Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

তথ্য প্রযুক্তিতে বিপ্লব এনেছে বাংলাদেশ

মার্চ ৩০, ২০২১, ০৮:২৫ পিএম


তথ্য প্রযুক্তিতে বিপ্লব এনেছে বাংলাদেশ

তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে নতুন বিপ্লব ঘটেছে বাংলাদেশে। এগিয়ে চলা বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তথ্য প্রযুক্তি খাত। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে ২০০৯ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে বর্তমান সরকার। ক্ষমতার এক যুগে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল। প্রযুক্তির বদৌলতে প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া।

মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে হাতের মুঠোয় বিশ্ব। বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংকটে যখন গোটা বিশ্ব বিচ্ছিন্ন, মানুষে মানুষে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হয়েছিল ইন্টারনেট। ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে দেশের জনগণ করোনা মহামারিতেও সংযুক্ত থাকতে পেরেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত, সরবরাহ ব্যবস্থা এমনকি বিচারিক কাজ সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ ও মোকাবিলায় সতর্ক বার্তা প্রচারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে প্রযুক্তি। দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলেও পৌঁছে গেছে ডিজিটাল সেবা। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেই ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে সেবা নিচ্ছে মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করছেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আইসিটি বিভাগ সূত্র মতে, দেশের প্রতিটি নাগরিক এখন প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করছে। প্রতিটি ইউনিয়নপর্যায়ে তথ্যকেন্দ্রের সব ধরনের সরকারি সুবিধা পাচ্ছে জনগণ। এখন আর কোনো তথ্যের জন্য নাগরিককে ঘুরতে হয় না। সরকারি সব দপ্তরের তথ্য ও সেবা পাওয়া যায় সংশ্লিষ্ট ওয়েব সাইটের মাধ্যমে। এ টু আই-এর মাধ্যমে সরকারি সব দপ্তরের প্রায় (যেমন- মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউপি কার্যালয়) ১৮ হাজার ওয়েব সাইট তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিক সরকারি সব ধরনের তথ্য ও সেবা ঘরে বসেই নিতে পারছে। দেশে প্রায় সাড়ে ছয় হাজারের বেশি ডিজিটাল সেবাকেন্দ্র থেকে মাসে গড়ে প্রায় ৬০ লাখ নাগরিক সেবা নিয়ে থাকেন। আর এসব ডিজিটাল সেন্টারে প্রায় ১৩ হাজার উদ্যোক্তা কাজ করছেন। যাদের মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি নারী উদ্যোক্তা। ২০২১ সালের মধ্যেই আট হাজার ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ৫০০টি সেবা প্রায় ৭০ লাখ নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। একইসঙ্গে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় ২৫ হাজার ডিজিটাল সেন্টার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মাসে প্রায় এক কোটি নাগরিক প্রায় দুই হাজার ৮০০টি সেবা নিতে পারবেন। দুর্গম দ্বীপ ও পাহাড়ি অঞ্চলে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিতের উদ্যোগ নিয়েছে আইসিটি মন্ত্রণালয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটাল ইকোনমিক হাব করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ১৫৫টি দুর্গম দ্বীপ ও পাহাড়ি অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ২০২১ সালে মধ্যে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। ডিজিটাল সেন্টারে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের পাশাপাশি এগুলোকে ডিজিটাল ইকোনমিক হাব হিসেবে রূপান্তর করা হবে বলে আইসিটি মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। এগুলোতে ই-কমার্সসহ বিভিন্ন সেবা যুক্ত করার ব্যবস্থা করা হবে। ইতোমধ্যে দেশের তিন হাজার ৮০০ ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক ক্যাবল পৌঁছানো হয়েছে। আইসিটি বিভাগের ইনফো সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে দুই হাজার ৬০০ এবং কানেক্টেড বাংলাদেশের মাধ্যমে আরও প্রায় ৬০০ ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিতে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কোভিড পরবর্তী নতুন পৃথিবীতে নেতৃত্ব দিতে ১৬টি অ্যাকশন পয়েন্ট এবং ৯০টি অ্যাকশন এজেন্ডা চিহ্নিত করে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, বিগত ১২ বছরে দেশের যথাযথ ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলার কারণে করোনা পরিস্থিতিতেও দেশের অর্থনীতি সচল রয়েছে এবং জিডিপি গ্রোথ ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিনোদন, সরবরাহ ব্যবস্থাসহ বিচারিক কাজ সচল ছিলো। মুজিববর্ষে আইসিটি বিভাগ ১০০টি উদ্যোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ‘আইডিয়াথন’ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। দেশের প্রায় ৭০ ভাগ জনগোষ্ঠী যাদের বয়স ৩৫ এর নিচে- এই তরুণ প্রজন্মকে ‘লেবার বেইজড ইকোনমি’ থেকে ‘ডিজিটাল ইকোনমিতে’ পরিবর্তন করতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার ৭৬২ ইউনিয়নে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে কানেক্টেড বাংলাদেশ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় নেটওয়ার্ক অপারেশন সিস্টেমে ১৭.৭ ২৯৩ দপ্তরকে আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ১৭ হাজার ৯৫৩টি সরকারি দপ্তর ওয়াইফাই জোন তৈরি করেছে, ৮৮৩টি ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ৬৪ জেলা ও উপজেলায় তাৎক্ষণিকভাবে ভিডিও কনফারেন্স আয়োজন করা যাচ্ছে, করোনা সংকটে তা প্রমাণও হয়েছে। সরকারিপর্যায়ে ২৫ হাজার টিলায় সাত হাজার ৮৭৯টি সৌর বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।

