জুন ১৮, ২০২১, ০৬:৩৫ পিএম
গুম, নিখোঁজ আরও কত জল্পনা-কল্পনা। আলোচনা-সমালোচনার যেনো শেষই হচ্ছিল না। দেশের কমবেশি প্রায় সবার মুখেই আলোচিত বক্তা আবু ত্ব-হা গুম-নিখোঁজের অনুমাননির্ভর কল্পনার অবশেষে সমাপ্তি ঘটেছে আত্মগোপন নাটকের মধ্য দিয়ে। যদিও এখন পর্যন্ত কেবল পুলিশই বলছে, ‘আত্মগোপন’। তবে অজানাই রয়ে গেছে আড়ালের রহস্য। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন আবু ত্বহার আত্মগোপনে যাওয়ারই বা কারণ কী? গতকাল সাংবাদিকদেরও এমন প্রশ্নের উত্তর দেয়নি পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং প্রয়োজনে আদালতেও তোলা হবে বলে জানিয়েছে তারা। এদিকে ত্বহার স্বজনরা বলার মতো কোনো তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বললেও তার আইনজীবী বলেছেন, তিনি উদ্বিগ্ন। তার আইনজীবী বলছেন, নিখোঁজ থেকে ফিরে এসে অন্যরা যেভাবে নীরব হয়ে যান, ত্ব-হার অবস্থাও এরকম হয় কি-না! আবার তিনি এও মনে করছেন, আবু ত্বহার অবস্থা তাদের মতোই হবে। হয়তো তার অবস্থা দেখে মনে হবে, তিনি নিজেই লুকিয়ে ছিলেন।
গতকাল পর্যন্ত পুলিশও এমনটাই বলছে যে, ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপনে ছিলেন ত্বহা। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ ঘটেনি বলেও পুলিশকে ত্ব-হা জানিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, গতকাল দুপুরে রংপুর নগরীর কলেজ রোডের চারতলা মোড়ে প্রথম স্ত্রীর ভাড়া বাসায় ত্ব-হাকে পাওয়া যায়। এতদিন ত্বহা কোথায় ছিলেন, কীভাবে ফিরলেন সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেননি ত্বহার স্বজনরা। তবে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেছেন, ত্ব-হা নগরীর কলেজ রোডে চারতলা মোড়ে প্রথম স্ত্রীর ভাড়া বাসায় অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। এরপর তাকে সেখান থেকে থানায় নেয়া হয়। থানায় এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে গত ১০ জুন রংপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকে ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর থেকেই তার সঙ্গী আব্দুল মুহিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দীনসহ গাইবন্ধায় আত্মগোপন করেন বলে জানায় পুলিশ। ত্ব-হার নিখোঁজ হওয়ার তথ্য জানিয়ে দারুসসালাম এবং মিরপুর থানায় গেলে কেন থানায় সাধারণ ডায়েরি বা মামলা গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ করছেন তার পরিবার। এ নিয়ে সর্বশেষ রংপুর সদর থানায় একটি জিডি করা হয়। এরপরই গতকাল তাকে নগরীর চারতলা মোড়ে প্রথম স্ত্রীর বাসায় পাওয়া যায়।
রংপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গতকাল বিকেলের সংবাদ সম্মেলনে জানায়, নিখোঁজের পর তারা গাইবান্ধায় ছিলেন। তাকে আদালতে তোলা হবে। সম্মেলন শেষে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ডিবি কার্যালয়ে আবু ত্ব-হাকে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ। তিনি জানান, আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানকে থানা থেকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। তার সঙ্গে নিখোঁজ হওয়া অন্য তিনজনকেও নিজ নিজ বাড়ি থেকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। সেখানে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
খোকন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তিনি নগরীর মাস্টারপাড়ায় আবু ত্ব-হাকে দেখেন। কিন্তু ত্ব-হা সে সময় কোনো কথা বলেননি। মুখে আঙুল দিয়ে চুপ থাকতে বলেন। এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকা ত্ব-হার পরিবার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ত্ব-হার বিভিন্ন ইসলামিক অনুষ্ঠান ও মাহফিলে থাকতেন নিখোঁজ তিন সঙ্গী। এই তিনজনের সঙ্গে আদনানের সখ্যতা ছিলো। ত্ব-হার প্রকৃত নাম আফছানুল আদনান। বয়স ৩১। তার মা আজেদা বেগম। বাবা মৃত রফিকুল ইসলাম। ছোট বোন রিতিকা রুবাইয়াত ইসলাম। আদনানের প্রথম স্ত্রী আবিদা নুর, তাদের সংসারে তিন বছরের একটি মেয়ে ও দেড় বছর বয়সি একটি ছেলে রয়েছে। বাবা মারা যাওয়ার পর রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডে নানার বাড়িতে বড় হন আদনান। বিয়ের পর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে নগরীর নিউ শালবন এলাকায় বসবাস করেন। কয়েক মাস আগে আদনান আরেকটি বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন্নাহার সারা ঢাকার মিরপুর আল ইদফান ইসলামি গার্লস মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক। আদনান প্রাতিষ্ঠানিক কোনো আরবি শিক্ষা গ্রহণ করেননি। তিনি কারমাইকেল কলেজ থেকে দর্শন বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। কুরআন শিক্ষার জন্য কিছুদিন স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় তালিম নেন। এ সময় তিনি আহলে হাদিস নামে একটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এছাড়াও লাইফ ফাউন্ডেশন, আলোর পথ এবং একাডেমিক কুরআন স্টাডিজ নামে সংগঠনে জড়িত রয়েছেন। ঢাকার মিরপুর আল ইদফান ইসলামি গার্লস মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতাও তিনি।
ত্ব-হার শ্যালক জাকারিয়া জানান, ১০ জুন রংপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন আবু ত্বহা ও তার তিন সঙ্গী। সর্বশেষ রাত ২টা ৩৬ মিনিটে যখন আবু ত্ব-হার সঙ্গে যোগাযোগ হয়, তখন তিনি ঢাকার গাবতলীতে ছিলেন। তিনি বলেন, এরপর থেকে তাদের সবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এখন পর্যন্ত তাদের অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি। নিখোঁজের পরদিন আবু ত্ব-হার স্ত্রী দারুসসালাম থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। তবে এতদিন আবু ত্ব-হা কোথায় ছিলেন, কীভাবে ফিরলেন সে সম্পর্কে জানতে চাইলে কিছুই জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে ত্ব-হা ও তার সঙ্গীরা আপাতত পুলিশ হেফাজতেই থাকছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে ফিরে বন্ধুর বাসায় ছিলেন ত্ব-হা ও তার সঙ্গীরা। তার বন্ধুর নাম সিয়াম। তার বন্ধু বাসায় ছিলেন না। তার মা বাসায় ছিলেন। তারা একটি ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন। তারা ওই রাতেই ঢাকা থেকে ফিরেছে অন্য কোথাও অবস্থান করেনি। পুলিশ দাবি করে, ব্যক্তিগত কারণেই তারা আত্মগোপনে ছিলেন। তবে ব্যক্তিগত কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, এই মুহূর্তে তারা বলতে পারবেন না। সেটা ভেরিফাই করতে হবে। তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে। আসলে সব ব্যক্তিগত কারণ তো বলা যায় না। পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে, ফোন করে টাকা চাওয়া হয়েছে। এমন বিষয় হচ্ছে, এটা সন্দেহমূলক। মুক্তিপণের বিষয়টি সম্পর্কে তার স্ত্রী বলেছিল ভুয়া নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছিল। এমন অনেক প্রতারক থাকে। যারা এমন ফোন দিয়ে থাকে।
তবে আলোচিত এ বক্তা উদ্ধারের পর খুশি হলেও উদ্বিগ্ন রয়েছেন তার আইনজীবী ব্যরিস্টার এম. সরোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, নিখোঁজ থেকে ফিরে আসা অন্যদের মতোও আবু ত্ব-হা নীরব হয়ে যান কি-না, সে বিষয়েই তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, আবু ত্ব-হার ফিরে আসার বিষয়টি তার স্ত্রী আমাকে নিশ্চিত করেছেন। চারটি জীবন ফিরে এসেছে। আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আবু ত্ব-হার ভাগ্য ভালো যে, অন্য নিখোঁজদের মতো তার অবস্থা হয়নি। তিনি বলেন, ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা নিখোঁজ হওয়ার পর যারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে সাংবাদিক ভাইদের বিশেষ ধন্যবাদ। সাংবাদিকরা নিখোঁজের পরিবারের আকুতি গণমাধ্যমে তুলে ধরেছেন। সবাই এক হয়ে প্রতিবাদ জানালে যে ফল পাওয়া যায়, তা প্রমাণিত হয়েছে। সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ জানালে, ঝাঁপিয়ে পড়লে কোনো অন্যায় হতে পারে না। ব্যারিস্টার সারোয়ার বলেন, আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান চাইলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া যাবে। তবে আমি উদ্বিগ্ন। নিখোঁজ থেকে ফিরে এসে অন্যরা যেভাবে নীরব হয়ে যান, ত্ব-হার অবস্থা এরকম হয় কি-না। আমার মনে হয় আবু ত্বহার অবস্থাও তাদের মতোই হবে। হয়তো তার অবস্থা দেখে মনে হবে, তিনি নিজেই লুকিয়ে ছিলেন।
