Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

শতভাগ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি দূরে নয়

মো. কামাল হোসেন

মে ২, ২০২১, ০৭:৪০ পিএম


শতভাগ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি দূরে নয়

বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতিতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি একটি অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। বিশ্বের ১৫ বছরের অধিক বয়সি ৩১ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনো আর্থিক সেবার আওতার বাইরে রয়েছেন। বাংলাদেশে ১৬ কোটির বেশি মানুষের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যা প্রায় ১১ কোটি। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেকই প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক সেবার বাইরে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০২৪ সালের মধ্যে শতভাগ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রান্তিক কৃষকসহ বিভিন্ন নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব এবং হিসাবধারীদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন টেকসই করার লক্ষ্যে বিনা জামানতে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান, স্কুল ব্যাংকিং ও পথশিশুদের জন্য ব্যাংক সেবা, এজেন্ট ব্যাংকিং ও ব্যাংকের উপশাখার মাধ্যমে আর্থিক সেবা প্রসারে কাজ চলছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক সেবাপ্রত্যাশী মানুষের জন্য স্বল্পতম সময়ে সহজে ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা, আর্থিক শিক্ষাসহ গ্রাহক স্বার্থরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। করোনাকালে ব্যাংকিং লেনদেনে বড় পরিবর্তন এসেছে। ব্যাংকগুলো তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি সব ধরনের লেনদেন সহজ করেছে। সহজ বলতে, ব্যাংক লেনদেন করতে এখন আর জেলা শহর বা উপজেলা শহরে যাওয়ার দরকার হচ্ছে না। ঘরে বসেই লেনদেন করা যাচ্ছে ব্যাংক থেকে ব্যাংকে। অ্যাকাউন্টও খোলা যাচ্ছে ঘরে বসেই। দেশের সুষম ও টেকসই উন্নয়নের প্রয়োজনে ব্যাংকিংয়ের আওতা বহির্ভূত বিপুল জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবার আওতায় এনে অর্থনৈতিক মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার কোনো বিকল্প নেই। তদপুরি অর্থনৈতিক উদীয়মান শক্তির দেশ হিসেবে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত অর্থনীতির মহাসড়কে উঠার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবেও দেশের সক্ষম সব নাগরিকের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যাংকিং চ্যানেলে আনা জরুরি। আর সে জন্য প্রয়োজন দেশের সক্ষম সব নাগরিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা। এ লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল বা এজেন্ট ব্যাংকিং বা ব্যাংকিং বুথের মাধ্যমে খুব সহজে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী এবং প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। সমানতালে উন্নত হচ্ছে আর্থিক সেবাদান প্রক্রিয়াও। গত এক দশকে এ দেশের ব্যাংক খাতে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। এরপরও দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী রয়ে গেছে ব্যাংকিং সেবার বাইরে। ফলে তারা উন্নয়নস্রোতের বাইরে থেকে যাচ্ছে। এ বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন ও ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতেই ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। করোন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে ব্যাংকে গিয়ে লেনদেন করার আগ্রহ অনেকটা কমে গেছে গ্রাহকের। এ কারণে মোবাইল ব্যাংকিংকে লেনদেনের সহজ মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন তারা। ফলে এই মাধ্যমে গ্রাহকসংখ্যা ও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েই চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যানের তথ্য মতে, গত সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছে ৪৯ হাজার ১২১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ দৈনিক গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৩৭ কোটি ৩৭ হাজার টাকা। এক মাস আগেও দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ছিলো এক হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা।

ব্যাংকিং সেবায় বৈপ্লবিক এক পরিবর্তন এনেছে মোবাইল ব্যাংকিং। দৈনিক লেনদেন এক হাজার ৩৫৮ কোটি, মাসে লেনদেন ৪২ হাজার কোটি টাকা। দরিদ্র ও ব্যাংকিং সেবাবহির্ভূত জনগণকে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে এবং প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ দ্রুত, সহজ ও নিরাপদে গ্রামীণ এলাকায় বসবাসরত উপকারভোগীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ২০১০ সালে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। মোবাইল রিচার্জ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো, স্কুলের বেতন-ফি পরিশোধ, উপবৃত্তি প্রদানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেয়া হচ্ছে। ব্যাংক থেকে মোবাইলে ও মোবাইল থেকে ব্যাংকেও লেনদেন করা যাচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা এবং লেনদেনের পরিমাণ বাড়ছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেয়া বয়স্ক-বিধবা ভাতাসহ অন্যান্য ভাতা এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। প্রভাবশালী ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ইকোনমিস্ট গত ২০-২৬ সেপ্টেম্বর সংখ্যায় মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় শীর্ষ দেশগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সে তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যত টাকা লেনদেন হয়, তা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

