে ভেঙেচুরে চৌচির হয়ে যাচ্ছে বলে তারা জানান। একই সাথে উন্নয়নকাজ কোয়ালিটিসম্পন্ন হয় কি-না তা যাচাই করতে প্রকল্পে ব্যবহূত উপকরণ (ইটের খুয়া, বালু, পাথর, রড) বুয়েটসহ বিভিন্ন ল্যাবে টেস্ট করতে হয়। কিন্তু পরিবহনের অভাবে তা করা যাচ্ছে না। এতে একদিকে সরকারের অর্থের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ।

সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রকল্পের মনিটরিং ও মূল্যায়ন জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা দৃঢ়ভাবে অনুভব করে ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যুরো (পিআইবি) সৃষ্টি করে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়। পরে একে প্রজেক্ট মনিটরিং ডিভিশন নামে একটি স্বতন্ত্র বিভাগ করা হয়। ১৯৮৪ সালে একে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ গঠন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ন্যস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে কাজের পরিধি অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজ দেখভালো করতে আইএমইডিকে আটটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে এক নং পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন সেক্টরের আওতায় রয়েছে— বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন। ২ নং সেক্টরে রয়েছে— সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, সেতু বিভাগ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন। তিন নং সেক্টরের আওতায় রয়েছে— স্থানীয় সরকার বিভাগ, জাতীয় সংসদ সচিবালয় এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ। চার নং সেক্টরে— কৃষি মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। পাঁচ নং সেক্টরে— স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়। ছয় নম্বরে রয়েছে— প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

সাত নং সেক্টরে আওতায়— ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এবং ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া আট নং সেক্টরে রয়েছে— পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরে এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দেড় হাজারেরও বেশি প্রকল্প বাস্তবায়নে দুই লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। করোনার কারণে কাজে বিঘ্ন ঘটায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে। সাধারণ কাজের অগ্রগতি কম এমন প্রকল্পই বেশি পরিদর্শন করা হয় প্রতি বছরে। অন্যান্য বছরের মতো এবারো বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করা হচ্ছে। সমাপ্ত প্রকল্পের ওপর প্রভাব মূল্যায়ন (ইমপ্যাক্ট ইভ্যালুয়েশন) ও চলমান প্রকল্পের ওপর নিবিড় পরিবীক্ষণ (ইনডেপ্ত ইভ্যালুয়েশন) করা হয়। এই দুইটি কাজ লোকবলের অভাবে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে করা হয়। এ ছাড়া অগ্রগতি জানার জন্য তালিকা করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পও পরিদর্শন করা হয়। এটি নিয়মিত কাজ তাতে ছোট প্রকল্প থেকে শুরু করে মেগা প্রকল্পও (ফাস্ট ট্র্যাক) পরিদর্শন করা হচ্ছে। 

আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী থেকে শুরু অতিরিক্ত সচিব, মহাপরিচালক, পরিচালকও পরিদর্শনে যাচ্ছেন। সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প ও ‘বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, মুন্সিগঞ্জ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

আমারসংবাদ/জেআই