Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের প্রণোদনা দেয়া জরুরি

সোলেমান খান

জুন ২৪, ২০২১, ০৭:৩০ পিএম


কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের প্রণোদনা দেয়া জরুরি

বাংলাদেশে প্রায় ৬০ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। গত এক বছর তিন মাসের করোনাকালে অনেক কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত বছর ১৯ ডিসেম্বর একটি পত্রিকায় কিন্ডারগার্টেন সংক্রান্ত একটি নিবন্ধে জানা যায়, প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেনে প্রায় কর্মরত আট লাখ শিক্ষক-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের অর্ধকোটি মানুষের আর্থিক সহায়তা জরুরি। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে বিগত ১৫ মাসে তাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনজন শিক্ষকের আত্মহত্যা করে মরে যাওয়ার খবর প্রকাশ হয়েছে। বিভিন্ন রোগে ২০২০ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ১৪ জন শিক্ষকের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ পেয়েছে পেশা পরিবর্তনের খবর। পেশা বদল করে কেউ অটোরিকশাচালক, কেউ ভ্যানচালক, কেউ তরকারি বিক্রেতা, কেউ রাজমিস্ত্রির জোগালে। মহিলা শিক্ষকরাও নানা পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। ২০২০ সাল থেকে এ যাবত কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা দেয়া হয়নি। কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে যুগোপযোগী শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার জন্য নানামুখী কর্মসূচি রয়েছে। প্রতিদিন সমাবেশ, শপথ পাঠ, জাতীয় সঙ্গীত, কুচকাওয়াজ করে শিশুদের শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকশিত করতে নিরলস কাজ করে আসছে। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায় কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে। কিন্ডারগার্টেনের ছাত্র-ছাত্রীদের সরব উপস্থিতি সমাবেশ মাঠের সৌন্দর্যবর্ধন কারো অজানা নয়। সেখানে অভিভাবকদের উপস্থিতিও লক্ষণীয়। ফলে জাতীয় দিবসে নানা কর্মসূচিগুলোতে কিন্ডারগার্টেনের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থল অন্যরকম প্রাণের সঞ্চার ঘটে। কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে সরকার কখনোই প্রণোদনা দেয়নি। আগে একটু-আধটু দেয়া হলেও সরকারের এই সময়কালে কোনো প্রকার সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। বরং নীতিমালার কথা বলে একেবারেই বন্ধ করা হয়েছে। করোনাকালে বহু আবেদন-নিবেদন, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট করলেও সরকার কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোকে কোনো প্রকার সহায়তা দেয়নি। ফলে এই করোনাকালে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। সরকার ২০২০ সালে কওমি মাদ্রাসাকে প্রণোদনা দিয়েছে। যদিও এরা জনগণের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়েছে। এ ছাড়া বেতন, হোস্টেল ফি-ও নিয়েছেন। করোনার সময়ে তাদের প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হলেও অভিভাবকরাও তাদের টিউশন ফি, হোস্টেল ফি পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সার্বিক সহায়তা করেছে। অন্যদিকে পেয়েছে সরকারি প্রণোদনা। ব্যত্যয় ঘটেছে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বেলায়। তারা সরকারি নির্দেশ অমান্য করেনি বরং করোনাকালে স্কুল বন্ধ রেখে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে অনলাইনে, ইমু, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি অ্যাপস ব্যবহার করে পাঠদান অব্যাহত রাখার চেষ্টা করেছে সরকারি প্রাইমারি স্কুলের মতো। অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কার্যকর তৎপর রাখার চেষ্টা করছে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে বিদ্যালয় চালু করার ক্ষীণ সম্ভাবনা দেখা দিলে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো খোলার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। এই খাতে স্কুলগুলোকে পুনরায় সজ্জিত করে সরকারের নির্দেশনানুযায়ী, বেশ কিছু স্কুলশিক্ষকের ৫০-৬০ শতাংশ বেতন দিয়ে তহবিল খালি করে, ঋণ করে প্রতিষ্ঠান ধরে রাখার চেষ্টা করে আসছে। সারা বিশ্বেই কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাপদ্ধতি রয়েছে। পাশের গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে যেমন কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে তেমনি সমাজতান্ত্রিক চীনেও কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে।

