Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

সেবার মান ও দক্ষ জনবল গঠনে কাজ করছে বিদ্যুৎ লাইসেন্স বোর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ৯, ২০২১, ০৬:৩০ পিএম


সেবার মান ও দক্ষ জনবল গঠনে কাজ করছে বিদ্যুৎ লাইসেন্স বোর্ড
  • প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের অংশ হিসেবে বোর্ডের সমস্ত কার্যক্রম অটোমেশনে আনা হয়েছে, যার কারণে গ্রাহক এখন নিজ জেলায় বা ঘরে বসেই সেবা নিতে পারবেন

আধুনিক মানব সভ্যতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ ছাড়া মানবজীবন বর্তমান সময়ে কল্পনা করা যায় না। বিদ্যুতের কল্যাণে মানুষের জীবনমান সহজ এবং আধুনিক হয়েছে, তেমনি বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় সম্পদ বিনষ্টসহ ঘটছে প্রাণহানি। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সেবার মান বৃদ্ধি করে নিরাপদ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এবং দক্ষ জনবল গঠনে কাজ করছে বিদ্যুৎ লাইসেন্স বোর্ড। জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে শিল্প কলকারখানাসহ ৫০ কিলোওয়াট বা তদূর্ধ্ব ক্ষমতাসম্পন্ন সকল উচ্চ ও মধ্যম চাপের নতুন বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র এবং স্থাপনা পরিদর্শন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমোদন প্রদানের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক কাজে পেশাজ্ঞান সম্পন্ন উপযুক্ত ঠিকাদার, প্রকৌশলী ও ইলেক্ট্রিশিয়ানদের বৈদ্যুতিক ঠিকাদারি লাইসেন্স, সুপারভাইজরি সার্টিফিকেট ও কারিগরি পারমিট ইস্যুকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। সংস্থাটির কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত ফিস আদায় করে সরকারের রাজস্ব আয়েও ভূমিকা রয়েছে সংস্থাটি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারা দেশে অসংখ্য শিল্পকারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় একসঙ্গে বড় সংখ্যক মানুষ কর্মরত থাকেন। যার কারণে শিল্পকারখানায় সঠিক মানের বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন স্থাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিতরণ লাইনে সমস্যা হলেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। কারখানাগুলো সঞ্চালন লাইনের সঠিক মান, পণ্য নিশ্চিতে বিদ্যুৎ লাইসেন্স বোর্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সূত্র মতে, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ, সরবরাহ ও ব্যবহারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ১৯১০ সালে ইলেক্ট্রিসিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন হয়। অ্যাক্টের ৩৬ ধারা বলে বৈদ্যুতিক উপদেষ্টা ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দপ্তর সৃষ্টি হয়। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৪৫ জন কর্মরত আছেন। রাজধানীর বাইরে আটটি বিভাগীয় শহরে কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব কার্যালয়ে জন্য ৬৯টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বোর্ডের কার্যক্রম ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আনা হয়েছে। বিদ্যুৎ লাইসেন্স বোর্ডের প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক (যুগ্মসচিব) আবুল খায়ের মোঃ আক্কাস আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের অংশ হিসেবে বোর্ডের সমস্ত কার্যক্রম অটোমেশনে আনা হয়েছে, যার কারণে গ্রাহক এখন নিজ জেলায় বা ঘরে বসেই সেবা নিতে পারবেন।

এদিকে, অতিসম্পতি ইলেক্ট্রিশিয়ানদের বৈদ্যুতিক কারিগরি পারমিট ও ডিগ্রি-ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বৈদ্যুতিক সুপারভাইজার কম্পিটেন্সি সার্টিফিকেট এবং বৈদ্যুতিক ঠিকাদারি লাইসেন্স গ্রহণে আগ্রহী সকল ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের জন্য অনলাইনে আবেদন আহ্বান করেছে বিদ্যুৎ লাইসেন্স বোর্ড। আগামী ১১ জুলাইয়ের মধ্যে ব-ংবৎারপব.ড়পবর.মড়া.নফ ওয়েব এড্রেস ব্যবহার করে অনলাইনে আবেদন করা যাচ্ছে। অনলাইন ব্যতীত সরাসরি কোনো আবেদন করা যাবে না। আবেদনের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা সোনালী ব্যাংকে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে নির্ধারিত লাইসেন্স ফি পরিশোধ করে স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড অথবা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সেন্টার ফির টাকা পরিশোধ করতে হবে।

জানতে চাইলে বিদ্যুৎ লাইসেন্স বোর্ডের সচিব প্রকৌশলী মো. আতোয়ার রহমান মোল্লা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ, সরবরাহ ও ব্যবহারের প্রতিটি ক্ষেত্রে জনজীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা জরুরি। আমরা গ্রাহকদের নিরাপদ বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করছি। বিদ্যুতের খাতে জড়িত সকলের দক্ষতা বাড়াতেও নানা ধরনের কার্যক্রম বিদ্যুৎ লাইসেন্স বোর্ড করে থাকে। 

আমারসংবাদ/জেআই