এএএফএর কাছে করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরলেন বিজিএমইএ সভাপতি

আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) আমন্ত্রণে সামাজিক দায়বদ্ধতা কমিটির বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। গত বৃহস্পতিবার ‘সরবরাহ চেইনের উপর করোনার প্রভাব-সরবরাহকারীদের দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অংশ নেন তিনি।

আলোচনায় ফারুক হাসান করোনার চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ এবং এ দেশের তৈরি পোশাক শিল্প কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি দায়বদ্ধ ব্যবসা অনুশীলন এবং সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ সরবরাহ চেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক ইস্যুগুলো, বিশেষ করে নৈতিক সোর্সিং (এথিক্যাল সোর্সিং) ও ক্রয় অনুশীলনের (পারচেজিং প্রাকটিস) বিষয়গুলো আলোচনায় উত্থাপন করেন। পণ্যের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা যে শিল্পকে টেকসই করার জন্য উদ্যোক্তাদের গৃহীত উদ্যোগগুলোর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়, সেটিও তিনি আলোচনায় তুলে ধরেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিএমইএ।

বিজিএমইএ সভাপতি তার বক্তব্যে সামাজিক নিরীক্ষা (সোশ্যাল অডিট) পরিচালনার জন্য ইউনিফায়েড কোড অব কন্ডাক্টের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এই কোড অব কন্ডাক্ট থেকে ক্রেতা, উৎপাদনকারী এবং শ্রমিক সবাই ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। এ ছাড়া ব্যবসাকে আরও টেকসই করা ও ভালো রাখার জন্য ব্যবসাগুলোর নিজেদের মধ্যে এবং সংগঠনগুলোর নিজেদের মধ্যে সহযোগী ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার ওপর ব্যাপক গুরুত্বারোপ করেন ফারুক হাসান। বিজিএমইএ সভাপতি তার বক্তব্যে শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং শিল্পের উন্নয়নের জন্য করণীয় বিষয়গুলো, বিশেষ করে উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ (বিশেষ করে নন-কটন) ক্ষেত্রগুলোতে আরও আপ গ্রেডিংয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

ভার্চুয়াল কনফারেন্সে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগের আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক উপ-সচিব থিয়া লি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত প্রধান (প্রিন্সিপাল) উপ-সহকারী সচিব স্কট বাসবি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) দপ্তরের শ্রম বিষয়ক পরিচালক চরিতা কাস্ত্রো। এএএফএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, পলিসি, নাট হারম্যান সভাটির আয়োজক ছিলেন।

আমারসংবাদ/জেআই