Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

‘আমি ভালো চরিত্রের কাঙাল’

জুলাই ৬, ২০২১, ০৭:১০ পিএম


‘আমি ভালো চরিত্রের কাঙাল’
  • টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে নিজের অভিনয়ের শক্তি দেখিয়েছেন জাহিদ হাসান। পরিচালনা করেও সফলতা কুড়িয়েছেন এই অভিনেতা। জাহিদ হাসান অভিনয় করেন চরিত্রকে ভালোবেসে। এ কারণে অভিনয়ের সময় নিজেকে ভুলে চরিত্র হয়ে ওঠেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রকিব হোসেন

গত ঈদুল ফিতরে বৈশাখী টিভিতে প্রচারিত হয়েছে আপনার অভিনীত ঈদের সাত পর্বের বিশেষ ধারাবাহিক ‘বুড়া জামাই-২’। নাটকে আপনার অভিনয় অনেকেরই দৃষ্টি কেড়েছে। দর্শকসাড়া কেমন পেয়েছিলেন?

নাটকটি গত বছর ঈদে বৈশাখী টিভিতেই প্রচারিত বুড়া জামাই নাটকের সিক্যুয়াল। এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন মিস বাংলাদেশ মীম মানতাশা। কাজটি ভালো হয়েছে। দর্শকরা বরাবরের মতোই এ নাটকে আমাকে নতুন লুকে দেখেছেন। আমি কাজটি বেশ উপভোগ করেছি।

আপনার গত কয়েক বছরের কাজের মধ্যে আপনাকে বেশি আলোচিত করেছে বাংলাভিশনে প্রচারিত ‘আরমান ভাই সিরিজটি’। এই যে আরমান ভাই হয়ে ওঠা, কিংবা আরমান ভাই নিয়ে দর্শকের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে কিছু বলবেন কী?

একটি চরিত্র যখন দর্শকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে, তখনই একজন অভিনয় শিল্পী সফল হয়। আমি প্রতিটি নাটকে কাজের আগে চরিত্রটি নিয়ে খুব করে ভাবি। চরিত্রের এপিঠ-ওপিঠ ভালো করে দেখে নেই। চরিত্রটির গন্ধ, রূপ, রঙ—এগুলোকে চেনা-জানার চেষ্টা করি। চরিত্রটিকে ভালোবাসতে চেষ্টা করি। এভাবে এক সময় নিজেকে ভুলে যাই। অভিনীত চরিত্রের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলি। আরমান ভাই চরিত্রের সময়ও আমি একইরকম খেলায় মেতে ছিলাম। দর্শক আমাকে যে আরমান ভাই হিসেবে গ্রহণ করেছেন, আমি তাতে অনেক খুশি। সত্যি বলতে কী, এই চরিত্রটির সঙ্গে আমার দারুণ একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আমি চরিত্রটির প্রেমে পড়ে গেছি। এ জন্য আমি নাটকের পরিচালককে ধন্যবাদ জানাই। তিনিই নাটকের রচয়িতা। আরমান এখন আমাদের সমাজেরই প্রতিনিধি। চরিত্রটি অনেক শক্তিশালী।

চরিত্র নিয়ে ইচ্ছামতো খেলা করার স্বাধীনতা কী সবসময়ই পান?

আসলে একটা চরিত্র নির্মাণ করেন রাইটার। তিনিই এর কারিগর। অনেক সময় আমি তাতে অনেক কিছু সংযোজন-বিয়োজন করার সুযোগ পাই। আবার অনেক সময় তা পাই না। আমার চেষ্টা একটা ভালো চরিত্র দাঁড় করানোর। আমি একটা ভালো চরিত্রের কাঙাল।

নতুন প্রজন্মের অনেকেরই অভিনয় আইকন আপনি। কারো মাঝে কি নিজের ছায়া খুঁজে পান?

এমন করে কখনো ভেবে দেখিনি। তবে অনেকেই তো ভালো করছে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে কেউ কেউ পরিশ্রম করে নিজেকে দাঁড় করিয়েছে, করাতে চাচ্ছে। আবার কেউ কেউ অলস। আসলে একজন ভালো অভিনেতা হতে গেলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়।

নাটক নির্মাণ করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। চলচ্চিত্র নির্মাণের আগ্রহও আপনার রয়েছে। কবে হবে স্বপ্নপূরণ?

ভালো একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বপ্ন আমার রয়েছে। তবে কাজটা কবে শুরু করতে পারব জানি না। একটা চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন।

এক জীবনে অভিনেতা হিসেবে আপনি অনেক পদক পেয়েছেন। আপনার মনের দরজায় কোনো অপ্রাপ্তি কড়া নাড়ে না?

নাড়ে তো। মাঝে মাঝে ভাবি, আমি এখানে যে কাজটি করছি-তা যদি হলিউডে করতে পারতাম, তাহলে এর রেসপন্সই আলাদা হতো। আমাদের নায়করাজ, হুমায়ুন ফরীদি—তারা যদি হলিউডে কাজ করতেন, আরও অনেক অনেক নাম করতে পারতেন। আমাদের মেধা থাকা সত্ত্বেও আমরা অনেক কিছু করতে পারছি না।  

আমারসংবাদ/জেআই