দেশের আইটি শিক্ষার বিস্তার ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চার হাজার ১৭৬ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলাপর্যায়ে ভাষা প্রশিক্ষণ এবং ১০০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপিত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব সমূহের স্থায়ীভাবে সাইবার সেন্টার প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও আইসিটি ক্লাব হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। ফলে ইউনিয়নপর্যায়ে পর্যাপ্ত স্থাপনের মাধ্যমে এলাকার তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছে। ২০২০ ও ২০২৩ মেয়াদে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে আরও পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে উদ্ভাবনী সংস্কৃতিকে বেগবান করতে ১৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে দিয়ে নাগরিক সমস্যা বাস্তবায়নযোগ্য সমাধান তৈরি করা হচ্ছে এবং অন্য প্রকল্পটি চলমান রয়েছে এবং ৯৬টি প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

দ্বীপ জেলা কক্সবাজারের মহেশখালীর মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে সরকার ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে তিনটি ইউনিয়নের ২৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রকল্প হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সোলার প্যানেল ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনলাইন স্কুল সিস্টেমের মাধ্যমে ইংরেজি বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হাইটেক আইটি-আইটিইএস শিল্পের বিকাশ ও বিজ্ঞান, দেশ-বিদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে হাইটেক পার্ক সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করেছে। দেশের ১২টি জেলায় আইটি পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়। যশোরে ৩৫৫ একর জমিতে গড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি দেশের প্রথম সর্ববৃহৎ হাইটেক পার্ক। পার্কটিতে ৪.২৫ লাখ বর্গফুট ফ্লোর নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে ৪০টি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর পার্কটি উদ্বোধন করেন। আধুনিক সুবিধা-সম্পন্ন পার্কটি গড়ে উঠেছে ১২ একর জায়গাজুড়ে। বর্তমানে এই পার্কে ৪৮টি প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এক হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় দুই লাখ ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটারের ১০তলা মাল্টিপ্লাগ ভবন নির্মাণ এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ভবন নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। গত ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গণভবন থেকে কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিলেটে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৬৮.৩০ জায়গার উপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের অবকাঠামো নির্মাণকাজ চলছে। ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্কটির ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন।

