Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪,

মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিক বিচ্যুতি

রায়হান আহমেদ তপাদার

জুন ১৩, ২০২১, ০৭:৩৫ পিএম


মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিক বিচ্যুতি

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আদিকাল থেকে সভ্যতার সিঁড়ি বেয়ে মানুষ তার প্রয়োজনে সামাজিকভাবে জীবন যাপনের লক্ষ্যে কিছু নিয়মনীতি শৃঙ্খলাবোধ আইন প্রথা মেনে চলে। যদিও জনগণের কল্যাণ মূলত আইনের উদ্দেশ্য তবুও সবসময় সর্বক্ষেত্রে আইন ন্যায়বিচার ও নীতির ওপর অটল থাকে না। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে আইনের দৃষ্টিতে সমান এই কথাটি সকলে বললেও মূলত তা পুরোপুরি সঠিক নয়। যদিও আইন কোনো ব্যক্তি বা বিশেষ মোকদ্দমার জন্য প্রণীত হয় না তবুও গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় আইনের শাসন ও মানবাধিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ নিজেকে সভ্য করার চেষ্টা করছিল সেই আদিকাল থেকে যা এখনো নিরন্তর। আদিকালে মানুষের ভাষাজ্ঞান, পরিসংখ্যান ও তথ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে মৌলিক অধিকার সম্পর্কে তাদের জ্ঞান ছিলো না। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সে যুগের মানুষকে বর্বর বা অসভ্য ভাবা হলেও তারা বর্তমানে এক শ্রেণির মানুষের মতো অমানবিক ছিলো না। সামাজিক নীতিশাস্ত্র একটি ধারণা যা ব্যক্তিদের নৈতিক আচরণের পাশাপাশি তাদের সম্মিলিত বাস্তবতা এবং তাদের ব্যক্তিত্বের সংমিশ্রণের সাথে সম্পর্কিত। এটা সব সম্পর্কে লোকেরা তাদের শারীরিক ও নৈতিক সততা এবং অন্যের প্রতি সম্মান রেখে অন্যের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে বাঁচতে সক্ষম হতে হবে এমন আচরণের নীতিমালা। মূল্যবোধের দীনতা এবং নৈতিকতার বিচ্যুতি সমাজে ঘটে যাওয়া বিচ্ছিন্ন ঘটনায় প্রায়ই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় পরিবার ও সমাজের দায় এবং আমাদের বিপরীতমুখী যাত্রার প্রবণতা ও বাসনা।

মুরারিচাঁদ কলেজের ধর্ষণকাণ্ড, ফেনীর নুসরাত হত্যা, সাব-রেজিস্ট্রারের ছেলে দিহানের লাগামহীন জীবন এবং সমপ্রতি ঘটে যাওয়া গুলশান ট্রাজেডি কিসের ইঙ্গিত বহন করছে? এ সমাজের সবাই উচ্চাভিলাষী এবং চাকচিক্যময় জীবন উপভোগ করতে চায়। যুগের পরিবর্তনে এ চাওয়াটা অমূলকও নয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো এসব চাওয়া কিভাবে পূরণ করবে? বিপত্তিটা সেখানটায়? সমাজের মূল্যবোধ চর্চার নিম্নগামীতার সুযোগেই নানামুখী নেতিবাচক প্রপঞ্চগুলো যাপিত জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে সমাজ-সংসারে বিঁধছে। একসময় এ সমাজে সামাজিক অসঙ্গতি অস্থিরতা ও অসামাজিক ক্রিয়া-কলাপ সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চোখ লজ্জার অস্তিত্ব থাকলেও বিশ্বায়ন এবং প্রযুক্তির প্রসারে আজ এসব অতীত এবং কারো কাছে গেঁয়ো এবং সেকেলের মানসিকতা বলে বিবেচিত হয়। বিভিন্ন গবেষণায় মানবাধিকারের যে তত্ত্বসমূহ দেখা যায় তম্মধ্যে প্রকৃতিবাদী মতবাদ, প্রত্যক্ষবাদী মতবাদ ঐতিহাসিক মতবাদ ও সমাজতাত্তিক মতবাদ মূলত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও সমাজতাত্বিক মতবাদের মূল উপজীব্য মানুষ তাই এই মতবাদ অনুযায়ী আইন প্রণয়নের পদ্ধতি হচ্ছে সমাজকে নতুনভাবে নির্মাণ করা। সমাজকে বিনির্মাণে প্রতিটি জাতি গোষ্ঠীর ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মানবাধিকারের যে রূপ বর্তমানে রয়েছে তা পাশ্চাত্য সভ্যতারই ফল। অন্যদিকে বিশ্বের কিছু ধনী রাষ্ট্রের নিছক স্বার্থের কারণে আজ বিশ্ব মানবতা হুমকির মুখে পড়েছে। বর্তমান বিশ্বে মানবতা একটি নিছক একটি ভণ্ডামিতে পরিণত হয়েছে।

