Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

করোনাকালেও সড়কে চাঁদাবাজি

মে ১০, ২০২১, ০৮:৩০ পিএম


করোনাকালেও সড়কে চাঁদাবাজি
  • ডিএসসিসির পোশাক পরে লাঠি হাতে রশিদ নিয়ে টোলের নামে সড়কে চলছে চাঁদাবাজি
  • ঈদ সামনে রেখে ধাপ্পাবাজ পার্টিও নেমেছে সড়কে
  • চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে যে-ই হোক, কোনো ছাড় নয় -পুলিশ সদর দপ্তরের হুঁশিয়ারি
  • আমি এখন সিটি কর্পোরেশনে নেই, তারপরও বলবো, এগুলো অবৈধ, পুলিশকে বলা আছে ধরার জন্য, পুলিশও ধরে না -এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ডিএসসিসি
  • সড়কে চললে টোল দিতে হবে- এ সবের সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত নেই, এর নীতি-নৈতিকতারও কোনো ভিত্তি নেই -ইকবাল হাবিব, নগরবিদ
  • ডিএসসিসির ফান্ড এবং সরকারি ফান্ডে রাজস্ব দিয়েছে, তার মানে এই নয় যে, তারা (ইজারাদার) একটার পর একটা কুকর্ম করবে। মেয়র নিজেও জাকিয়া সুলতানার (ইজারাদার) স্বামী মাসুদকে ডেকে একাধিকবার ধমক দিয়েছেন এবং আমরাও তাকে বারবার বলেছি, চিঠি দিয়েছি। সর্বশেষ চিঠিতে প্রয়োজনে বাতিল করে দেবো বলেও হুমকি দিয়েছি -বপুল চন্দ্র বিশ্বাস, মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) ডিএসসিসি

হাতে লাঠি কিংবা বাঁশ, সিটি কর্পোরেশনের পোশাক আর রশিদই যেনো সড়কে চাঁদাবাজদের দিয়েছে বৈধতা। কোথায় আদায় হচ্ছে অনুমোদিত সিটি টোল, আর কোথায় চলছে বৈধ টোলের নামে চাঁদাবাজি তা বোঝে ওঠাই এখন দায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) বিভিন্ন এলাকায় সিটি টোল নিয়ে এমনই দোটানায় পড়েছেন খোদ গাড়ির চালকরাও। করোনাকালেও গাড়ি নিয়ে সড়কে নামলেই একাধিক স্থানে দিতে হচ্ছে টোল নামক চাঁদা। যদিও ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ আমার সংবাদকে এটা নিশ্চিত করেছে, রাজধানীর গুলিস্তান, ফুলবাড়ীয়া ও সায়েদাবাদে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুরসরণ করেই ইজারাদারদের মাধ্যমে বৈধভাবেই আদায় করা হয় সিটি টোল। বাকি সব অবৈধ।

