Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

৬০ ভাগ আসামিই খালাস

জুন ৯, ২০২১, ০৯:০০ পিএম


৬০ ভাগ আসামিই খালাস
  • বিচারের আগে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়েই শেষ হচ্ছে মামলা
  • অধিকাংশই অব্যাহতি পেয়েছেন সিএমএম আদালত থেকে
  • আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে ব্যর্থ বললেও দায় নিতে নারাজ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা
  • সাক্ষীর অনুপস্থিতিতে তিন-চতুর্থাংশ ফৌজদারি আসামি খালাস পায় —শাহদীন মালিক
  • শুধু রাষ্ট্রপক্ষ নয়, সাক্ষী হাজিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও দায় আছে —অ্যাডভোকেট শিশির মনির 

২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি। ওইদিন রাতে জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এলাকায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চালায় র্যাব। মিরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মেইন গেটের সামনে থেকে মাদক বিক্রিসহ কবির হোসেন নামে মিরপুর মডেল থানার এক কনস্টেবলকে হাতেনাতে আটক করে র্যাব। তল্লাশি করে তার পকেট থেকে ছয়টি ইয়াবা জব্দ করা হয়। ওই ঘটনার পরদিন তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করে র্যাব-৪। মামলা নং ৩/১৯। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সাক্ষ্যপ্রমাণে জব্দকৃত আলামত রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনায় আসামি কবির হোসেনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) ও ১০ (ক) ধারায় অপরাধ সত্য প্রতীয়মান হয়েছে। 

ওই মামলায় সাক্ষী করা হয় ১৪ জনকে। তবে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ওই মামলায় কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। সাক্ষীরা আদালতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য দেননি। এমনকি সাক্ষীদের কাউকে আদালতে হাজির করাও সম্ভব হয়নি। তাই ওই বছর ৩০ মে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমানের আদালত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুল খালাস দেন। সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায় থেকে একরকম বিনা-বিচারেই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন কবির। দ্বিতীয় ঘটনা, ২০১৩ সালের ৬ জুলাই রাজধানীর সূত্রাপুর থানার অনুগঞ্জ লেনের জলিল ইঞ্জিনিয়ারিং দোকানের সামনে থেকে একশ পিস ইয়াবাসহ আজিজুল হক নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। 

ওই ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। পরে আজিজুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। মামলায় সাক্ষী করা হয় পাঁচজনকে। আদালতে মামলার বাদিসহ তিনজন পুলিশ ও দুজন সাধারণ মানুষ সাক্ষী দেয়। ওই মামলার রায়ে দেখা যায়, সাধারণ দুই সাক্ষীর একজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাকি একজন সাক্ষ্য দেয়ার সময় বলেছেন, তার সামনে আসামির কাছ থেকে কোনো ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়নি। ফলে সাক্ষী হাজির করতে না পারা ও একজনের নিরপেক্ষ সাক্ষীর অভাবে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ আসামিকে খালাস দেন। এ মামলাটিতেও একইভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায় থেকে অব্যাহতি মেলে একমাত্র আসামি আজিজুলের। মামলা দুটিতে ঢাকার পৃথক দুই আদালতের দেয়া অব্যাহতি আদেশে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং চার্জশিট ও সাক্ষ্যে গরমিল লক্ষ করা গেছে। তাই ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৯ ধারায় এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো এবং আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হলো। শুধু কবির ও আজিজুলই নন, প্রায়ই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ছে মাদকসেবী ও কারবারিরা। মামলা হচ্ছে, গ্রেপ্তার হচ্ছে, আসামিকে জেলেও পাঠানো হচ্ছে। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করলেও সাক্ষীর অভাবে আসামিরা অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ মাদক মামলাতেই রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এক যুগেও আদালতে সাক্ষ্য হাজির করতে না পারার নজির রয়েছে অহরহ। তাই বিচারের আগেই সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়েই শেষ হয়ে যাচ্ছে মামলা। অনেকটা বিনা-বিচারে খালাস পেয়েই ফের সক্রিয় হচ্ছে মাদকে। ফলে সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে না পারায় উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে দায়মুক্তি। প্রতিনিয়তই জামিন ও খালাস পাওয়ার খবরও আসছে গণমাধ্যমগুলোতে।

