Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

‘পুঁজিবাজারের ভালো ভবিষ্যৎ দেখছি’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

জুন ১৯, ২০২১, ০৬:২৫ পিএম


‘পুঁজিবাজারের ভালো ভবিষ্যৎ দেখছি’

দেশের পুঁজিবাজার যেভাবে এগোচ্ছে তাতে সামনে খুবই ভালো ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘বাজেট পরবর্তী আলোচনা ও শেয়ারবাজারের উন্নয়নের পথ’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সেমিনারে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে অপদর্শিত বা কালো টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার দাবি জানানো হয়। সালমান এফ রহমান বলেন, ‘গত এক বছরে বিএসইসি নতুন চেয়ারম্যান ও কমিশনার পাওয়ার পর পুঁজিবাজারে আমরা নতুন ধরন দেখতে পাচ্ছি। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে। দৈনিক লেনদেন অনেক বেড়েছে। বাজার মূলধনও বেড়েছে। তাছাড়া কিছুদিন আগে এইচএসবি ব্যাংক তাদের এক রিপোর্টে বলেছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিশ্বের মধ্যে সব থেকে ভালো পারফরমেন্স করেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের মার্কেটে এখন অনেক সুযোগ আছে। নতুন নতুন অনেক ইন্সট্রুমেন্ট নিয়ে আসা হচ্ছে। বাজার স্থিতিশীল করার জন্য বিএসইসি অনেকগুলো সুন্দর পদক্ষেপ নিয়েছে। যখন যেটা প্রয়োজন, ঠিক সেসময় সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হচ্ছে। আমি দেখলাম কোম্পানিগুলোর লোয়ার একটা ক্যাপ (ফ্লোর প্রাইস) ছিল, সেটা তুলে দেয়া হয়েছে। আমরা যেভাবে এগোচ্ছি, তাতে পুঁজিবাজারে খুবই ভালো ভবিষ্যৎ আমি দেখছি।’

তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজার ভালো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টেকহোল্ডারদের দায়িত্ব বাড়বে। এ ক্ষেত্রে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ম্যানেজমেন্টের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ ছাড়া বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর শেয়ারবাজার যেভাবে পরিচালিত হয় এবং সেখানে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে, সেগুলো আমাদেরও চালু করতে হবে ‘ প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে বাজেট সম্পর্কে যেসব কথা বলা হয়েছে এবং যা যা দাবি করা হয়েছে আমি মনে করি সবগুলোর পেছনে যুক্তি আছে। এ মাসের ৩০ তারিখ বাজেট পাস হবে। তার আগে কিছু কিছু সংশোধন আনা হবে। আপনারা যে দাবিগুলো তুলেছেন, দেখা যাক এই সময়ের মধ্যে আমরা সংশোধনগুলো আনতে পারবো কি-না। আমরা চেষ্টা করবো।’

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে একটি বেসিক স্ট্রাকচারাল কন্ট্রাডিকশন রয়ে গেছে। যেটা হচ্ছে আমাদের ট্যাক্স টু জিডিপি রেশিও অনেক কম। সাউথ এশিয়ার মধ্যে সব থেকে কম। আমাদের ট্যাক্স টু জিডিপি পাকিস্তানের থেকেও কম। এবার এটা ১০ শতাংশের নিচে চলে এসেছে ‘

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক বাজেটেই একটা ব্যালেন্স করা হয়। একদিকে রেভিনিউ কনসিডারেশন, আর একটা দিকে অর্থনীতি ভালো করার জন্য আরও কী কী করা দরকার। এই ব্যালেন্সিংয়ের জন্যই হয়তো আপনাদের দাবি এবার এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) পূরণ করতে পারেনি। তারপরও আপনারা আজকে যে কিছু কিছু দাবি দিয়েছেন, তা যদি বাজাটে ইনকর্পোরেট করা যায় তাহলে পুঁজিবাজার আরও ভালো হবে।’ সিএমজেএফ সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম।

এ ছাড়া আলোচক হিসেবে ছিলেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসাইন ও এএমসি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. হাসান ইমাম। অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিএমবিএ সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান ও সিএমজেএফ সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল।

এসময় বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার দাবি আমরা আগেই জানিয়েছি। যাতে তারা (যাদের কাছে অপ্রদর্শিত অর্থ আছে) সেটা (অপ্রদর্শিত অর্থ) লিগ্যাল ফর্মে (বৈধ পদ্ধতিতে) নিয়ে আসতে পারেন, সে সুযোগটি রাখার জন্য।’

আমারসংবাদ/জেআই