তবে ডিএসসিসির নির্ধারিত এই তিন স্পটের বাইরে টোলের নামে সড়কে সিটি কর্পোরেশনকে ব্যবহার করে চলমান চাঁদাবাজির দু-একটি ভাসা ভাসা অভিযোগ ছাড়া সঠিক কোনো তথ্যও জানা নেই সংস্থাটির। সংস্থাটির অজান্তেই চলমান এমন চাঁদাবাজির পাশাপাশি ঈদকে সামনে রেখে এখন আবার সড়কে নেমেছে আরেক পার্টি, যে পার্টিকে চালকরা বলছেন, ‘ধাপ্পাবাজ পার্টি’। যদিও এ পার্টি ব্যবহার করছে না সিটি কর্পোরেশনের পোশাক কিংবা রশিদ। তবে রাত নামার সাথে সাথেই বাঁশ কিংবা লাঠি হাতে ঠিকই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দাঁড়িয়ে পণ্যবাহী গাড়ি, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান থেকে আদায় করছে চাঁদা। সড়কের এমন চিত্র দেখে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিবহন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমার সংবাদ জানতে পারে— সাত মাস আগে গুলিস্তান-জয়কালী মন্দির (সায়েদাবাদ সিটি) স্টপওভার বাস টার্মিনাল ‘উত্তরা চাকা’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দিয়েছে ডিএসসিসি। ইজারার শর্ত ছিলো, শুধু টার্মিনাল থেকে বের হওয়া এবং বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহূত বাস-মিনিবাস থেকে টোল আদায় করা যাবে, যা মূল সড়কে চলাচল করে। অথচ ডিএসসিসির এমন শর্ত উপেক্ষা করেই এখন নির্ধারিত এলাকার বাইরেও সাব-ইজারার নামে ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন থেকেই টোল আদায়ের নামে চলছে চাঁদাবাজি। প্রকাশ্যে চাঁদা আদায়কারীদের দাবি, সাব-ইজারা নিয়েই টোল আদায় করছেন তারা। যদিও এটা বলতে নারাজ কার থেকে নিয়েছেন সাব-ইজারা। তবে তাদের ব্যবহার করা রশিদেই ‘উত্তরা চাকা’র প্রোপ্রাইটর জাকিয়া সুলতানার নাম উল্লেখ রয়েছে। যিনি ডিএসসিসি থেকে গুলিস্তান-জয়কালী মন্দির (সায়েদাবাদ সিটি) স্টপওভার বাস-টার্মিনালের ইজারা নিয়েছেন।

যানবাহন চালকদের অভিযোগ, টোলের নামে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মূল সড়কসহ সব অলিগলিতেই এখন চাঁদাবাজি করছে সাব-ইজারাদাররা। তাদের অত্যাচারে চালকরা অতিষ্ঠ। যদিও তাদের লাগাম এখনো টেনে ধরছে না ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ। আর সামনেই ঘটে যাওয়া এসব চাঁদাবাজি বন্ধে দেখা যাচ্ছে না পুলিশেরও কোনো তৎপরতা। গতকাল রাতে যাত্রাবাড়ীর কাজলায় চাঁদা দেয়া একটি কাভার্ডভ্যান চালকের সাথে চলন্ত অবস্থায় কথা হয় আমার সংবাদের। চালক শফিক বলেন, সায়েদাবাদে ৬০ টাকা দিয়ে এসেছেন তিনি। এখন কাজলায়ও ৬০ টাকা চেয়েছে, কিন্তু রশিদ ছাড়া ৩০ টাকা দিতে হয়েছে তাকে। রশিদ নিলে দিতে হয় ৬০ টাকা। আরও একাধিক চালকও আমার সংবাদকে জানিয়েছেন একই তথ্য। ডিএসসিসির মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস আমার সংবাদকে বলেন, সাব-ইজারা দেয়ার বিধান নেই। আবার সাব-ইজারাদারদের ব্যবহার করা রশিদে ‘উত্তরা চাকার প্রোপ্রাইটর জাকিয়া সুলতানার নাম উল্লেখ থাকলেও জানে না সংস্থাটি।’ রশিদে ব্যবহূত জাকিয়া সুলতানার ফোন নম্বরে গত দুদিন ধরে একাধিকবার ফোন করলেও তা বন্ধ থাকায় তার বক্তব্যও পাওয়া যায়নি। এদিকে বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের (ডিএসসিসির) ইজারা হয়ে গেছে, ইজারার টাকাও ফান্ডে জমা হয়ে গেছে। এগুলো পুলিশকে একটু বলেন, পুলিশ এগুলো দেখবে। আর পুলিশের পাশাপাশি আমরাও দেখবো, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আমরা মোবাইল কোর্ট বসাবো।’

