Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

‘আমি শুদ্ধ গানের যাত্রী’

জুন ১১, ২০২১, ০৫:৫০ পিএম


‘আমি শুদ্ধ গানের যাত্রী’
  • সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠের শিল্পী কানিজ খাদিজা তিন্নির নতুন মৌলিক গান ‘শত শত রাত’। গানটির কথা ও সুর করেছেন অভি মঈনুদ্দীন। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ইউসুফ আহমেদ খান। নতুন এই গানসহ অন্য প্রসঙ্গে তিন্নির সঙ্গে কথা বলেছেন রকিব হোসেন

বেশকিছু দিন হলো আপনার নতুন গান ‘শত শত রাত’ প্রকাশিত হয়েছে। শ্রোতাদের সাড়া কেমন পেলেন?

এই গানটি দুটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে। ‘ওয়াই বিটস’ পুরনো চ্যানেল কিন্তু ‘অভি নন্দন’ চ্যানেলটির আত্মপ্রকাশ হয়েছে এই গানটি প্রচারের মধ্য দিয়ে। কিন্তু গানের ভিউয়ের দিক দিয়ে অভি নন্দন আর ওয়াই বিটস-এর অবস্থান একই রকম। আসলে আমার নতুন এই গানটির জন্য আমি শ্রোতামহল থেকে দারুণ সাড়া পেয়েছি। বিশেষ করে আমি সচেতন শ্রোতাদের কথা বলছি। যারা শিক্ষত, শুদ্ধ ধারার গান শোনেন এমন শ্রোতাদের কাছ থেকেই আমি ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। এখন তো মানুষ গান দেখেন বেশি, শোনেন কম। যারা গান বোঝেন তারা এই গানটির জন্য আমাকে প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে গানের লিরিক, টিউন, কম্পোজিশন এবং ভিডিওর থিম—সবকিছুর জন্য শ্রোতাদের ভালো কমপ্লিমেন্ট পেয়েছি। এটা আমার জন্য ভালোলাগার ছিল।

এই গানের পর নতুন গান নিয়ে ভাবনা আছে কী?

আসলে এখন নতুন করে গান নিয়ে ভাবতে গেলে অনেক কিছুই মাথায় রাখতে হয়। করোনাকালীন সময়ে কখন কী পরিস্থিতি সামনে চলে আসে তা বলা যায় না। এ কারণে নতুন গান করা, এর ভিডিও নির্মাণ—এই বিষয়গুলো নিয়ে সময় করে ভাবতে হচ্ছে। ফলে এই মুহূর্তে নতুন গানের কথা ভাবছি না। তবে নিয়মিতই বিভিন্ন চ্যানেলের লাইভ শোতে গাইছি। মাঝে যখন আমাদের দেশে করোনার প্রকোপ কমেছিল, তখন বেশ কয়েকটি স্টেজ শো করেছিলাম। এখন সেটাও বন্ধ। দেশে করোনার ভারতীয় ধরণ আসার পর থেকে আমিও সাবধানে রয়েছি। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হচ্ছি না। বাসায় থেকেই গানের অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি।

আপনি টিভি চ্যানেলে ও স্টেজ শোতে গান করছেন। এ দুই ধারার গানের আনন্দ কীরকম?

এ দুই মাধ্যমে গান করার আনন্দ আলাদা। আমি যখন টিভি চ্যানেলে গান করি, তখন দর্শকদের দেখতে পাই না। আমার গান ও গায়কীকে তারা কীভাবে নিচ্ছেন, সেটা জানার সুযোগ থাকে না, বিশেষ করে আমি রেকর্ডেড প্রোগ্রাম করলে। তবে লাইভ গানের অনুষ্ঠানে সরাসরি দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ ঘটে। এটা দারুণ আনন্দের। কিন্তু সবচেয়ে বেশি মজার জায়গা স্টেজ। আমি এই ধারায় গান করে বেশি মজা পাই। স্টেজে গাইতে গেলে শ্রোতাদের রিপারকেশনটা নিজ চোখে দেখা যায়। তাদের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলা যায়। ভালোটা যেমন তারা প্রকাশ করে আবার নেগেটিভ কিছু হলে সেটাও জানিয়ে দেয়। এই মুহূর্তে স্টেজ শো অনেক মিস করছি। 

আপনার সমসাময়িক অনেকে যখন কমার্শিয়াল গানের দিকে বেশি মনোযোগী সেখানে আপনাকে একটু আলাদা মনে হচ্ছে। এ কারণ কী?

আমি যে কমার্শিয়াল গান করি না, তা নয়। তবে আমি গানের মানের দিকে বেশি মনেযোগ দেই। গানের কথা ও সুর যেন ভালো হয় সেটার দিকে আমার নজর থাকে। গান করলাম, আসলাম আর গেলাম—আমি এমনটিতে বিশ্বাসী নই। আমি শুদ্ধ গানের যাত্রী। একটা গান করার মানে হচ্ছে আমার গানের যেন সম্মান থাকে, গানটা যেন শ্রোতাদের হূদয়ে আমাকে বাঁচিয়ে রাখে। গানটা শুনলে যেন শ্রোতাদের হূদয়ে প্রশান্তি আসে। আমি খুব হালকা মেজাজের মানহীন গান করতে চাই না।

আপনার বড় খালার নাম সাবিনা ইয়াসমিন, মায়ের নাম রুনা লায়লা—কণ্ঠশিল্পী হওয়ার ক্ষেত্রে কী এই নামগুলোর কোনো প্রভাব রয়েছে?

আসলে আমার নানা-নানি এককালে খুব বাংলা সিনেমা দেখতেন। তাদের যুগে শ্রদ্ধেয় রাজ্জাক-কবরী জুটি খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। তখনকার সুপারহিট গানগুলো শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমিন ম্যাডামই বেশি গাইতেন। তাদের প্রতি ভালোলাগা থেকেই আমার মায়ের নাম রুনা লায়লা ও খালার নাম সাবিনা ইয়াসমিন রাখা হয়। তবে ছোটবেলায় আমি খেলাধুলার প্রতি বেশি আকৃষ্ট ছিলাম। আমি ছবি আঁকা, নাচ ও গান—সবই শিখেছি। গানে আমাকে প্রথম অনুপ্রাণিত করেছেন মা। পরে জেনেছি বাবার ইচ্ছে ছিল শিল্পী হবেন। তিনি গান শিখেও ছিলেন। এখন আমার গানে বাবা বেশি অনুপ্রেরণা দেন। তবে আমার নানা-নানি হয়তো কখনো চিন্তাও করেননি যে, তাদের নাতনি একসময় গানের জগতে বিচরণ করবে।

আমারসংবাদ/জেআই