প্রত্যেক সমাজ পরিবার এবং সমপ্রদায়ই তার পথ চলায় বেশ কিছু অলিখিত আচার-আচরণ নৈতিক মানদণ্ড— প্রথা, বিধি, মূল্যবোধে আবিষ্ট হয়ে সামাজিক বন্ধন নির্ভরশীলতা বিশ্বাস নিরাপত্তা এবং অকৃত্রিম তৃপ্তি ও সন্তুষ্টি পাওয়ার মানসে নিয়ত নিযুক্ত। এসব বিধি-বিধান মূল্যবোধ ও নৈতিকতার অনুশীলন চর্চা এবং আমরা মনোভাবে সম্পৃক্ত হয়ে সমাজ-সংসারে বেঁচে থাকার অক্সিজেন এবং রসদ জুগিয়ে মানব মনে স্বস্তি ও আস্থার আভায় সম্পৃক্ত থেকে সামনে আগাতে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছে। এ যেনো এক অকৃত্রিম বন্ধন। যেখানটায় আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্তের বাঁধন গোষ্ঠীগত সংযুক্তি সবসময় না থাকা সত্ত্বেও সবার মাঝেই আন্তরিকতা ও ভালোবাসার প্রতিধ্বনিত অনুরণিত হয়। শিল্প ব্যবসা-বাণিজ্য ভোগবাদী মানসিকতা এবং ব্যক্তি স্বাতন্ত্রীকরণের লাগামহীন প্রসারে আমাদের মনন মেধায় অস্তিত্বে যান্ত্রিকতা ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় সামাজিক সম্পর্ক রীতিনীতি বন্ধন ভালোবাসায় কোথায় যেনো ছেদ পড়েছে। কেন জানি মনে হয় সমাজ কি পারছে তার নিজস্ব কৃষ্টি-সংস্কৃতি অলিখিত বিধি আঁকড়ে ধরে সম্মুখ পানে নিজেদের নিয়ে যেতে? কোথায় যেনো অসামঞ্জস্যতা? এ কিসের আলামত? মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি হলো যূথবদ্ধভাবে পারস্পরিক মিলেমিশে সুখে-দুঃখের সঙ্গী হয়ে সহযোগিতা সহানুভূতি ভালোবাসা প্রীতি আবেগকে পুঁজি করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখা। সামাজিক জীবের তকমায় ভূষিত মানব জাতি। যারা কি-না সমাজের বিবর্তনের নানা পথ বেয়ে বিজ্ঞানের অভাবনীয় সাফল্যের সুফল ভোগ করে সময়ের ধারাবাহিকতায় গ্লোবাল ভিলেজের বাসিন্দার পরিচয়ে অজান্তেই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে। এ সমাজে সুদ ঘুষকে ঘৃণার চোখে দেখা হতো। যেসব লোক এসবের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো সমাজের অন্যরা তাদের সাথে মেলামেশায় দূরত্ব বজায় রাখতো। গ্রামে অনেকটা এক ঘরে বসবাস করতো। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আজ কী দেখছি? এসবের উৎস না খুঁজে অবলীলায় তাদের সাথে অভিযোজন ঘটিয়ে অজান্তেই সুদ ঘুষকে বৈধতা দিয়ে এসবের চর্চায় মগ্ন থাকছি। এ মানুষেরাই কি-না নামে-বেনামে দান-খয়রাত উপঢৌকন এবং সামাজিক কাজে নিজেদের জড়িয়ে হাতেম তাঈয়ের লকব গায়ে মাখছে। সমাজ কি পারছে তার কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালন করতে? ইগো দ্বন্দ্ব এ সমাজে নানাভাবে জেঁকে বসেছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার মতামতকে পায়ে পিষে নিজের দৈন্যতা এবং দাম্ভিকতার প্রভাবে অনেক সময় কর্তাব্যক্তিদের মিথ্যার আশ্রয় নিতে হচ্ছে।