এজেন্ট ব্যাংকিং ধারণাটি বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলো শাখা না খুলেও এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ব্যাংকিং সেবা দিতে পারছে। এতে গ্রাহকরা যেমন একদিকে দ্রুত, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সুবিধা হাতের নাগালে পাচ্ছেন, অন্যদিকে ব্যাংকগুলোও কম পরিচালন ব্যয়ে গ্রাহকসেবা দিতে পারছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবার পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত এক বছরে এজেন্ট আউটলেট সংখ্যা প্রায় ৮০ শতাংশ ও গ্রাহক হিসাব সংখ্যা প্রায় ১২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া আমানত ও ঋণের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পরিমাণ যথাক্রমে প্রায় ২০৫ শতাংশ ও ১২৫ শতাংশ। এজেন্ট ব্যাংকিং প্রসারের ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাংক শাখা না থাকা সত্ত্বেও বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স বিতরণ করা হয়েছে, যার প্রায় ৯০ শতাংশই পল্লী এলাকায়। তৃণমূল পর্যায়ে আর্থিক সেবাকে সমপ্রসারিত করার দ্রুততম মাধ্যম হিসেবে এজেন্ট ব্যাংকিং ইতোমধ্যেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দ্রুত বর্ধমান এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি ব্যবসা সমপ্রসারণের মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে চলেছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতি উপকৃত হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে আর্থিক সেবা প্রাপ্তির মাধ্যমে তৃণমূল মানুষের মাঝেও সঞ্চয় প্রবণতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় ব্যাংক হিসাবে জমার পাশাপাশি এজেন্ট আউটলেটগুলোর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ব্যাংকগুলো। এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসা ও কর্মসংস্থান তথা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের আরও প্রসার ঘটবে। এ ছাড়া প্রবাসী আয় আহরণের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটগুলোর গ্রহণযোগ্যতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থা দেশজুড়ে, বিশেষ করে পল্লী এলাকার হুন্ডি প্রথা নিরুৎসাহিত করতে এবং সরকার ঘোষিত ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা প্রাপ্তিতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের আয় বাড়ানোর কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করতে হলে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যেই এজেন্টের মাধ্যমে কৃষি ও এসএমই ঋণ বিতরণের নির্দেশনা জারি করেছে এবং ঋণ বিতরণের পরিমাণ আশাব্যঞ্জক হারে বাড়ছে। বর্তমানে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরা আর্থিক সেবা গ্রহণে পুরুষের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছেন। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নারীদের আর্থিক সেবা গ্রহণে উৎসাহিত করা হলে তা নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি দেশে লিঙ্গবৈষম্যও অনেকাংশে কমে আসবে। সার্বিক বিবেচনায় এজেন্ট ব্যাংকিং বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমে একটি নব উদ্যম ও গতিশীলতা এনেছে। এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমকে পুরোপুরি সফল করতে হলে উপযুক্ত এজেন্ট নিয়োগ ও আউটলেট পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে ব্যাংকগুলোকে।

বর্তমানে এজেন্ট আউটলেটের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি গ্রাহক ও লেনদেনের পরিমাণও বাড়ছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে শুধু হিসাব খোলা ও আমানত সংগ্রহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, ঋণ বিতরণের মাধ্যমে আয়উৎসারী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া সেভিংস, লোন, রেমিট্যান্স ছাড়া পেমেন্ট সার্ভিস যেমন ইউটিলিটি বিল, কর বা সরকারি ভাতা তোলার মতো কাজগুলো এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে ব্যাংক করতে পারে। এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে এজেন্টদের ৮৬ আর আউটলেটের ৮৮ শতাংশই একেবারে গ্রামপর্যায়ে। আবার অ্যাকাউন্টের দিক থেকে শহর এলাকায় যেখানে ৯ লাখ ৮০ জাজার ৫১১টি অ্যাকাউন্ট সেখানে গ্রাম এলাকায় হয়েছে ৬৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬৮৬টি অ্যাকাউন্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২৮টি ব্যাংক লাইসেন্স নিয়েছে। এর মধ্যে সেবাটি চালু করেছে ২৪টি ব্যাংক। এ ব্যাংকগুলো নিয়োগ দিয়েছে ১০ হাজার ১৬৩ এজেন্ট। নিয়োগপ্রাপ্ত এজেন্টরা ১৪ হাজার ১৬টি আউটলেট চালু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এজেন্টদের মাধ্যমে ব্যাংক হিসাব চালু করেছেন ৮২ লাখ ২১ হাজার ৮৯৩ গ্রাহক। এর মধ্যে নারী গ্রাহকের হিসাব সংখ্যা ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭টি। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৩ হাজার ৪০ কোটি টাকার আমানত দেশের ব্যাংকিং খাতে যুক্ত হয়েছে। ঋণ বিতরণ করা হয়েছে এক হাজার ৮৬ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত এজেন্টদের মাধ্যমে ৩৮ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকার রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কৌশল শক্তিশালী হয়েছে। এর ফলে অতিদরিদ্র নাগরিকরাও ব্যাংকিং সেবার আওতায় চলে এসেছেন। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ব্যাপক গতিপ্রাপ্ত হয়েছে এবং বাংলাদেশের অর্জন সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশের প্রান্তিক পর্যায়েও প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবা পৌঁছানোর ফলে উদ্যোক্তাদের বিকাশের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থা ও ব্যাংকগুলোর যৌথ উদ্যোগের ফলে গ্রামাঞ্চলে বিপুল পরিমাণে কৃষিঋণ সরবরাহ করা হয়েছে এবং সেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জোরদার হয়েছে। এ ধারা চলমান থাকলে নির্ধারিত সময়ে শতভাগ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি অর্জন সম্ভব হবে।

লেখক : তথ্য অফিসার, পিআইডি

আমারসংবাদ/জেআই