Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

৩২ জেলায় সংক্রমণের উচ্চহার

মাহমুদুল হাসান

জুন ৯, ২০২১, ০৯:২৫ পিএম


৩২ জেলায় সংক্রমণের উচ্চহার
  • প্রত্যেককেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে : অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, মুখপাত্র, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর 
  • সীমান্তে কঠোর লকডাউন জরুরি —অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ উপাচার্য, বিএসএমএমইউ
  • সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্কে আরও জোর দিতে হবে : আসিফ সালেহ নির্বাহী পরিচালক, ব্র্যাক

করোনার তৃতীয় ঢেউ উঁকি দিচ্ছে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টাসহ অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের পর থেকেই দেশে করোনা সংক্রমণের উচ্চহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুরুতে সীমান্তবর্তী জেলায় শনাক্তের হার বৃদ্ধি পেলেও এখন সেটা দেশের অধিকাংশ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকার ৯ জেলাসহ দেশের ৩২ জেলায় অস্বাভাবিক হারে রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এতেই ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের দ্বারপ্রান্তে। সরকারও করোনা সংক্রমণের উচ্চহারের বিষয়টি স্বীকার করেছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের খুব কাছে আমরা, এজন্য দায়ী ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টসহ অন্যান্য বিদেশি ভ্যারিয়েন্ট। দেশে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে ভারতীয় (ডেল্টা) ভ্যারিয়েন্ট। অবৈধপথে ভারতে যাতায়াতের ফলেই এই সংক্রমণ সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে। গত ২৬ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। এ সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ বেড়েছে। ১০ মে থেকে এখন পর্যন্ত অবৈধভাবে ভারত থেকে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন ৬৫ জন। এসব অবৈধ অনুপ্রবেশের ফলে সীমান্ত এলাকাসহ দেশে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। এরপরও হতাশ না হয়ে আমরা চাইলেই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সীমান্তে টহল বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবনযাপন করলে কমে যাবে সংক্রমণ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও সবাইকে সচেতনভাবে করোনা মোকাবিলায়এ এগিয়েআসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশের ৩২ জেলায় নতুন করে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। তার মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৯টি, চট্টগ্রামের পাঁচটি, খুলনার ছয়টি, রাজশাহীর তিনটি, রংপুরের তিনটি, বরিশালের তিনটি, সিলেটের দুটি এবং ময়মনসিংহের একটি জেলা রয়েছে। ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের ৩২ জেলা হলো— ঢাকা মহানগর ৪ দশমিক ৪৮ ভাগ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ফরিদপুর ২৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ২৮ দশমিক ২১ শতাংশ। গাজীপুর ১১ দশমিক ২১ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গোপালগঞ্জ ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। কিশোরগঞ্জ ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মাদারীপুর ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। মুন্সীগঞ্জ ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ৮ শতাংশ। রাজবাড়ী ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো শূন্য শতাংশ। শেরপুরে ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। রাঙ্গামাটি ১২ দশমিক ১২ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। খাগড়াছড়িতে ১০০ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। লক্ষ্মীপুর ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো শূন্য শতাংশ। কুমিল্লা ৭ দশমিক ১৯ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো শূন্য শতাংশ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। সিরাজগঞ্জ ১৪ দশমিক ০৪ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ। বগুড়া ১৪ দশমিক ০৪ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।