কেননা যে করেই হোক নিজের বাসনা চরিতার্থ করতেই হবে। সমাজ-সংসার কি এভাবে চলতে পারে? সমাজ পরিবার সংসারে অবাধ যৌনতাকে কখনো সমর্থন দেয়নি। সব সমাজেই নানা কানুন ও অলিখিত প্রথা মূল্যবোধ ও নৈতিকতার দ্বারা এসব নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছিল। কিন্তু হালে আমরা কি দেখছি? পাশের বাড়ির বিবাহিত যুগল যার স্বামী কি-না অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ সুন্দরের প্রত্যাশায় মধ্যপ্রাচ্যে হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে নানা স্বপ্ন বুনছে। তার প্রেয়সীই কি-না সমাজ সংসারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবলীলায় পরকীয়ায় মত্ত থেকে সংসারে অশান্তি ও অনিশ্চয়তা আমদানি করছে। সমাজ কি পারছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে? আজকাল দেখা যায় অনেকেই লিভ টুগেদার করছে এবং ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের তকমায় যে কেউ তা করতেই পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো— আমাদের সমাজ সংস্কৃতি বিশ্বাস লোকাচার কি এসবকে অনুমোদন দেয়? তাহলে এসব কিভাবে হচ্ছে? ভাবার সময় এসেছে। ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তির আশীর্বাদের সুফল সব বয়সের শ্রেণিপেশার মানুষেরই ভোগ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু একবার কি ভেবেছি টিনএজারদের হাতে এসব ডিভাইস তুলে দিয়ে আগামী প্রজন্মকে বিপথগামী করছি না তো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অবাধ ব্যবহারের সুযোগে অসম সম্পর্ক অপরাধের বিস্তৃতি বলগাহীন চলাফেরা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। প্রজন্মের হাতে এসব তুলে দেয়ার ক্ষেত্রে পরিবার কি একবারও ভেবেছে এসবের পরিণতি কী হতে পারে? পরিবারের প্রয়োজনীয়তা এবং অস্তিত্বের কারণেই মানবসমাজের এক বিশেষ স্থান রয়েছে। মানুষ সারা জীবনব্যাপী শিক্ষা লাভ করে। এমন কি মৃত্যু অবধি সে ভুল করে এবং শিখে। পারিবারিক আবহে এবং পরিমণ্ডলে শিশুরা যে মূল্যবোধ ও নৈতিকতার সবোক পায় তা পরবর্তী জীবনে চলার বাতিঘর হিসেবে কাজ করে। পরিবার কি পারছে তার কাঙ্ক্ষিত দায়িত্ব আঞ্জাম দিতে? ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বপ্ন বাসনা এবং ব্যস্ততার সুযোগে আমরা পারস্পরিক ভালোবাসা ও আন্তরিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি। এসব ভালো লক্ষণ নয়।