২০১৫ সালের ১৫ মার্চ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে আইটি খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি বিভাগে এবং পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় হাইটেক পার্ক স্থাপনের নির্দেশ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর প্রথমপর্যায়ে ৩৮টি শেখ রাসেল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়। এসব ইনকিউবেশন সেন্টার ৫০ হাজার জনের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয়েছে। দ্বিতীয়পর্যায়ে আরও ১১টি জেলায় শেখ রাসেল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে আরও একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। জাতীয়পর্যায়ে সর্বস্তরের জনগণের জন্য মোবাইলফোন রিত্তিকের ব্রেক বাস্তবায়ন কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। পরীক্ষামূলকভাবে চালু অস্থায়ী সার্ভিস মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ৯৯৯ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে দেশের সব নাগরিকের জন্য জরুরি পুলিশ ফায়ার সার্ভিস অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ঘরে বসেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বাংলাদেশের নাগরিকরা জাতীয় তথ্য বাতায়নের সকল তথ্যসেবা যেনো পেতে পারে সেজন্য জাতীয় তথ্য বাতায়ন হেল্পডেক্স ৩৩৩ চালু করা হয়েছে।  দেশব্যাপী কৃষকের দোরগোড়ায় দ্রুত আরও সহজে কার্যকরী কৃষি সমপ্রসারণের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্লাটফর্ম কৃষি বাতায়ন এবং কৃষক বন্ধু সেবায় ৩৩৩১ কল সেন্টারের মাধ্যমে কৃষিবিষয়ক যেকোনো পরামর্শ সেবা সহজভাবে করা হয়েছে। প্রতিবছর দেশের প্রায় ২২ লাখ নামজারি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পরিচালনার জন্য ই-নামজারি ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে গত ১২ বছরে অর্জিত স্বীকৃতি ও সম্মাননা পেয়েছে বাংলাদেশ। হংকংয়ে আন্তর্জাতিক ব্ল্যাক সাইন অলিম্পিয়াড ২০২০ এর প্রথম আয়োজনে মোট ৯টি পুরস্কারের মধ্যে বাংলাদেশ তরুণরা দুটি পুরস্কার লাভ করেন। আগামী বছর বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয়। দেশব্যাপী ই-মিউটেশন উদ্যোগ বাস্তবায়নের স্বীকৃতি হিসেবে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস ২০২০ পেয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর সূত্র মতে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তি খাতের অবকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ গঠন, শোভন কাজ সৃজন এবং ই-সার্ভিস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে অধিদপ্তর। এর মধ্যে সারা দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে যথাযথ অবকাঠামো সৃষ্টি করা, সরকারি ও বেসরকারিপর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডের সমন্বয় সাধন, গবেষণা, নিত্য-নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং প্রয়োগে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান, দপ্তরে ই-গভর্নেন্স কার্যক্রম বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা প্রদান, সরকারের সকল পর্যায়ে আইসিটির ব্যবহার ও প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ এবং সমন্বয় সাধন, মাঠপর্যায়ে সকল সরকারি দপ্তরে ওয়েবপোর্টাল ও নেটওয়ার্ক সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণে কারিগরি সহায়তা প্রদান এবং জেলা-উপজেলা-ইউনিয়নপর্যায়ে ইতোমধ্যে স্থাপিত ডিজিটাল কেন্দ্রসমূহে যথাযথ তথ্য সরবরাহ, সংরক্ষণ, হালনাগাদকরণ, ওয়েবপোর্টাল চালু রাখতে কাজ করে অধিদপ্তর। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অন্যতম প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দেশকে অগ্রগামী করে তুলতে ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে। বিসিসি সরকারিপর্যায়ে অবকাঠামো উন্নয়ন, ই-গভ?র্ন্যান্স প্রতিষ্ঠা, কানেক্টিভিটি স্থাপন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, আইসিটি সক্ষমতা উন্নয়ন, আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন, আইসিটিতে বাংলা ভাষার উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্রান্ডিং এবং সর্বোপরি দেশে উদ্ভাবনী ও স্টার্টআপ সংস্কৃতির উন্নয়নে কাজ করছে। আইসিটি খাতের বিশাল অর্জনে নিরলস কাজ করে চলেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। নাটোর-২ আসনের এ সাংসদ ৩৩ বছর বয়সে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী হন। বয়সে কনিষ্ঠ হলেও কাজের মধ্য দিয়ে রেখেছেন দক্ষতার ছাপ। তার হাত ধরেই গত ১২ বছরে আইটি খাতে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

আমারসংবাদ/জেআই