ডিএসসিসির পরিবহন বিভাগ সূত্র জানায়, গত বছরের ১১ নভেম্বর গুলিস্তান-জয়কালী মন্দির (সায়েদাবাদ সিটি) স্টপওভার বাস-টার্মিনালের টার্মিনাল ফি ও কুলি মজুরি খাতে রাজস্ব আদায়ে ইজারা পায় ‘উত্তরা চাকা’। ইজারা মূল্য দুই কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩ টাকা। এরপর থেকেই মতিঝিল, কমলাপুর, জুরাইন, কদমতলী, পোস্তগোলা, শনির আখড়া, রায়েরবাগ, কোনাপাড়া, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার, মাতুয়াইল, মেরাদিয়া, নন্দিপাড়া, মাদারটেক, যাত্রাবাড়ী এলাকায় বাস, মিনিবাস, সিএনজি, টেম্পু, পিকআপ, ট্রাক, ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রো থেকেও এখন টোলের নামে যে চাঁদাবাজি চলছে এসব ডিএসসিসির জানা না থাকলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাব-ইজারা যারা দিচ্ছেন, তারাই এর বিনিময়ে প্রতিটি সাব-ইজারাদারের কাছ থেকে জামানতের নামে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। এছাড়া এসব এলাকায় কোনো যাত্রী সামান্য মালামাল বহন করতে চাইলেও কুলি মজুরি টোলও আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এতে চালক-যাত্রী সবাই রশিদ আর পোশাক দেখেই বিরক্তি প্রকাশ করছেন মূলত ডিএসসিসির ওপর।

এদিকে শনির আখড়া ও রায়েরবাগ এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চাঁদা আদায়ে ব্যবহূত হলুদ রশিদে ‘উত্তরা চাকা’র প্রোপাইটর জাকিয়া সুলতানার নাম উল্লেখ রয়েছে। এমন রশিদে ওই এলাকার প্রতিটি ব্যাটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশা, লেগুনা, সিএনজি, পিকআপ, ট্রাক থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে ৩০ টাকা। আর এই সিটি টোলের জোরেই সড়কে চলছে অবৈধ এসব যানবাহন। যা নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশেরও কাউকেই দেখা যায়নি। শনির আখড়ায় বর্ণমালা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনেও (সাব-ইজারাদার) চালকদের হাতে রশিদ ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। সেখানকার রশিদে ৩০ টাকা উল্লেখ থাকলেও আদায় করা হচ্ছে গাড়িপ্রতি ২০০ টাকা। কম দিলে আটকিয়ে রাখা হয় গাড়ি, করা হয় মারধরও। ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায়ও একই রশিদ দিয়ে টোলের নামে চাঁদাবাজি করছে একটি পক্ষ। এই পথেও ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে ৩০ টাকা করে টোল আদায় করতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, টার্মিনাল ইজারা নেয়ার জন্য ডিএসসিসির নির্ধারিত ফির বাইরেও কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়ে ইজারা নেয়ার কারণেই এখন টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ইজারাদাররা।

