Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

পাবলিক পরীক্ষার বিকল্প খুঁজছে সরকার

এপ্রিল ১০, ২০২১, ০৭:৫০ পিএম


পাবলিক পরীক্ষার বিকল্প খুঁজছে সরকার
  • এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আবারো দুশ্চিন্তা

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। দ্বিতীয় ওয়েভ প্রতিরোধে আগামী সপ্তাহ থেকে কঠোর লকডাউনের কথা ভাবছে সরকার। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে জুন-জুলাইয়ে এ দুটি পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার কথাও ছিলো। এদিকে করোনা বেড়ে যাওয়ার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ২২ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ফলে আবার পিছিয়ে যাচ্ছে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা। চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অনেকেরই আশা ছিলো এবার ভালোভাবে পরীক্ষাটা সম্পন্ন হবে। করোনার কারণে অনিশ্চতায় পড়ে গেছে পরীক্ষার সম্ভাবনা। এ দুটি পরীক্ষা চলতি বছর নেয়া যাবে কি-না, আবার ২০২০ সালের এইচএসসির মতো বিশেষ মূল্যায়নের মাধ্যমে অটোপাস দেয়া হবে কি-না তা নিয়ে দোলাচলে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ দুই পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। অটোপাস দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে এসএসসির জন্য ৬০ দিন ও এইচএসসির ৮৪ দিন ক্লাসে পড়িয়ে এ দুটি পরীক্ষা নেয়া হবে। শিক্ষা বোর্ডগুলো কেন্দ্রের তালিকাও প্রকাশ করেছে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ছাপানোর জন্য বিজি প্রেসে পাঠিয়েছে। তবে করোনার কারণে এসএসসির ফরম পূরণ স্থগিত করা হয়েছে। পরে নতুন সময়সূচি জানানো হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা যায়, এ ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে পাবলিক পরীক্ষার বিকল্প খুঁজছে সরকার। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে আহ্বায়ক করে এ লক্ষ্যে ১১ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে তা বলতে পারছি না। পাবলিক পরীক্ষা ও শ্রেণি পরীক্ষাও নেয়া যাচ্ছে না। স্কুল-কলেজও বন্ধ। সে জন্য পড়ালেখা চালিয়ে যেতে বিকল্প উপায় খুঁজে পাওয়া যায় কি-না, তা খুঁজতে ১১ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।’ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত জানাবেন বলেও জানান তিনি। করোনার প্রাদুর্ভাবে গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। এসএসসি ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ভিত্তিতে তাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়াও জেএসসি, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও স্কুলগুলোর কোনো পরীক্ষাই নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে এ বছর গত বছরের চেয়েও করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তাই সরকার বিকল্প উপায় খুঁজছে।

আগামী ২৩ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও তারপর ৬০ কার্যদিবস সরাসরি ক্লাস করিয়ে ১৫ দিন বিরতি দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশ আগেই দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহের আগে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে না। আর ২৩ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খোলা সম্ভব না হলে এসএসসি পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার প্রিটেস্ট ও টেস্ট পরীক্ষার সময় চলে আসবে। শিক্ষাবোর্ডগুলোকেও ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে হবে। আর এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কমপক্ষে এক মাস পর এইচএসসি পরীক্ষা নিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

আমারসংবাদ/জেআই