Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

শেখ হাসিনার মুক্তি গণতন্ত্রের পুনর্যাত্রা

আসাদুজ্জামান আজম

জুন ১০, ২০২১, ০৬:১০ পিএম


শেখ হাসিনার মুক্তি গণতন্ত্রের পুনর্যাত্রা

সামরিক শাসনের যাঁতাকল আর ঘুণে ধরা গণতন্ত্রের বেড়াজাল ভেদ করে দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরের বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান বঙ্গবন্ধুকন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার এ মুক্তির মধ্য দিয়ে ওইদিন রাজনৈতিকভাবে পথ হারানো বাংলাদেশ আলোর ঝলকানি পেয়েছিল। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যার মুক্তির মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ধারায় পুনর্যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ।

সেনা সমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন শ্রাবণের বৃষ্টিমুখর ভোরে সুধাসদনে প্রবেশ করে যৌথবাহিনী। রাতেই শেখ হাসিনার বাসভবন ঘিরে রেখেছিল দুই সহস্রাধিক পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা। মধ্য রাতে তুলে নেয়া হয় তার বাসার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অরক্ষিত অবস্থাতেই ফজরের নামাজ আদায় করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এরপর বের হয়ে আসেন সাদা শাড়ি পরে। সকাল সাড়ে ৭টায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তড়িঘড়ি করে নেয়া হয় সিএমএম কোর্টে।

কাকডাকা ভোরে দ্রুত আদালত বসিয়ে তার জামিন আবেদন খারিজ করে বন্দি করা হয় সংসদ ভবন এলাকার সাবজেলে। সেখানে প্রথমে তাকে সংবাদপত্র ও টেলিভিশন থেকেও দূরে রাখা হয়েছিল, দেখা করতে দেয়া হয়নি স্বজন-নেতাকর্মী বা আইনজীবীর সঙ্গেও। শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই দেশজুড়ে প্রতিদিনই আন্দোলন-সংগ্রাম-প্রতিবাদ চলতে থাকে। ২৪ জুলাই মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়। সেই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন তার পুত্র ও বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। বন্দি অবস্থায় শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘদিন স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ রাখা হয়। ফলে তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। গ্রেনেড হামলায় আহত কান ও চোখ চিকিৎসার অভাবে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। মানসিকভাবে শক্ত থাকলেও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে স্লো-পয়ঃজনিং করা হচ্ছে বলেও আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে ঘটতে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছালেও তার জন্য ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েও দেশ ও জনতার কথা ভুলে যাননি নেত্রী। ২০০৭ সালের জুলাই মাসে তাকে যখন নির্জন কারাগারে ঢুকিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখানো হচ্ছিলো, ঠিক তখনই আগস্ট মাসে দেশজুড়ে তখন চলছিল ভয়াবহ বন্যা। গণমাধ্যমে এই খবর দেখে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা পাঠান তিনি। এমনকি সেই বছরের নভেম্বরে যখন সিডরের আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় উপকূলবর্তী দেশের এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল, তখনো দলমত নির্বিশেষে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগের প্রতি নির্দেশ দেন তিনি।

কারাবন্দি অবস্থায় একের পর এক মোট ১৩টি মামলা সাজানো হয় তার নামে। ২০০৮ সালের ২৩ মে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দলের ৭২টি সাংগঠনিক শাখার তৃণমূল নেতারা শেখ হাসিনার প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন এবং তাকে জেল থেকে মুক্ত করার জন্য দেশজুড়ে চলমান আন্দোলন জোরদার করার ঘোষণা দেন। ২৭ ও ২৮ মে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত হয় শেখ হাসিনাকে নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে হবে। আওয়ামী লীগের এই ঘোষণার পর দেশজুড়ে শুরু হয় গণগ্রেপ্তার। প্রায় ২০ হাজার মানুষকে আটক করা হয়। কিন্তু তবুও শেখ হাসিনার পক্ষে গণজোয়ার থামানো যায়নি।