ত্ব-হার শ্যালক জাকারিয়া বলেন, গতকাল জুমার নামাজের পর ত্ব-হা রংপুরে তাদের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। সেখানে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ত্বহার ফিরে আসার বিষয়ে কথা বলেতে চাইলে কেউ রাজি হননি। ত্ব-হার ফিরে আসা সরাসরি কেউ দেখেছেন কি-না জানতে চাইলে এ সময় এক নারী বলেন, আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পারবো না। এরপর ত্ব-হার ভাই তারেকও শুরুতে কথা বলতে রাজি হননি। পরে তিনি বলেন, সে সুস্থ হোক। সুস্থ সে নিজেই সবকিছু জানাবে। ত্ব-হার শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তার সঙ্গে কথা বলার সময় পাইনি। সে এলো, আমরা তাকে রিসিভ করলাম। তাকে নিজ হাতে যে একমুঠ ভাত খাওয়াব, সে সুযোগও পাইনি। পানি খাইলো। এরপর ওসি সাহেব এসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেলো। তাকে যে ট্রিটমেন্ট করাবো, সে সুযোগও পাইনি। তবে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তারেক আরও বলেন, সবাই দোয়া করবেন। আপনাদের দোয়ায় সে ফিরে এসেছে। সে সুস্থ হয়ে আবার যেনো দ্বীন প্রচার করতে পারে।
তুখোড় ক্রিকেটার আফসানুল আদনান ত্ব-হা স্নাতকে পড়ার সময় ঝুঁকে পড়েন ধর্মকর্মে। নিজস্ব ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল ইসলাম বিষয়ক আলোচনায় তিনি ক্রমেই আলোচিত হয়ে উঠেন। বাড়ি রাজশাহী হলেও আবু ত্ব-হা রংপুর জেলায় নানা বাড়িতে বড় হয়েছেন। তিনি রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের আহলে হাদিস মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান রংপুর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি, রংপুর সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। পরে কারমাইকেল কলেজ থেকে দর্শন বিভাগ থেকে অনার্স, মার্স্টাস শেষ করেছেন। পাশাপাশি রংপুরের জামিয়া সালাফিয়া মাদ্রাসার ১০-১২ জন ওস্তাদের কাছ থেকে দ্বীনি বিষয়ে তালিম নিয়েছেন। পরে নিজেই ইসলামিক বইগুলো খুটিয়ে পড়ে জ্ঞানার্জন করেছেন। ২০১৮ সালে আলোকিত জ্ঞানী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্সআপ হয়েছিলেন তিনি। ছাত্রজীবন থেকেই আবু ত্ব-হা আহলে হাদিস সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তখন থেকেই নিজের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে ধর্মীয় আলোচনা করতেন। বিভিন্ন মসজিদে নামাজও পড়াতেন তিনি। রংপুর সদরের বাসিন্দা ত্ব-হা নিজেকে ইসলামি স্কলার দাবি করেন। তার পড়াশোনা শেষ না হলেও তিনি ইসলাম ধর্মীয় বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে নিজের মতো করে ব্যাখা দিয়ে যাচ্ছেন অনেকদিন ধরেই, যা নিয়ে বিতর্কও আছে। সমপ্রতি ইউটিউবে প্রকাশিত তার বক্তব্যে ঢাকা শহরকে ‘কিয়ামতের শহর’ হিসেবে উল্লেখ করেন। নারীর ক্ষমতায়নের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন তিনি।
তিনি দাবি করেছেন, ‘যে নারী পুরুষের সঙ্গে পাবলিক বাসে উঠে অফিসে যায়, যে নারী সহকর্মী পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন তারা দাজ্জালের বাহিনীর সদস্য। ইমাম মাহদির বিরুদ্ধে এই নারীরাই যুদ্ধ করবে।’ ইসলাম ধর্মমতে দুনিয়া ধ্বংস তথা কিয়ামতের আগে মুসলিমদের সঙ্গে দাজ্জালের বাহিনীর লড়াই হবে। আর মুসলিমদের নেতৃত্ব দেবেন ইমাম মাহদি। ত্ব-হার দাবি, পরকালে দোজখে নারীদের সংখ্যা বেশি হবে। আর এর জন্য তার ভাষায় ‘নারীর উদ্ধত’ আচরণ দায়ী। প্রচলিত সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধেও তোহা নানা সময় উসকানি দেয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ আছে। পারিবারিক জীবনে আবু ত্ব-হা দুই সন্তানের জনক। তার প্রথম স্ত্রী হাবিবা নূর, দেড় মাসের ছেলে ও তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে রংপুরের শালবন মিস্ত্রিপাড়া চেয়ারম্যান গলিতে ভাড়া বাসায় থাকেন। আবু ত্ব-হার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারা। তিনি ঢাকার মিরপুর আল ইদফান ইসলামি গার্লস মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক। তিন মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। ত্ব-হা আদনান রংপুরের সুরভী উদ্যানের বিপরীতে প্রজন্ম নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কুরআন শিক্ষা দেয়া হতো ওই স্কুলে। করোনার কারণে স্কুলটি দেড় বছর ধরে বন্ধ। এদিকে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে, আদনান আহলে হাদিস মতাদর্শের অনুসারী। তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে ও অনলাইনে ইসলাম ধর্ম নিয়ে নানা বিষয়ে বক্তব্য দিতেন। যা নিয়ে নানা বিতর্ক ছিলো। তার চ্যানেলের বক্তব্যও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আমারসংবাদ/জেআই