জুন ২৮, ২০২১, ০৬:৩০ পিএম
মাঝে মাঝে আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে দেখা যায়। সবসময় এ ধরনের কাজ সম্ভব হয় না?
আমি তো সব সময়ই ভিন্ন চরিত্রে কাজ করতে চাই। পাশাপাশি এ কথা সত্যি যে, চাইলেও সবসময় ভিন্ন ধারার কাজ করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের এখানে ভালো স্ক্রিপ্টের সঙ্কট রয়েছে। তারপরও আমি অভিনয়ের সুযোগ আছে এমন নাটকেই বেশি কাজ করতে চাই। আমি ওই চরিত্রগুলোতেই কাজ করে বেশি আরাম পাই, যেখানে এই মিথিলাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে চরিত্রে নিজেকে তুলে ধরতে আমাকে একটু পরিশ্রম করতে হয়। আসলে আমি যা নই, তা করাই তো অভিনয়। যদিও কয়েকটি নাটকে আমার আমিকেই উপস্থাপন করেছেন পরিচালকরা। আমি নিজের এই জীবনের বাইরে কিছু করে দেখাতে চাই। এই ক্ষুধাটা আমাকে মাঝে মাঝে বেশ নাড়া দেয়। অভিনয়ে আমি নতুন কিছু খুঁজি।
আপনি কি অভিনয়ে কাউকে অনুসরণ করেন?
না, আমি এমনটি কখনো ভাবিনি। তবে আমি যেসব সিনিয়রের সঙ্গে কাজ করি, যেমন— আবুল হায়াত, সুবর্ণা মুস্তাফা— তাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অভিনয়ের খুঁটিনাটি অনেক কিছু শিখি। কিন্তু কাউকে অনুসরণ বা অনুকরণ করে নিজস্বতা নষ্ট করতে চাই না।
অভিনয়ের বাইরে বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করেন আপনি। কোন মাধ্যমটির কাজ বেশি উপভোগ করেন?
আমি আমার দুই মাধ্যমের কাজ নিয়েই সমান কমপ্লিমেন্ট পাই দর্শকদের। আমি যে বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছি, তার সবই থিমনির্ভর। এ কারণে ওখানেও কিন্তু আমাকে অভিনয় করতে হয়েছে। অভিনয় ও মডেলিং দুটিই আমার ভালোলাগার কাজ। তবে আমি এখন অভিনয় করেই বেশি মজা পাই।
দর্শকদের প্রশংসার কথা বললেন, তারা কী শুধুই প্রশংসা করে? নেগেটিভ কিছু বলে না?
কেউ কেউ তো বলেই। আমি নিজেও আসলে অন্যের শুধু প্রশংসা করাই নয়, আমার চোখে যা ভালো না তা বলে তাদের শুধরে দেই। আমি যেহেতু এটা করি, তাই আমাকে নিয়ে বা আমার কাজ নিয়ে অন্যের নেতিবাচক কথা শোনার জন্য নিজেকে একরকম প্রস্তুত রাখি। আমি নিজেও চাই কেউ আমার কাজের নেগেটিভ দিক নিয়ে আলোচনা করুক। আর তা হলে আমি নিজেকে শুধরে নেয়ার সুযোগ পাব।
আমারসংবাদ/জেআই