সূত্র জানায়, সমপ্রতি সাক্ষীর অভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায় থেকেই আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এমন শতাধিক মামলার তালিকা পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। ওই তালিকা অনুযায়ী, রাজধানীর ঘটনাগুলোর মধ্যে অধিকাংশ আসামিই অব্যাহতি পেয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত থেকে। আদেশে আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে ব্যর্থ বললেও দায় নিতে নারাজ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। পুলিশের ওপর দায় চাপিয়ে তারা বলেন, প্রসিকিউশনই শুধু রাষ্ট্রপক্ষ না, পুলিশও রাষ্ট্রপক্ষের অংশ। সাক্ষী হাজির করার দায়িত্বও তাদের। দায় এড়িয়ে তারা বলছেন, সাক্ষীদের একাধিকবার সমন দিয়েও আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। হাজির না হওয়ায় জারি করা হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও। তবুও আদালতে আসছে না সাক্ষীরা। সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে সম্প্রতি অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও দেয়া হয়েছে বলে জানান তারা। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনিতেই মাদক মামলার বিচারে তৈরি হয়েছে নানা আইনি জটিলতা। মাদক মামলার বিচার পৃথক ট্রাইব্যুনালে নাকি জেলা ও দায়রা জজ আদালত, এ নিয়ে একপ্রকার ঠেলাঠেলি চলছে। সম্প্রতি সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। তবে এমন জটিলতায় এ সংক্রান্ত মামলার জট বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাক্ষী হাজির করতে না পারায় দায়মুক্তি দিয়ে জট কমানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সাক্ষী হাজিরে এখানে শুধু রাষ্ট্রপক্ষ নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও দায় রয়েছে। কারণ রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষী হাজির করতে বারবার তাগিদ দিতে পারে। কিন্তু তারা তো আর সাক্ষীকে ধরে আদালতে আনতে পারেন না। সাক্ষীকে আদালতে আনার দায়িত্ব পুলিশের। তাই ব্যর্থতার অর্ধেকটা তাদের ঘাড়েও বর্তাবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৩ ধারা অনুযায়ী কোনো মাদকদ্রব্য বা অন্যকিছু জব্দ করতে হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাক্ষী করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বড় ধরনের মাদক কারবারিদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সখ্য থাকায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাক্ষী না করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স হিসেবে যারা কাজ করে তাদের সাক্ষী করা হয়। কিংবা পথচারী বা ভাড়াটিয়াদের সাক্ষী করা হয়। এ কারণে পরে তারা আর সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন না। আদালত থেকে সমন যাওয়ার আগেই ভাড়াটিয়ারা বাসা পরিবর্তন করে অন্যত্র চলে যায়। ফলে আসামিরা খালাস পেয়ে যায়। আইনজীবীরা বলছেন, সাক্ষী হাজির না করতে পারা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতম দিক। রাষ্ট্রপক্ষের ব্যর্থতার দায় তাদের নিতেই হবে। সাক্ষী হাজির না হওয়ার কারণে অধিকাংশ সময়ই আসামি খালাস পেয়ে যায় এটা একটি দেশের জন্য দুঃখ ও কলঙ্কজনক। তাই যথাযথ সাক্ষীদের হাজির করার বিষয়টি কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, ‘আসলে আদালতে সাক্ষী হাজির করার দায়িত্ব রাষ্ট্রপক্ষের। তারা যদি সময়মতো আদালতে সাক্ষী না আনতে পারে তাহলে এটা তাদের দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতার সামিল। আবার অন্যভাবে বিবেচনা করলে দেখা যাবে— এখানে দায় শুধু রাষ্ট্রপক্ষের নয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও রয়েছে। কারণ রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষী হাজির করতে বারবার তাগিদ দিতে পারে কিন্তু তারা তো আর সাক্ষীকে ধরে আদালতে আনতে পারেন না। সাক্ষীকে আদালতে আনার দায়িত্ব পুলিশের। তাই ব্যর্থতার কিছু অংশ তাদের ঘাড়েও বর্তাবে। কোনো ব্যক্তি যদি গ্রেপ্তার হন তাহলে সংবিধান অনুযায়ী তার দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্র যদি তাকে সাক্ষীর অভাবে বিনা বিচারে বছরের পর বছর আটকে রাখে, তাহলে সেটা অবিচার ও ন্যায়বিচার পরিপন্থি। সাক্ষীর অভাবে দায়মুক্তি দেয়া হচ্ছে— এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের কাজ হলো প্রকৃত অপরাধীকে বিচারের মুখোমুখি করা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। যদি সে বিচারের সম্মুখীন না করতে পারে তাহলে মুক্তি দেয়াই উত্তম। এ ছাড়া উপায়ও নেই।’ 

