Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

করোনা মোকাবিলা ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ

মো. সোলেমান খান

জুলাই ১৪, ২০২১, ০৭:১০ পিএম


করোনা মোকাবিলা ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ

সম্প্রতি আমাদের জাতীয় সংসদে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে কয়েকজন সিনিয়র সংসদ সদস্য সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তাঁরা কেউ আওয়ামী লীগের; কেউবা জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতা। মহান জাতীয় সংসদ জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর। এখানে নানা বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনা হবে- এটাই স্বাভাবিক।

মাঠ পর্যায়ে করোনা মোকাবিলায় সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়ের দায়িত্ব ৬৪ জেলার সচিবদের দেওয়ায় ওই উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছিল। তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। ছাত্রনেতা থাকাবস্থায়ই বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন ছিলেন তিনি। ডাকসুর ডিপিও ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ও পরবর্তীকালে স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠনে তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছায়ার মতো ছিলেন।

প্রতিটি জেলায় সংসদ সদস্য থাকা সত্ত্বেও করোনা মোকাবিলায় মূল দায়িত্ব আমলাদের কাছে অর্পিত হওয়ায় তাঁরা অনেক ক্ষমতাবান হয়ে ওঠেন। অনেক ক্ষেত্রেই সংসদ সদস্যরা হয়ে উঠেছেন উপহাসের পাত্র ও উপেক্ষিত!

বিষয়টি নিয়ে আরও গভীরে আলোচনা করলে দেখা যাবে, আমলারা এখন সাংবাদিকদের প্রতিও নানাভাবে ক্ষুব্ধ। বিভিন্ন স্থানে সংবাদকর্মীদের ডিজিটাল আইনে হয়রানি করে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদপত্র তথা সাংবাদিকতাকে আতঙ্কে রাখার একটি প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। ফলে এ আইনের ভয়ে অনেকেই প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সত্য সংবাদ প্রকাশে অনীহা দেখাচ্ছেন।

আর যারা সাহস করে লেখেন, তাদের অবস্থা হয় রোজিনা, তনু, কুড়িগ্রামের সাংবাদিক রিগ্যানের মতো। আমরা বরাবরই এ আইনের বিপক্ষে। আমরা সব জানালা খুলে দেওয়ার পক্ষে। ভালোমন্দ জনগণ বিচার করবে। সুতরাং জনগণের প্রতি বিশ্বাস রেখেই কাজ করে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে স্বচ্ছতা রক্ষা করা নিজেদেরই দায়িত্ব।

করোনায় বাংলাদেশ এখন লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভগের রিপোর্ট অনুযায়ী যে সংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে, এর চেয়ে অনেক বেশি মারা যাচ্ছে করোনা উপসর্গ নিয়ে। করোনা মহামারির প্রভাবে দেশে বিপুলসংখ্যক দরিদ্র তৈরি হয়েছে। তা পিপিআরসি-বিআইজিডিসহ বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে।

২০২০ সালে করোনা মোকাবিলার প্রচুর প্রণোদনা এসেছিল। করোনার সম্মুখ যোদ্ধাদের জন্য নানারকম কারিগরি সহায়তাসহ রোগীদের সহায়তার জন্য বিপুল অর্থ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সরকার জেলা-উপজেলায় পাঠিয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের লোকদের একক আধিপত্যের ফলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ততটা গুরুত্ব পাননি বলে অভিযোগ আছে।

আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার রেইনা আক্তারের বিরুদ্ধে করোনার প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দেশের জাতীয় পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম। তাঁর বিরুদ্ধে আখাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এ অভিযোগ এনেছিলেন। তাই দেশের প্রতিটি উপজেলায় এই অর্থ ব্যয়ের একটি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন ছিলো।

কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন ধাপে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের চেয়ে আমলারা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন- এমন আলোচনা-সমালোচনা দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছে। ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা সচিবদের ওপরে। তৃণমূলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পদমর্যাদার চেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের মর্যাদা ওপরে। সংসদ সদস্যরা থাকা সত্ত্বেও মহাদুর্যোগ করোনা মোকাবিলায় সংসদ সদস্যদের গুরুত্বহীন করে রাখা মোটেও ঠিক নয়। একজন জনপ্রতিনিধি জনগণের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাঁকে বারবার জনগণের কাছে যেতে হয়। জনগণ তাদের নানা সমস্যা, সংকটে জনপ্রতিনিধিদেরই সর্বাগ্রে খোঁজ করে।

