Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

‘দর্শকদের জন্যই অভিনয় করি’

জুলাই ৫, ২০২১, ০৭:২০ পিএম


‘দর্শকদের জন্যই অভিনয় করি’
  • মাঝে বিয়ে ও পড়াশোনার কারণে অভিনয় থেকে একটু বিরতি নিয়েছিলেন সুমাইয়া শিমু। ফের তিনি চেনা জগতে ফিরেছেন। আগামী ঈদুল আজহার একটি নাটকের মাধ্যমে তার অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন ঘটছে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রকিব হোসেন

অনেকদিন পর অভিনয়ে ফিরলেন, অনুভূতিটা জানতে চাই।

এটা আসলে অন্যরকম ভালোলাগার একটা অনুভূতি। নিজের ঘরে ফিরলে একজন মানুষের মধ্যে যেমন অনুভূতি হয়, আমারও তেমনই লাগছে। সত্যি বলতে কী, আমি একজন অভিনেত্রী। আমি অভিনয় করতেই বেশি ভালোবাসি। লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন— বিষয়গুলো আমি অনেক উপভোগ করি। এরই মধ্যে ঈদুল আজহার জন্য নির্মিত ‘লাইফলাইন’ শিরোনামের একটি নাটকে কাজ করলাম। এটি পরিচালনা করেছেন মুহাম্মদ  মোস্তফা কামাল রাজ। কাজটি ভালো লেগেছে। অনেকদিন পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম।

সময়ের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে প্রত্যেক অভিনেত্রীই নিজের ভাবনা বদল করেন। আপনার কী কোনো ভাবনার বদল হয়েছে?  

আমি মনে করি, এখন গতানুগতিক কাজ নিয়ে আমার টিভি পর্দায় চেহারা দেখানোর কিছু নেই। যদিও নিয়মিত ভিন্নধর্মী কাজ করা অনেক কঠিন। তবে আমি চেষ্টা করি কঠিন পথেই হাঁটতে। আমার সব সময়কার চেষ্টা দর্শকদের নতুন কিছু দেয়ার। দর্শকরাও আমার কাছে নতুন কিছু চায়। তারা বোধহয় তাদের পরিচিত সুমাইয়া শিমুকে আর দেখতে চান না। কারণ, তারা তো জানে শিমু কীভাবে হাসে, কীভাবে কাঁদে। আসলে দর্শকদের এই চাওয়ার কথা ভেবেই আমার এই বদলে যাওয়ার প্রয়াস। তারা চান প্রতিটি নাটকেই আমাকে তাদের চেনাজানা শিমুর বাইরে আবিষ্কার করতে। এ কারণে আমি এখন স্ক্রিপ্ট ও চরিত্র নির্বাচনে গুরুত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছি।

আপনি কার জন্য অভিনয় করেন, নিজের না দর্শকের জন্য?

আমি দর্শকদের জন্যই অভিনয় করি। আর তারাই কিন্তু আমাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। আমি তা ধরে রাখার পাশাপাশি নিজেকে বিভিন্ন চরিত্রে এক্সপেরিমেন্ট করতে চাই।

এর আগে বেশ কিছু নাটকে আপনাকে বহুমুখী চরিত্রে দেখতে পেয়েছি আমরা। নিজেকে তৈরি করলেন কেমন করে?

সত্যি বলতে কী, আমি কোনো কাজ পছন্দ না হলে করি না। তাই আমার অভিনীত প্রতিটি কাজই আমার ভালোলাগার। স্বপ্নচূড়া, মহানগর, হাউসফুল ও ললিতা নাটকগুলোতে আমাকে দর্শকরা দারুণভাবে নিয়েছেন। স্বপ্নচূড়া নাটকটি আমার আবেগের বিশেষ একটি জায়গা দখল করে রেখেছে। এ নাটকের কাজ আমার ক্যারিয়ারের মোড়টাই ঘুরিয়ে দিয়েছে। মহানগর ও হাউসফুল নাটক দুটিতে আমি আলাদা চরিত্রে কাজ করেছি। প্রতিটি কাজই আমার অসম্ভব প্রিয়। আসলে একটি নাটক যখন প্রচারের শুরুতেই দর্শকপ্রিয়তা পায়, তখন নাটকের সঙ্গে জড়িত সবারই মনোযোগ বেড়ে যায় কাজটির প্রতি। এটা সাধারণত হয় ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে। আমরা যারা অভিনয় করি, তারা সবাই দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। তাদের সঙ্গে দেখা হলে দর্শকরা নাটকের ইতি বা নেতিবাচক যে মন্তব্য করে, আমি তা পরিচালক ও রাইটারের সঙ্গে শেয়ার করি। যেমন স্বপ্নচূড়া নাটকের সময় আমি দর্শকদের ভালোলাগার জায়গাগুলো নাট্যকার অনিকেত ভাইয়ের সঙ্গে শেয়ার করেছি।   

আপনার অভিনীত এক ঘণ্টার নাটকের তালিকায় অনেক জনপ্রিয় নাটক রয়েছে। বেশ কিছু ধারাবাহিকে কাজ করেও আলোচিত হয়েছেন। কোন ধারার কাজ বেশি উপভোগ করেন?

একটি এক ঘণ্টার নাটকের জন্য আমরা দুই বা তিনদিন শুটিং করি। স্বল্প সময়ে পরিপূর্ণভাবে কাজটা শেষ করা যায় বলে এক ধরনের ভালোলাগা কাজ করে। আর ধারাবাহিকে একটি চরিত্রে অনেক দিন কাজ করতে হয়। চরিত্রটা যদি ইন্টারেস্টিং হয় তাহলে তা নিয়ে অনেক বেশি খেলা যায়। ধারাবাহিকে একটি চরিত্রে দীর্ঘদিন কাজ করা যায় বলে চরিত্রে অনেক উপাদান দেয়ার চেষ্টা করা যায়। আমি যখন কোনো মেগা ধারাবাহিকের অফার পাই, তখন ডিফরেন্ট গল্প বাছাই করে নেই। এ কারণে একটি চরিত্রে অনেক দিন কাজ করলেও বিরক্ত হওয়ার সুযোগ থাকে না। 

আমারসংবাদ/জেআই