সাক্ষী হাজির করতে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ, আদালতের এমন আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ বলতে শুধু প্রসিকিউশনকে বুঝায় না। পুলিশও রাষ্ট্রপক্ষের একটি অংশ। মূলত সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সমন বাস্তবায়ন করে। তাই পুলিশের সাক্ষীদের হাজির করার দায়িত্ব পুলিশকেই নিতে হবে।’ এ বিষয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ার কারণে অনেক সময়ই মামলা টেকে না। এটা আসলে আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতম দিক। যথাযথ সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ার কারণে সার্বিকভাবে তিন-চতুর্থাংশ ফৌজদারি মামলার আসামি খালাস পেয়ে যায়। পুলিশ সাক্ষী নিজে উপস্থিত হওয়া এবং অন্য সাক্ষীকে উপস্থিত করা, এই বিষয়ে কঠোর নজরদারি না থাকার কারণে ফৌজদারি মামলাগুলো অর্থহীন হয়ে যায়। তাই সাক্ষী হাজির করার বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে বলে মন্তব্য করেন শাহদীন মালিক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনায় বিপর্যস্ত বছর ২০২০ সালে সারা দেশের আদালতে ডিএনসির ৭২২টি মাদক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এসব মামলায় আসামি ছিলো ৭৬৬ জন। হিসাবে দেখা যায়, মোট মামলার মধ্যে ৪১২টি মামলায় ৪৩৩ জন আসামি অর্থাৎ ৫৭.৫ ভাগ মামলার সব আসামিই খালাস পেয়েছে। সাজা হয়েছে ৩১০টি অর্থাৎ ৪৩ ভাগ মামলার ৩৩৩ জন আসামির। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলায় চলতি বছরের মাসব্যাপী হিসাব হালনাগাদ করা সম্ভব হয়নি। হালনাগাদ চলছে বলে জানা গেছে। এদিকে গত পাঁচ বছরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ১৩ হাজার ৩৪৮টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৭২০টি মামলায় ছয় হাজার ৫০৯ জনের সাজা হয়েছে। খালাস হয়েছে ৯ হাজার একশত ৪০ জনের। এ ছাড়াও গত ১১ বছরে ৬১ হাজার ৬৮০টি মামলা পেন্ডিং রয়েছে। 

একযুগে মামলা নিষ্পত্তির চালচিত্র : ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১২ বছরে মাদক মামলার নিষ্পত্তির তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন আদালত এই এক যুগে ডিএনসির ২৮ হাজার ২৬৬টি মাদক মামলা নিষ্পত্তি করেছে। এসব মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৩০ হাজার ৭৬৪ জন। এর মধ্যে সাজা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৫৩টি মামলায় ১৪ হাজার ৮৯৫ জনের। খালাস পেয়েছে ১৩ হাজার ৯১৩টি মামলায় ১৫ হাজার ৮৬৯ জন। অর্থাৎ মোট মামলার ৫১ দশমিক ৫৮ শতাংশ আসামি। সব মিলিয়ে দেশে এখন বিচারের অপেক্ষায় ঝুলে আছে প্রায় চার লাখ মাদক মামলা। জানা গেছে, দেশের ইতিহাসে ইয়াবাসংক্রান্ত প্রথম মামলাটিও ১৬ বছরে নিষ্পত্তি হয়নি। মামলার ১৫ সাক্ষীর মধ্যে মাত্র দুজন এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে। অন্য সাক্ষীদের বিরুদ্ধে একের পর এক সমন জারি করেও হাজিরা নিশ্চিত করা যায়নি, যাদের মধ্যে ৯ জন সরকারি কর্মকর্তা। এ ছাড়া ২৭ বছর আগে করা মামলাও আছে বিচারের অপেক্ষায়। 

২০১৯ সালে ১০ বছরের নিষ্পত্তিকৃত মাদক মামলা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে একটি প্রতিবেদন জমা দেয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। সেখানে আসামি খালাস পাওয়ার আটটি কারণ চিহ্নিত করা হয়। সেগুলো হচ্ছে— ত্রুটিপূর্ণ এজাহার, মামলার বাদি ও তদন্ত কর্মকর্তা একই ব্যক্তি, জব্দ তালিকায় স্থানীয় সাক্ষীদের সাথে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের বক্তব্যের অমিল, জব্দ তালিকায় উল্লিখিত সাক্ষী ও অন্যান্য সাক্ষী আদালতে হাজির করাতে ব্যর্থতা, উপযুক্ত, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষী উপস্থাপনে ব্যর্থতা, আইনের বিধান অনুযায়ী জব্দ তালিকা তৈরি করতে না পারা, মামলার বাদি ও অভিযানকারী দলের সদস্যদের বক্তব্যে অমিল এবং মামলার বাদি ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য না দেয়া।

আমারসংবাদ/জেআই