Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

মাস্ক প্রস্তুতকারকের মুখেই নেই মাস্ক

এপ্রিল ৬, ২০২১, ০৭:৫০ পিএম


মাস্ক প্রস্তুতকারকের মুখেই নেই মাস্ক

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকার ঘোষিত সাতদিনের লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। তবে নির্দেশনা অনুযায়ী গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, পণ্যবাহী গাড়ি কিংবা জরুরি সেবার নামে সড়কে দেখা যাচ্ছে সেই আগের চিত্র। খোলা রয়েছে সড়কের দুপাশে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সবই। সাধারণ মানুষের চলাচলও অনেকটাই অবাধ বলা চলে। কারোর মধ্যেই নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা, মুখে মাস্ক ব্যবহার করতেও দেখা যাচ্ছে না অধিকাংশ মানুষকেই। পাড়া-মহল্লা তথা সড়কের পাশে উন্মুক্ত স্থানে চায়ের দোকানগুলোতেও উপেক্ষিত সামাজিক দূরত্ব। মোটকথা দেশের কোথাও মানুষের মধ্যে করোনা ভীতি যেমন দেখা যাচ্ছে না, তেমনি করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনাও মানা হচ্ছে না।

তবে লকডাউন ঘোষণার প্রথম দিন যেমন তেমন গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জনসাধারণকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে দেখা গেছে পুলিশ-র‍্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থাকে। তার মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব-১০। এ সময় মাস্কবিহীন সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরণ এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজেশনসহ ১৩ ব্যক্তিকে জরিমানাও করা হয়। অভিযানের নেতৃত্বে দেন র‍্যাব-১০ এর ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামান।

অভিযানের শুরু থেকেই ট্রাক, কন্টেইনার, মাইক্রোবাসসহ সিএনজির চালক, মোটরসাইকেল ও রিকশা ছাড়াও পথচারীদের দাঁড় করিয়ে মাস্ক দেখেন র‍্যাব-১০-এর সদস্যরা। যার মুখে মাস্ক পাওয়া যায়নি তাদেরই মাস্ক পরিয়ে দেন র্যাব-১০ এর সদস্যরা। আবার হ্যান্ড স্যানিটাইজারও হাতে দিতে দেখা গেছে। এভাবে ১৩ জনের মুখে মাস্ক না পেয়ে বিভিন্ন অংকের জরিমানা করা হয়। অভিযানের একপর্যায়ে মোটরসাইকেলে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছিলেন জাহিদুল ইসলাম। এমন সময় সিগনাল দিয়ে দাঁড় করানো হয় তাকে।

ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান তার কাছে মাস্ক না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, হানিফ ফ্লাইওভারে উঠলেই বাতাসের টানে মাস্ক উড়ে যায়। পরে র‍্যাব-১০ থেকে একটি মাস্ক দেয়া হয় তাকে।

সেটি পরিধান করার পর তার পরিচয় জানতে চাওয়া হলে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেইলর বলে পরিচয় দেন। এবং ঢামেকের মাস্ক প্রস্তুত করেন বলে জানান তিনি। পরে ১০০ টাকা জরিমানা করে যেতে দেয়া হয় তাকে। তবে জরিমানা পরিশোধ শেষে মাস্কবিহীন চলাচলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

জানতে চাইলে র‍্যাব-১০ এর ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান বলেন, যারা  স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না, তাদের সচেতন করার লক্ষ্যে এ অভিযান পরিচালনা করছি। জরিমানাও করা হচ্ছে। যাদের মাস্ক নেই তাদের মাস্ক দেয়া হচ্ছে। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত প্রায় হাজার খানেক মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ সময়ের মধ্যে ১৩টি মামলা দেয়া হয়েছে। একই সাথে ১৩ জনকেই ৫০ থেকে শুরু করে ১০০ এবং সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে।

আমারসংবাদ/জেআই