Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

বিদ্যুতের আওতায় ৯৯ শতাংশ জনগোষ্ঠী

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ৬, ২০২১, ০৭:৫০ পিএম


বিদ্যুতের আওতায় ৯৯ শতাংশ জনগোষ্ঠী
  • প্রধানমন্ত্রীর আস্থা রক্ষায় আপসহীন প্রতিমন্ত্রী বিপু

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের গত ১২ বছরে সর্বোচ্চ সাফল্য এসেছে বিদ্যুৎ খাতে। খাতটির অভাবনীয় সাফল্যে ইতোমধ্যে ৯৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। চলতি ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি বাড়ি আলোকিত করার মধ্য দিয়ে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বিদ্যুৎ খাতের সাফল্যের পেছনে অন্যতম কারিগর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে তিনি নিরলস প্রচেষ্টা করে চলেছেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিদ্যুৎ খাতে নেয়া হয়েছে মহাপরিকল্পনা। পুরো খাতকে আধুনিকায়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, প্রযুক্তি ও খনিজ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সাফল্য দেখিয়েছেন তিনি। মূলত দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া আস্থা রক্ষায় আপসহীন পথচলার কারণেই বিদ্যুৎ খাতকে আলোয় আনতে পেরেছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ স্লোগানে শতভাগ ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিতে বিশাল কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছেন। যার সফল বাস্তবায়নে দিন-রাত কাজ করছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

গত ৫ এপ্রিল বিদ্যুৎ বিভাগের ওয়েব সাইটে ২০০৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ খাতের অর্জনের একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়। সেখানে গত ১২ বছরের বিদ্যুৎ খাতের ঈর্ষণীয় সাফল্য উঠে আসে। প্রকাশিত তথ্য মতে, আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ছিলো ২৭টি। বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ১৪৭টি, ১২ বছরে নতুন স্থাপিত হয়েছে ১২০টি। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিলো চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ১৭১ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ ও নবায়ণযোগ্য জ্বালানিসহ), অর্থাৎ ২০ হাজার ২২৯ মেগাওয়াট বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন সমপ্রসারণে বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর হার মাত্র ৩৬ শতাংশ থেকে ৯৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০০৯ সালে গ্রাহক সংখ্যা এক কোটি আট লাখ। বর্তমানে রয়েছে তিন কোটি ৯৮ লাখ, অর্থাৎ ১২ বছরে বেড়েছে দুই কোটি ৯০ লাখ।

মোট সঞ্চালন লাইন ২০০৯ সালে ছিলো ৮ হাজার সা.কি.মি, বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৩২, অর্থাৎ বেড়েছে চার হাজার ৭৩২ সা.কি.মি। বিতরণ লাইন ছিলো দুই লাখ ৬০ হাজার, বর্তমানে হয়েছে ছয় লাখ ৬০ হাজার, বেড়েছে তিন লাখ ৭৪ হাজার। বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীদের হার ছিলো ৪৭ শতাংশ, বর্তমানে হয়েছে ৯৯ শতাংশ।

গত ১২ বছরে বিতরণ সিস্টেম লস কমেছে ৫.৬০ শতাংশ। ২০০৮-২০০৯ সালে সিস্টেম লস ছিলো ১৪.৩৩, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সিস্টেম লস হয়েছে ৮.৭৩। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাথা পিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৫১২ কিলোওয়াট ঘণ্টা। ২০০৯ সালে ছিলো ২২০ কিলোওয়াট ঘণ্টা। অর্থাৎ বেড়েছে ২৯২ কিলোওয়াট।

মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি বাড়ি আলোকিত করার টাগের্ট নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে। ২০২১ সাল নাগাদ ২৪ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৩০ সাল নাগাদ ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ৪১ সাল নাগাদ ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চলতি বছরের বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে, বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ১৭১ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ ও নবায়ণযোগ্য জ্বালানিসহ)।

ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে মাতারবাড়ি প্রজেক্ট, রামপাল প্রজেক্ট এবং পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, আধুনিক এবং টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে এসডিজি বাস্তবায়ন করে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার দৃপ্ত শপথ নিয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) তার ৮০টি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে সারা দেশে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সন্দ্বীপ, শরীয়তপুর, চাঁদপুরের চরাঞ্চলসহ দুর্গম এলাকায় ইতোমধ্যে বিদ্যুতের আলো পৌঁছানো হয়েছে।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন,  বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ১০ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পৌঁছে যেতো। বঙ্গবন্ধু নেই কিন্তু তার  চিন্তা-দর্শন-আদর্শ রয়েছে; বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। আমরা ইতোমধ্যো ৯৯ ভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি।

আমারসংবাদ/জেআই