মূল্যবোধ ও নৈতিকতার গুণেই মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। এ তকমা এবং লকবটুকু আজ প্রশ্নবিদ্ধ। হেন কোনো অনিয়ম স্বার্থপরতা এবং পাপাচার নেই যার সাথে মানবকুলের সম্পর্ক নেই। নৈতিকতার বিচ্যুতি সামাজিক বন্ধনের শিথিলতা রীতিনীতি নিয়ম প্রথার যথার্থ অনুশীলনের ঘাটতির সুবাদেই এসব হচ্ছে। সময় এসেছে ভেবে দেখার এবং এক্ষেত্রে পরিবারই পারে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে। যার হাত ধরেই সমাজ-সংসারে সুদিন ফিরতে পারে। পারিবারিক বন্ধন ভালোবাসা শাসন পরিচর্যা মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার মাঝেই এ দৈন্যতার অবসানের স্বপ্ন দেখা যেতে পারে। মুনাফেকি আচরণ চাটুকারিতা কারসাজি এবং দালালি প্রবণতা যেনো আমাদের অস্তিত্ব এবং মজ্জায় বাসা বেঁধে ফেলেছে। যার প্রভাবে সাদাকে সাদা বলার পরিবর্তে নানা রঙ্গে ভূষিত করছি। এবং অন্যরা অবলীলায় দেখেও না দেখার ভান করে প্রকারান্তরে নিজেদের বিপদ ডেকে আনছে। যার কারণে শিক্ষক চিকিৎসক বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক নিজ নিজ  অবস্থানে থেকে সত্য বলতে পারছে না বা চায় না এবং অনেক ক্ষেত্রে সাহস পায় না। অনেকেই একে ঝামেলা ভেবে এড়িয়ে যাওয়ার মানসিকতা দেখায়। এমন কি হওয়ার কথা ছিলো? প্রযুক্তির অপব্যবহার আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরকে ধ্বংস করে দিতে পারে। প্রযুক্তিতে মানুষ যেভাবে ডুবে আছে তাতে ভবিষ্যতে আমরা একটি মানবিকতাশূন্য প্রজন্ম পেতে পারি। প্রযুক্তি ডিভাইস আবিষ্কৃত হয়েছিল জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য। সারারাত ধরে কথা বলার জন্য নয়। তবে প্রযুক্তি বন্ধ করে নয়, তবে কিছু কিছু বিষয় অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং এটা সম্ভব। মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য যেমন মাদকের সরবরাহ বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হয়, তেমনি প্রযুক্তির খারাপ জিনিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মোবাইলে একজন মানুষ কতটুকু কী দেখতে পারবে, কী কী কাজে এর ব্যবহার হবে সে ক্ষেত্রেও একটা নিয়ন্ত্রণ ও সীমা আরোপ করা উচিত। সব কিছু সবার হাতে তুলে দেয়া উচিত নয়। এখন মোবাইলের মধ্যে সব কিছু ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। তাই এর ব্যবহারের সঠিক তদারকি করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ নৈতিক গুণাবলি, মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে এমন বিষয় শেখানোর প্রতি উৎসাহ দিতে হবে। সমাজে অনেক পরিবর্তন এসেছে। মানুষের কাছে এখন চাহিদা পূরণই আসল বিষয়। কিভাবে পূরণ করা হলো সেটা মুখ্য বিষয় নয়। নৈতিকতা আর মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে মানুষ তার আকাঙ্ক্ষা পূরণের ক্ষেত্রে এখন সামনে কোনো বাধা এলেই হত্যাকে বেছে নিচ্ছে সহজ পথ হিসেবে। ভোগের আকাঙ্ক্ষা তীব্র আকার ধারণ করছে আমাদের মধ্যে। আজকে অবাধে ছড়িয়ে পড়া তথ্যপ্রযুক্তি, গণমাধ্যম নানামুখী চাহিদা এবং ভোগের আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করছে মানুষের মধ্যে। পাশাপাশি সন্তানদের প্রতি মা-বাবার মনোযোগের অভাব, ধর্মীয় এবং নীতি-নৈতিকতা চর্চার অভাবে ছড়িয়ে পড়ছে নানাবিধ অনাচার। এছাড়া ভোগবাদিতা, অধিক পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, সবকিছুতে তীব্র প্রতিযোগিতা, রাজনৈতিক অনিয়ম অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতা, নৈতিকতা চর্চার অভাব, সমাজে ছড়িয়ে পড়া অন্যায়-অনাচারের কমবেশি শিকার আজ সব শ্রেণির মানুষ। ফলে মানুষ সহজেই বিবেকশূন্য হয়ে হিংস্রতায় লিপ্ত হয়ে পড়ছে।

লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট

আমারসংবাদ/জেআই