Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

বাঙালি মুক্তির ৫০ বছর

আসাদুজ্জামান আজম

মার্চ ২৫, ২০২১, ০৮:১৫ পিএম


বাঙালি মুক্তির ৫০ বছর

রক্তে কেনা স্বাধীনতার ৫০ বছরে পর্দাপণ করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানি শাষকগোষ্ঠীর ২৩ বছরের শোষণ আর নির্যাতনে পিষ্ট মুক্তিকামী বাঙালি বঙ্গবন্ধুর বজ্রনিনাদ ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে স্বাধীনতার চূড়ান্ত শপথ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালের আজকের দিনে বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিল একটি ভূখণ্ড, যার নাম বাংলাদেশ। এরপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বীরের জাতি হিসেবে লাল-সবুজের পতাকা বিশ্ব মানচিত্রে অনুপ্রেরণার ছবি হিসেবে স্থান পায়। রক্তের মধ্য দিয়ে অর্জিত সেই স্বাধীনতার ৫০ বছর আজ। যে মহানায়কের নেতৃত্বে এসেছিল দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছরও। একই সঙ্গে এ বছর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে বাংলাদেশ। এ বছর তিনটি মাহেন্দ্রক্ষণ একই সঙ্গে উদযাপন করছে জাতি। জাতি হিসেবে যা অত্যন্ত গৌরবের। যে স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে বাংলাদেশ, ৫০ বছরে সেই স্বপ্নের পথেই রয়েছে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয়ভাবে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ১০ দিনের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বর্ণিল এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা জানাতে আসছেন বিশ্বনেতারা। ইতোমধ্যে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহামেদ, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং ওইসব রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সশরীরে অংশ নিয়েছেন। আজ শেষ দিনের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতোমধ্যে তার আগমনকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন উদযাপন কমিটি। অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ির’ দেশ আখ্যা দেয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে সব ধরনের রূপরেখা ঠিক করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে সপরিবারে তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তিকেও হত্যা করা হয়। কিন্তু তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রাপ্তি নিয়েই এবার জাতি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা যোগ্যতা নির্ধারণের তিনটি সূচকের ২০১৮ ও ২০২১ সালের মূল্যায়নে মান অর্জন করায় এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশ পায় বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) সম্প্রতি এ সুপারিশ করেছে। বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের সুপারিশ করার এই ঘটনাকে বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ভিয়েতনামের উন্নয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের মিল আছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ভিয়েতনামের উন্নয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের যে তুলনা দেয়া হয়েছে, তার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই দেশগুলোও রপ্তানিভিত্তিক উন্নয়নের পথে হেঁটে আজ এত দূর গেছে। আধুনিক ইতিহাসে দেখা গেছে, রপ্তানিমুখী উন্নয়নের বদৌলতে অতি নিম্ন আয়ের দেশও মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হতে পারে। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সফল অর্থনীতি হিসেবেও আখ্যা দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ২০২১ সালে স্বাধীনতা লাভের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছে। এই মহান উৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত এবং একটি মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই যাতে কেউ আমাদেরকে দরিদ্র ও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে উল্লেখ করে অবহেলা করতে না পারে।’

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি একটি প্রবন্ধে লিখেছেন, বিজয় অর্জনের পর ৫০ বছরের পথচলায় দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। একাত্তরে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি স্বতন্ত্র দেশ পেয়েছি, আর তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে তুলতে চলেছি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালির মুক্তির দূত। বঙ্গ বা বাংলার সত্যিকারের আপনজন হয়ে উপাধি পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। অদম্য সাহস আর বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, ত্যাগ, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকা সম্বলিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনক হয়েছিলেন। জাতির পিতার সকল অনুভূতি ছিলো এ দেশের মানুষের প্রতি। তাই তো বাঙালি জাতির প্রতি তার গভীর ভালোবাসা, মমত্ববোধ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও আদর্শের দ্বারা সমগ্র বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত আত্মত্যাগে দীক্ষিত করে তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্বে পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি ৭ মার্চ এসেছিল শত বছরের বঞ্চনার শিকার পথ হারানো বাঙালির আলোকবর্তিকা হয়ে। সেদিন একটি কণ্ঠের ধ্বনিতে সুর মেলায় গোটা জাতি, হয় পরাধীনতামুক্ত। আজো প্রতিটি বাঙালি প্রাণে বাজে ৭ মার্চে সে বজ্রকণ্ঠ। সেদিনের ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিশপথে বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারত সরকারের আন্তর্জাতিক গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গত ২২ মার্চ ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে এ পুরস্কারের জন্য বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক গান্ধী শান্তি পুরস্কার দিয়েছে ভারত সরকার। গান্ধী শান্তি পুরস্কার ভারত সরকার থেকে মহাত্মা গান্ধীর নামাঙ্কিত একটি বার্ষিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ১৯৯৫ সালে মহাত্মা গান্ধীর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে গান্ধীজির মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারত সরকার এ পুরস্কার চালু করে। ২০১৯ সালে এ পুরস্কার পেয়েছিলেন ওমানের সুলতান কাবুস বিন সাইদ আল সাইদ। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের আগের রাতে  ২৫ মার্চ বাঙালি জাতির ইতিহাসের কালো দিন। মানবসভ্যতার ইতিহাসের এক কলঙ্কিত দিন।  মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে। বাঙালিদের কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে পাকিস্তানি শাসকদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতেই চালানো হয় হামলা। পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে ভয়াল বিভীষিকাময়। এরপর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে গ্রেপ্তারে পূর্বমুহূর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।

হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যেকোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেয়া হয়। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এই ঘোষণা নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিলো না। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ‘ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছে, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।’

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টসে ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোষণায় বলা হয়, ‘এই-ই হয়তো আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি— যে যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন এবং হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান-যতদিন না দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।’ অনেক প্রাপ্তি নিয়েও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবার উদযাপিত হবে অন্যরকমভাবে। বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসের  কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজন করা হচ্ছে অনুষ্ঠানমালা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতি মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হবে দিনের কর্মসূচি। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিনটি সরকারি ছুটির দিন।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বসাধারণের প্রবেশের সময় নির্ধারণ করেছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। জাতীয় স্মৃতিসৌধে শুধু সকাল ৭টা থেকে ৯টা এবং দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— আজ ২৬ মার্চ সূর্যোদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ৮টায় ধানমন্ডি বত্রিশে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়াও সকাল ৮টায় তেজগাঁও গির্জায়, সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে। আগামী ২৮ মার্চ বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আমারসংবাদ/জেআই