সংসদ সদস্যদের সাংবিধানিক দায়িত্ব আইন প্রণয়ন হলেও স্থানীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে তাদের ভূমিকা না থাকলে জনমনে অসন্তোষ দেখা দেয়। স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে বিরোধও অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে। আবার স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিও কখনও কখনও মুখোমুখী অবস্থানে থাকেন। এতে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।

স্থানীয় প্রশাসন ও প্রতিনিধিরা রাজনৈতিক সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে থাকেন। সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাই তাদের প্রধান কাজ। বর্তমান করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে গাফিলতি ও অনিয়মের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্ত করেছে। কিন্তু প্রশাসনের কাউকে গাফিলতি ও দুর্নীতির কারণে বরখাস্ত হতে হয় না। তাঁর শাস্তি হলো বদলি বা ওএসডি করে রাখা। বিষয়গুলো অবশ্যই জনপ্রতিনিধিদের মনে কষ্টের কারণ কয়ে দেখা দিতে পারে।

জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন কেউ কারও প্রতিপক্ষ হতে পারে না। সংবিধানে ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থাপনায় প্রশাসনের লোকজন সরকারি কর্মচারী তথা জনগণের কর্মচারী। সংবিধানে জনগণকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জনপ্রতিনিধি জনগণের সেবক। রাষ্ট্রের সংবিধান সবার মর্যাদাকেই সমুন্নত রেখেছে। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মধ্যে ইতিবাচক বোঝাপড়া না থাকলে জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। এতে রাজনৈতিক সরকারের মর্যাদায় ঘাটতি দেখা যায়; জনঅসন্তোষ বাড়ে এবং রাজনৈতিক সরকার জনগণের আস্থা হারায়। আমরা লক্ষ করছি, করোনা মোকাবিলায় সচিব ও স্থানীয় প্রশাসনের একক আধিপত্য বিরাজমান। করোনা মোকাবিলায় সরকারের নানাবিধ প্রণোদনা, সহায়তা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করা হয় না বিভিন্ন অজুহাতে। এক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে সরকারের তথ্য অধিকার কমিশনের কার্যক্রমও।

আমরা একটি বিষয় লক্ষ করছি, স্থানীয় প্রশাসন এই মহামারিতে যত্রতত্র হানা দিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ী ও গণমানুষকে নাজেহালসহ জরিমানা করে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করছে। এই মহামারিতে প্রশাসনের কাছ থেকে মানবিক আচরণের পরিবর্তে নিষ্ঠুরতা কোনোক্রমেই কাম্য হতে পারে না। করোনা মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধি-জনপ্রশাসন সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবে এটাই দেশের জনগণের ঐকান্তিক কামনা।

এদিকে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব গৃহহীন মানুষকে গৃহনির্মাণ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ১৯৯৭ সালের ১৯ মে কক্সবাজার এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে বহু পরিবার গৃহহীন হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে অসহায় মানুষদের ঘর তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। তখনই তিনি ‘আশ্রয়ণ’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে প্রথম পর্যায়ে জুলাই ১৯৯৭ সাল থেকে জুন ২০০২ পর্যন্ত ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৭ হাজার ২১০টি এবং ওই প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে (ফেইজ-২) জুলাই ২০০২ থেকে ২০১০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৮ হাজার ৭০৩ ভূমিহীন পরিবারকে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। উপকারভোগীদের জীবনমান সহজকরণের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সবুজায়নের লক্ষ্যে গ্রামগুলোয় ফলদ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্প-১-এর কার্যক্রম তত্ত্বাবধানে ছিলো সেনা ও নৌবাহিনী। এ প্রকল্পের আওতায় মে-২০২১ পর্যন্ত তিন লাখ ৭৩ হাজার ৫৬২ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর উপহার দেওয়া হয়েছে।

মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’- এ স্লোগানের ভিত্তিতে আট লাখ ৮৫ হাজার ৬২২ পরিবারের তালিকা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন ভূমি আছে কিন্তু ঘর নেই এবং একেবারেই যারা ভূমিহীন।

জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন তথা মুক্তিযুদ্ধের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এই মহৎ উদ্যোগটি গ্রহণ করেছেন। আশ্রয়ণ বা বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে তিনি জনগণের গুরুত্বপূর্ণ একটি মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে সচেষ্ট হয়েছেন- যে কর্মসূচি দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।

কিন্তু দুঃখজনভাবে লক্ষ করতে হচ্ছে, এখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা নিজেরা কাজ করতে গিয়ে কেউ কেউ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। নির্মাণের পর উপকারভোগীরা ঘরে ওঠার আগেই তাতে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও ধসে পড়েছে। প্রতিদিনই জাতীয় দৈনিক ও টেলিভিশনে এ খবর প্রকাশ পাচ্ছে। কিছুসংখ্যক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। কাউকে আবার ওএসডি করা হয়েছে।

বাংলাদেশের আইনমন্ত্রীর এলাকা কসবা-আখাউড়া। তাঁর এলাকার উপজেলা চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেছেন, উপজেলা পর্যায়ে যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কমিটি করা হয়েছে, এতে উপজেলা চেয়ারম্যানদের মূল কমিটিতে রাখা হয়নি। ফলে তিনি এ প্রকল্প নির্মাণ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। অথচ এ উপজেলায়ও ঘর নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঠিকাদার দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগে পত্রপত্রিকা এবং টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর কিছু কিছু নির্মাণাধীন ঘরের ইট, বালি, কাঠ সরিয়ে নতুন করে আনা হয়েছে। অথচ যেসব ঘর উঠানো হয়েছে এবং যেগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে, সেগুলোর অবস্থা নাজুক। বড় ধরনের ঝড়-তুফান ও বৃষ্টি হলে ঘরগুলো ভেঙে ও ধসে যেতে পারে বলে অভিজ্ঞ মিস্ত্রি ও ঠিকাদাররা সাংবাদিকদের কাছে অভিমত প্রকাশ করেছেন। এ উপজেলার নির্বাহী অফিসার ইচ্ছাকৃতভাবে অনিয়ম করেছেন, তা-ই পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কারণ হিসেবে জানা যায়, তিনি কিছু ঘর ঠিকাদারদের চুক্তিতে দিয়েছেন- যা নীতিমালাবহির্ভূত। পছন্দের লোক দ্বারা ইট, বালি, কাঠ সরবরাহ করিয়ে নিয়েছেন।

কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেছেন, এই ঘর নির্মাণে এক লাখ ৯১ হাজার টাকা অপ্রতুল। এ উপজেলায় ভূমিহীনদের ১৯৭১টি ঘর পর্যায়ক্রমে নির্মাণ ও উপহার দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ে জানুয়ারিতে ১০৪ ও দ্বিতীয় পর্যায়ে গত জুন মাসে ২০০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ পরিবারই এখনও ঘরে ওঠেনি।

এদিকে পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভালো সংবাদ ভাইরাল হয়েছে। বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ উপজেলায় সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ করে ২৫ লাখ টাকা সরকারকে ফেরত দিয়েছেন। এমন সৎ অফিসার আছেন বলেই তো দেশবাসী ভবিষ্যৎ আশার আলো দেখছে।

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজে উপজেলা চেয়ারম্যানদের মূল প্রকল্প কমিটিতে না রাখায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে সচেতন মহল মনে করছে। নির্বাহী অফিসার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে থাকায় তাঁর মতের বাইরে কমিটির অন্যদের যাওয়ার সুযোগ নেই।

ঘর বরাদ্দে অনিয়ম, নীতিমালাবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, অর্থ আত্মসাৎ এসব গুরুতর অভিযোগ রয়েছে প্রচুর। সরকারি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অনিয়ম ৪৬ ভাগ। সরকারের প্রায় সব প্রকল্পেই অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য গৃহীত প্রকল্পগুলোতেও অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা চলে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনিয়ম এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। দেশের সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, সব প্রকল্পেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

মহামারি করোনা মোকাবিলা ও প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম শূন্য সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করা না হলে জনঅসন্তোষ বেড়ে যাবে। তাই দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষা, দুর্নীতিপরায়ণদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট

আমারসংবাদ/জেআই