ডিএসসিসির কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বলেন, ‘প্রত্যেকটা জোনের ওসি-ডিসিকে আমরা চিঠি দিয়েছি। কারণ মাঠে তারা থাকে, তারা সবই জানে। আমার জনবল কম। তারপরও যদি অভিযোগ আসে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেয়রের সঙ্গে কথা বলে জরুরি ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট পাঠাবো। যারা ইজারা নিয়েছে তাদের সময় প্রায় সাত মাস হয়ে গেছে। তারা ডিএসসিসির ফান্ড এবং সরকারি ফান্ডে টাকা দিয়েছে। তার মানে এই নয় যে, তারা একটার পর একটা কুকর্ম করবে। আমাদের কানেও আসছে কিছু। লোক দিয়ে এগুলো তুলে। আমরা সবসময় তাদের বলছি, মেয়র নিজেও জাকিয়া সুলতানার স্বামী মাসুদকে ডেকে একাধিকবার ধমক দিয়েছেন এবং আমরা তাকে বারবার বলেছি, চিঠিও দিয়েছি। সর্বশেষ চিঠিতে প্রয়োজনে বাতিল করে দেবো বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছি। পুলিশকেও চিঠি দিয়েছি।’ সার্বিক বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপসের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তবে আমার সংবাদকে বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস আরও জানিয়েছেন, ট্রাক থেকে টোল নেয়া আমাদের একেবারেই নিষেধ রয়েছে। কোনোভাবেই নিতে পারবে না। যদি চুরি-চামারি করে, সেটা ভিন্ন কথা। আমরা যে সিটি করেছি সেখানে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ, এসবি থেকে শুরু করে সবাইকে চিঠি দিয়েই করেছি। দু-একটা চুরি-চামারি করে, পোশাক পরে— এটাও আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। আমাদের স্লিপও এখন থাকবে না।’ ইজারাদারেরই পোশাক, ইজারাদারেরই সিল। তিনি বলেন, ‘দু-একটা নির্দিষ্ট করে যদি আমাকে জানান তাহলে কোথায় কোথায় পোশাক থাকছে না সেখানে আমি ফোন করবো। আপনারা কাকে ইজারা দিচ্ছেন আর কার থেকেই বা সিটি টোল নিচ্ছেন— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের মূলত তিনটি— তার মধ্যে একটি গুলিস্তান, আরেকটি ফুলবাড়ীয়া, অপরটি সায়েদাবাদ। সায়েদাবাদেরটায় এখনো আমরা কার্যাদেশ দিতে পারিনি। স্টাফ কোয়ার্টারের যেটা সেখানে ট্রাক থেকে কোনোভাবেই নিতে পারবে না।’ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, আপনিও জানালেন, এর আগে আমরা যখনই জেনেছি তখনই তাদের চিঠি দিয়েছি, পুলিশকেও চিঠি দিয়েছি এদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়ার জন্য। আমার তো জনবল কম। আমি নিজেও রাতে গিয়েছি, করোনাও হয়েছিল আমার। রাতে দু-দিন আমি মুভ করার পর কয়েকটা ড্রেসও পেয়েছিলাম এবং খুলেও নিয়ে এসেছি।

সিটি কর্পোরেশনের পোশাক কিংবা রশিদ ছাড়াও লাঠি হাতে বিভিন্ন স্থানে চাঁদা আদায় করছে জানালে তিনি বলেন, ‘এরা চোর, হিরোয়েন্সি। পুলিশ এদেরকে ধরতে হবে। এরা পালিয়ে করছে। আমি পুলিশ এবং আমাদের আনসার সদস্যদের নিয়েও গেছি। মোবাইল কোর্টও করি। এখন অনেক এরিয়া আমাদের। যেখানেই যাই আমাদের দেখে পালিয়ে যায়। যে কারণে পুলিশ আমাদের সাহায্য করলে ভালো হয়। আমরা জানার সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’

বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) সোহেল রানাকে জানালে তিনি আমার সংবাদকে বলেন, ‘সড়ক-মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনে হয়রানি-চাঁদাবাজি বন্ধের বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। এছাড়া যেকোনো প্রকার চাঁদাবাজি বন্ধেও কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। কোথাও এসব ক্ষেত্রে চাঁদাবাজির অভিযোগ পেলেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে যেই হোক না কেন ছাড় নয় বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

ডিএসসিসির সদ্য বিদায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (বর্তমান রাজউক চেয়ারম্যান) এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী আমার সংবাদকে বলেন, ‘আমি এখন সিটি কর্পোরেশনে নেই। তারপরও বলবো এগুলো অবৈধ, পুলিশকে বলা আছে ধরার জন্য, পুলিশও ধরে না।’ নগরবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ‘সড়কে চললে টোল দিতে হবে এগুলোর সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত নেই। টোল নেয়ার জন্য নির্দিষ্ট ব্রিজ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অথবা এমন কোনো সড়ক যে সড়ক সরকার উন্নয়ন খাত থেকে অথবা প্রাইভেট খাত থেকে তৈরি করেছে সেগুলোর ক্ষেত্রেই কেবল সরকার টোল আদায় করতে পারে। অন্যথায় এর নীতি-নৈতিকতার কোনো ভিত্তি নেই।’

আমারসংবাদ/জেআই