সব রকমের ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাব ও অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ২০০৮ সালের ১১ জুন বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনাকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তারা। এমনকি গাড়িতে করে তার নিজ বাসভবন সুধাসদনে পৌঁছে দেয়া হয়।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। এ সময় বিদেশে থাকায় আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ১৯৮১ সালের ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ডাক আসে দেশমাতৃকার হাল ধরার। সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। এরপর দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তার একটানা অকুতোভয় সংগ্রাম। জেল-জুলম, অত্যাচার কোনো কিছুই তাকে তার পথ থেকে টলাতে পারেনি একবিন্দু। তার সুদক্ষ নেতৃত্বে গতি পায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্র থেকে তৃণমূল। রাজধানীসহ প্রতিটি গ্রামে গ্রামে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের পতাকা উত্তোলিত হতে থাকে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা অদ্বিতীয়া। হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, বাংলাদেশের উন্নয়নের কাণ্ডারি তিনি। পিতা মুজিবের বিশালত্ব ছুঁয়েছেন তিনি। শত হুমকি-ধমকি, বিশ্ব মোড়লের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই পিতা মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। শক্ত হাতে হাল ধরেছেন দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো সফলতা পান, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। তার সরকারের আমলেই ভারতের সাথে স্বাক্ষরিত হয় ঐতিহাসিক গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি, সম্পাদিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি। বাংলাদেশ অর্জন করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা। প্রবৃদ্ধি ৬.৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। মুদ্রাস্ফীতি নেমে আসে ১.৫৯ শতাংশে। দারিদ্র্য হ্রাস পায়। খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ক্রীড়াসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। চারবার দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে রেখেছেন হিমাদ্রী শিখর সফলতার ছাপ। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গঠন ও মানবতায় বিশ্বের মোড়লদের মধ্য আলোকবর্তিকা হয়েছেন। যার আলোয় আজ গোটা বাংলাদেশ বিশ্বের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধামনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। তাকে বলা হয় বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থানের নেপথ্য কারিগর। বিশ্বরাজনীতির উজ্জ্বলতম প্রভা, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পিছিয়ে পড়া দেশ-জাতি জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র হিসেবে বিশ্বনন্দিত নেতা। বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা নীলকণ্ঠ পাখি, মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী। তিমির হননের অভিযাত্রী। মানবতার জননী, আত্মশক্তি-সমৃদ্ধ সত্য-সাধক। প্রগতি, উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধির সুনির্মল মোহনা। একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। শান্তি, গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্যবিমোচন, উন্নয়ন এবং দেশে দেশে, জাতিতে-জাতিতে সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব মানবতার বিবেক হিসেবে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।

একজন শেখ হাসিনার আকাশ ছোঁয়া সফলতার পথ কখনোই মসৃণ ছিলো না। জীবনের প্রতিটি বাঁকে জীবননাশের ঝুঁকি ছিলো। ঈর্ষণীয় নেতৃত্ব আর সফলতার জন্য প্রতিপক্ষের আঘাত বারবারই তার ওপর এসেছে। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস তিনি গৃহবন্দি থেকেছেন। সামরিক স্বৈরশাসনামলেও বেশ কয়েকবার তাকে কারা নির্যাতন ও গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। বারবার তার জীবনের ওপর ঝুঁকি এসেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি অসীম সাহসে তার লক্ষ্য অর্জনে থেকেছেন অবিচল। ৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর অন্তত ১৯ বার আঘাত এসেছে তার জীবনের ওপর। প্রতিবার তিনি বেঁচে গেলেও একাধিক ঘটনায় জীবন দিতে হয়েছে অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে দলীয় সমাবেশে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সাতজন নিহত এবং তিন শতাধিক লোক আহত হয়। ১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট হামলার শিকার হন তিনি। ওইদিন রাতে বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুক-রশিদের ফ্রিডম পার্টির একদল সন্ত্রাসী ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন লক্ষ্য করে গুলি চালায় ও একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ১৯৯১-এর ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ধানমন্ডির একটি স্কুলে উপনির্বাচনের ভোট দেয়ার পর তাকে লক্ষ্য করে ২০-২৫ রাউন্ড গুলি ও বোমাবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। এরপর ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদীতে রেলগাড়িতে সফরে ছিলেন শেখ হাসিনা। নাটোর স্টেশনে তার সমাবেশে যোগদানের কথা ছিলো। ওই সমাবেশ পণ্ড করতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। ওই হামলার টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা।  ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার শিকার হন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা। বিএনপি-জামায়াত জোটের সরকারি মদদে পরিকল্পিত গ্রেনেড হামলা চালানো হয়; শেখ হাসিনাকে হত্যা করাই ছিলো তাদের মূল লক্ষ্য। গুরুতরভাবে আহত হলেও আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তবে এই হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান অসংখ্য নেতাকর্মী। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনের অবসান হলেও বিএনপির রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীন আহমেদ নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ দখল করেন। হাওয়া ভবনের নির্দেশে চলতে থাকে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নির্বাচনি প্রহসনের প্রস্তুতি। গর্জে উঠে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। শুরু হয় গণআন্দোলন। বাতিল হয় পাতানো নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন ইয়াজউদ্দিন। ঘোষিত হয় জরুরি অবস্থা। ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত হয় নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ৯/১১-র পর নতুন ষড়যন্ত্র। শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য হাজির করা হয় মাইনাস টু তত্ত্বের। শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরে আসার সময় নিষেধাজ্ঞা জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সরকারি নিষেধাজ্ঞা, যড়যন্ত্র ও মৃত্যু ভয় উপেক্ষা করে ২০০৭ সালের ৭ মে ফিরে আসেন প্রিয় স্বদেশে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অর্জিত হয় ঐতিহাসিক বিজয়। এককভাবে আওয়ামী লীগই লাভ করে তিন-চতুর্থাংশের বেশি আসন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন  আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। গঠিত হয় মহাজোট সরকার। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন দেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। এরপর চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আসেন শেখ হাসিনা। দলীয় প্রধান ও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

তারা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পরানদহা গ্রামের রুপবান বিবি (৫৫), আখড়াখোলা আমতলা গ্রামের রিজিয়া খাতুন (৩৫), ভোমরা ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুস (৫৫) ও শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার কামরুজ্জামান (৬৫)। এ নিয়ে জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ২৪০ জন। আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৪৯ জন।

আমারসংবাদ/জেআই