চীন নিজেরাই প্রথম তিন-চার মাসে তাদের করোনা নিয়ন্ত্রণে এনে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোকে প্রথমেই খুলে দিয়েছে। বর্তমানে চীনে কিন্ডারগার্টেন স্কুল খোলা রয়েছে। সম্পূর্ণ স্যানিটাইজেশন, স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও ভাইরাসমুক্ত ও প্রতিরোধকল্পে সার্বিক ব্যবস্থা দক্ষতার সঙ্গে পালন করে কিন্ডারগার্টেনসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। শুধু ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের তারা ভর্তি নিচ্ছে না। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিলেও অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। চীন ঘোষণা দিয়েছে ২০২৩ সাল নাগাদ বাইরের ছাত্র নেবে না। কিন্তু নিজেদের ছাত্র-ছাত্রীদের তারা কোনো কোনো স্টেটে প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে। অন্যদিকে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা তো রয়েছেই। বাংলাদেশে কিন্ডারগার্টেনের আট লাখ শিক্ষক-কর্মচারীসহ দেশের প্রায় অর্ধকোটি মানুষ কিন্ডারগার্টেনের ওপর নির্ভরশীল। এই অর্ধকোটি মানুষের হূদয়ে যে ব্যথা সেই ব্যথা নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যাকে জানানো হচ্ছে না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসের যে মহড়া দেয়া হচ্ছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ৫ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীও এই পদ্ধতিতে পড়াশোনা করছে না। আর গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে বিদ্যুৎ, এমবি, ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সমস্যার দুর্বিষহ যাপিত জীবন। এ কথা অস্বীকার করার কারণ নেই, আশির দশকের শুরুতেই কিন্ডারগার্টেনের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। যুগের চাহিদামতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাদানের ব্যর্থতায় জেলা-উপজেলার কিন্ডারগার্টেন স্কুল প্রতিষ্ঠা পেতে থাকে। শহরের বিত্তবান মানুষ ইংরেজি স্কুলে ছেলে-মেয়েদের ভর্তি করায়। নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষগুলো ছেলে মেয়েদের তুলনামূলক ভালো স্কুল খুঁজতে গিয়ে অল্প টাকায় কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তি করে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনায় এগিয়ে দেয়। এতে দিনের পর দিন কিন্ডারগার্টেনে ছাত্র সংখ্যা বাড়তে থাকে। অন্যদিকে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কিন্ডারগার্টেনের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিযোগিতায় অন্যদের তুলনায় মেধার সাক্ষর রাখতে থাকে।

শহরে যেভাবে জনসংখ্যা বেড়ে ওঠে এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তেমন গড়ে ওঠেনি। সেই ক্ষেত্রে কিন্ডারগার্টেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাপ নিজেদের ঘাড়ে নিয়ে বাস্তবতা মোকাবিলা করে। পরবর্তীতে উপজেলাগুলো শহরে পরিণত হলে সেখানেও কিন্ডারগার্টেন স্থাপিত হতে থাকে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে শুধু মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তই নয় গ্রামের প্রান্তিক কৃষক, শ্রমিক তাদের ছেলে মেয়েকেও এখন কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি করে। কিন্ডারগার্টেনগুলোতেও প্রতিযোগিতা রয়েছে। এখানে নিয়মিত ক্লাস নেয়া হয়। তাই ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা তাদের আদরের সন্তানদের কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তি করেন। অনেক তরুণ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করে তাদের চাহিদা মেটাচ্ছে। অন্যদিকে যাদের মামার জোর নেই এমন শিক্ষিত মেধাবীরাও কিন্ডারগার্টেনে চাকরি করে তাদের জীবন ও জীবীকা পরিচালনা করছে। অন্যদিকে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী তৈরিতে নিজেদের মেধাকে বিনিয়োগ করছে কিন্ডারগার্টেনে। কিন্ডারগার্টেন স্কুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ নয়। বরং অম্লমধুর প্রতিযোগিতায় শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে কিন্ডারগার্টেনের ভূমিকা অপরিসীম। এমন একটা সময় আমরা অতিবাহিত করেছি, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল তা পুনরুদ্ধার হয়েছে গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সামরিক সরকারের আমলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হয়নি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই শিক্ষাবান্ধব হিসেবে সমাদৃত হয়েছেন। তার সরকার শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে আসছেন। তিনি সকল ধরনের প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরের প্রথম দিনে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বই তুলে দিয়ে শিশুদের মায়ের ভূমিকা পালন করেছেন। অন্যদিকে শিশুদের জন্য যে প্রণোদনা দিচ্ছেন তা কিন্ডারগার্টেনেও দেয়ার সঙ্গত দাবি রয়েছে। কারণ প্রতিযোগিতামুখী শিক্ষাব্যবস্থায় কিন্ডারগার্টেনের অবদান সর্বজন স্বীকৃত। বর্তমান সময়ে যে সকল মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী তৈরি হচ্ছে তাদের অধিকাংশই কিন্ডারগার্টেন স্কুল থেকে। কিন্ডারগার্টেনের মালিকরা ব্যবসায়ী নন, শিক্ষাসেবার মনোবৃত্তি নিয়ে এগিয়ে এসেছেন, না হয় এখনো প্রতিটি স্কুল চালু রাখার জন্য যে অদম্য আগ্রহ দেখা যাচ্ছে তা হতো না। তারা অন্য পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করতো। অপবাদ দেয়া খুবই সহজ কিন্তু বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পরামর্শকের ভূমিকা পালন করা কঠিন।

কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা এ যাবত যে পরিশ্রম করেছে এতে মেধাবী ও দেশপ্রেমিক একটি প্রজন্ম তৈরি হয়েছে। কিন্ডারগার্টেনগুলো পরিপূর্ণভাবে সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করছে, সরকারের কাছে তাদের সকল তথ্যাবলি, পরিসংখ্যান সরবরাহ করছে। সরকারের জাতীয় কর্মসূচি আদমশুমারি, নির্বাচন, টিকাদান, ভিটামিন-এ খাওয়ানো প্রতিটি কাজে অংশগ্রহণ করে সরকারকে সহযোগিতা করছে। কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকরা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও এই চেতনা বাস্তবায়নে প্রায় সকল কিন্ডারগার্টেনই নিরলস কাজ করছে। কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং যুগের চাহিদা মেটাতে গণমুখী শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে এবং মেধাবী দেশপ্রেমিক ছাত্র-ছাত্রী বিনির্মানে সূতিকাগার হিসেবে কাজ করে আসছে।

প্রাথমিক স্কুল বলতে আমরা যা বুঝি তাহলো; সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল, বিভিন্ন এনজিও পরিচালিত প্রাথমিক পার্যায়ের স্কুল। কিন্তু মাঠপর্যায়ে শুধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন ও এনজিও পরিচালিত স্কুলগুলোর ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়; বেগম ফজিলাতুন্নেছা ফুটবল টুর্নামেন্ট, বঙ্গবন্ধুকাপ, ফুটবল টুর্নামেন্টে, কিন্ডারগার্টেন ও অন্যান্য ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে অংশ গ্রহণের সুযোগ দেয়া হয় না। উপজেলা, জেলা পর্যায়ে এসকল স্কুল প্রতিনিধিদের শিক্ষা সংক্রান্ত কমিটিগুলোতে রাখা হয় না। এতে করে দেশের বিশাল সংখ্যক শিশুকে প্রতিযোগিতা, বিনোদন, তথ্যাদি ও চেতনা থেকে ইচ্ছে করে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে কি-না তা খতিয়ে দেখা দরকার। শিক্ষা গ্রহণ করা শিশুদের মৌলিক ও মানবিক অধিকার। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো কিন্ডারগার্টেনের ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারের সকল সুবিধাগুলো পাওয়াও তাদের অধিকার। পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সুবিধাও দেয়া দরকার। বই যেহেতু সরকার বিনামূল্যে দিচ্ছেন সুতরাং শিক্ষাসংক্রান্ত সকল কারিগরি সহায়তা দেয়াও আবশ্যক। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাপদ্ধতির মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম কোমলমতি শিশুদের দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধের সারথী করে গড়ে তোলার যে প্রচেষ্টা তাতে সরকারের সহায়তা দরকার। এই বিশাল কর্মযজ্ঞকে সহায়তা না করলে দেশের প্রায় অর্ধকোটি মানুষের কাছে সরকারের শিক্ষাসংক্রান্ত সকল ইতিবাচক পদক্ষেপ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে। যেখানে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো সরকারের নীতিমালা বাস্তবায়নে কাজ করছে সেক্ষেত্রে আট লাখ শিক্ষক-কর্মচারীকে অসহায়ত্বে ঠেলে দেয়া মোটেও সমীচীন নয়। দেশবাসী আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী ও মানবিক জননেত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত এর প্রতিকার করবেন।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

আমারসংবাদ/জেআই