ঠাকুরগাঁও ২৫ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। দিনাজপুর ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। গাইবান্ধা ২২ দশমিক ২২ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গা ৪৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ২৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। যশোর ৪৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, ঝিনাইদহ ২৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ৩১ দশমিক ১৪ শতাংশ। খুলনা ৩১ দশমিক ৫২ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ২৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। কুষ্টিয়া ২৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ২৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। সাতক্ষীরা ৫৫ দশমিক ০৮ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ৫৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। ভোলা ২৭ দশমিক ২৭ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। পিরোজপুর ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ৫৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ঝালকাঠি ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ। সুনামগঞ্জ ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। হবিগঞ্জ ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, আগের দিন সংক্রমণের হার ছিলো ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। একদিনের ব্যবধানে দেশে সংক্রমণের হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ। আগের একদিনের তথ্য পর্যালোচনা করে এ পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন সময় ভারতে থাকা বাংলাদেশিদের সঙ্গে ওপারের দালালরা যোগাযোগ রাখে। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে রাতের আঁধারে এপারের দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। সীমান্তে প্রবেশের সময় কিছু মানুষ আটক হলেও বেশির ভাগ অধরা থেকে যায়। অন্যদিকে আটকের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ছাড়াতে আদালতপাড়ায় ভিড় করেন দালাল চক্রের সদস্যরা।
৫৮ বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ মে পর্যন্ত ৭৭৭ জনকে আটক করেছিল বিজিবি। যারা সবাই বাংলাদেশ থেকে অবৈধপথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। যাদের বিরুদ্ধে সীমান্তবর্তী মহেশপুর থানায় পাসপোর্ট আইনে ১৪৯ মামলা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১৭৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৭০, মার্চে ২২২, এপ্রিলে ১০৬ এবং মে মাসের পাঁচ দিনে মাত্র চারজন আটক হয়েছে। সর্বশেষ এখন পর্যন্ত আট শতাধিক আটক হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। খুলনা বিভাগে গতকাল মারা গেছেন ১৭ জন আর রাজশাহী বিভাগে আটজন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। আইসিইউর চাহিদা বাড়ায় হিমশিম খাচ্ছেে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাতক্ষীরায় গতকাল ১৮২ জনের করোনা পরীক্ষায় ১০৮ জন পজেটিভ। সংক্রমণের হার ৫৫ থেকে ৫৯ শতাংশে পৌঁছেছে। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও চারজন। গতকাল খুলনা কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাাতালে করোনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ২৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ৮১ জন। সংক্রমণ শনাক্তের হার খুলনা সদরে ৫৯ শতাংশ, সোনাডাঙ্গায় ৩৫ শতাংশ এবং খালিশপুরে ৩৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলা বাগেরহাটে কোভিড হাসপাতালে নেই কোনো ভেন্টিলেটর। তিনটি আইসিইউ থাকলেও চালানোর মতো নেই কোনো জনবল। গতকাল ১৫৪ জনের মধ্যে ৫৯ জন পজেটিভ, মারা গেছেন তিনজন। শনাক্তের হার ৩৮ শতাংশ। সংক্রমণ বাড়ায় বুধবার সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে প্রশাসন।
রাজশাহীতে দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। সেই সঙ্গে বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ। এতে হিমশিম অবস্থা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক)। হাসপাতালটিতে গতকাল করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীর পাঁচ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনজন। একদিনে ৪৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৯ জন। শনাক্তের হার ৪০ শতাংশ। গত ২৪ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ১৭ দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও আইসিউতে মারা গেছেন ১৩০ জন। হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে সংক্রমণ ঠেকাতে নাটোর জেলার সদর ও সিংড়া পৌরসভায় চলছে সাতদিনের লকডাউন। গতকাল ১৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ জন বলে জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। যশোরে গতকাল নতুন করে ১৪৩ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছে দুজন। শনাক্তের হার ৪৯ শতাংশ। এছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। আর ঝিনাইদহে বুধবার সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪১ শতাংশে।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, করোনা ঠেকাতে বিধিনিষেধ বা লকডাউন দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এই পদ্ধতি কার্যকর নয়, বরং অত্যন্ত ব্যয়বহুল। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো একটি উপজেলায় পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫৯ শতাংশ। যা সত্যিই বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়। এ অবস্থায় করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নামে পরিচিত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ যাতে দেশব্যাপী ছড়িয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে দুই সপ্তাহের জন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে অবশ্যই কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য সব জেলা ও শহরগুলোর পরিবহন যোগাযোগ বন্ধ রাখতে হবে। সীমান্তবর্তী জেলা-উপজেলাগুলোতে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার জোগান নিশ্চিত করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, দেশে করোনা ভাইরাসে প্রায় ৬০ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের বেশির ভাগই সুস্থতা অর্জন করেছেন। তবে এই রোগীদের মধ্য থেকে প্রায় ১৩ হাজার মানুষকে আমরা হারিয়েছি। আমাদের কাছে প্রতিটি মৃত্যুই বেদনার। সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা কমে এসেছিল। কিন্তু সেটা আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত মাসের শেষের দিকে সংক্রমণের হার ৯ দশমিক ৮ শতাংশে ছিলো, এরপর ৪ তারিখ থেকে সেটি ১০ শতাংশ, পরদিন ১১ শতাংশ এবং গত মঙ্গলবার আমরা ১২ শতাংশ দেখেছি। করোনা থেকে বাঁচতে আমাদের প্রত্যেককেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

আমার সংবাদ/জেআই