Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ২, ২০২১, ০৬:১০ পিএম


২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ

পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সরকার। ইতোমধ্যে ৫৮ লাখ সোলার হোম সিস্টেমের মধ্যে দুই কোটি গ্রামীণ জনগণকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যকে প্রাধান্য দিয়ে মহাপরিকল্পনা ও কৌশল গৃহীত হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির গবেষণার জন্য বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল এবং জ্বালানি দক্ষতা অর্জন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। নানা ধরনের পদক্ষেপে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে জ্বালানি মিশ্রণে ক্লিন-গ্রিন অংশ। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, স্বাধীনতা সংগ্রামের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলেই দেশে জ্বালানি নিরাপত্তার গোড়াপত্তন ঘটে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট তৎকালীন ব্রিটিশ তেল কোম্পানি শেল অয়েলের কাছ থেকে পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। তার এই দূরদর্শী সিদ্ধান্ত জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদিত প্রাকৃতিক গ্যাস ও উপজাত তেল আজ অবধি দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ৪৫ বছর গ্যাস সরবরাহের পরও বর্তমানে এ পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্রে ৫.৮২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট অর্থাৎ প্রায় এক লাখ ৫৯ হাজার ৮২০ কোটি টাকা (প্রায় ১৮.৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) মূল্যের গ্যাস অবশিষ্ট রয়েছে। জাতির পিতার জ্বালানি নীতি অনুসরণ করে বর্তমান সরকার দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, নতুন নতুন জ্বালানির উৎস উদ্যান, জ্বালানি সমৃদ্ধ দেশসহ অথিলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ ছিলো দৈনিক এক হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমান সরকারের সময়ে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে দেশীয় উৎপাদিত গ্যাস ও আমদানিকৃত এলএমজিসহ বর্তমান সরকারের সময়ে গ্যাস সরবরাহ, সক্ষমতা দৈনিক তিন হাজার ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ ক্যাপটিভ পাওয়ার, সার, শিল্প, গৃহস্থালি, সিএনজি, ব্যবসা-বাণিজ্যে বর্ধিত হারে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সুন্দলপুর, শ্রীকাইল, রূপগঞ্জ ও ভোলা নর্থ নামে মোট চারটি নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। বাপেক্সের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চারটি আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন রিগ ক্রয় ও একটি রিগ পুনর্বাসন করাসহ অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ক্রয় করা হয়েছে। গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনে গ্যাসের চাপ সমুন্নত রাখতে তিনটি গ্যাস করে স্টেশন (মুচাই, আশুগঞ্জ ও এলেঙ্গা) স্থাপন করা হয়েছে। প্যাল নেটওয়ার্ক রাজশাহীতে সম্প্রসারণ করা হয়েছে এবং বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর পাইপলাইন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০৪১ সাল পর্যন্ত গ্যাসের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে মাতারবাড়িতে দৈনিক এক হাজার ঘনফুট ক্ষমতার একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।  চট্টগ্রামের মহেশখালীতে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন এবং জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ শুরু হয়েছে ২০১৯ সালে। কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে দৈনিক এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন ল্যান্ড বেইজড এলএনজি স্থাপন, রশিদপুরে চার হাজার ব্যারেল ক্ষমতাসম্পন্ন কনডেনসেট ফ্যাকশনেশন প্ল্যান্ট ও অকটেন তৈরির জন্য তিন হাজার ব্যারেল ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যাটালাইটিক রিফর্মিং ইউনিটও স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুই লাখ ৬০ হাজার প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের কাজও চলমান রয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি লংওয়াল টপ কোল কেভিং পদ্ধতিতে বর্তমানে গড়ে দৈনিক প্রায় তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন উন্নতমানের বিটুমিনাস কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে। উৎপাদিত কয়লা বর্তমানে বড় পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশের তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদের আবিষ্কার, উৎপাদন ও সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স), বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড, মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডসহ সংশ্লিষ্ট সবকটি সংস্থা।  ২০২৪, ২০৩০ ও ২০৪১ সালের সম্ভাব্য চাহিদা ও লক্ষ্য সামনে রেখে খাতটিকে আরও এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যেও নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

সূত্র আরও জানায়, পৃথিবীতে হোম সোলার সিস্টেমে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন। নবায়নযোগ্য জ্বালানির বড় একটি প্রসারও হয়েছে। বর্তমানে ৫৮ লাখ সোলার হোম সিস্টেম দিয়ে গ্রামীণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। ছাদ সৌরবিদ্যুৎ এবং ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়েও কাজ চলছে। বর্জ্য ও বায়ু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে গৃহীত উদ্যোগগুলোও এগিয়ে চলছে। বর্তমান সরকারের একটি বড় প্রচেষ্টা ছিলো সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা কিভাবে অল্প খরচে করা যায়। সে লক্ষ্যে সস্তায় সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকার সোলার প্যানেল সিস্টেমের অর্ধেক খরচ ভর্তুকিও দেয়া শুরু করে। বাকি অর্ধেকের জন্য ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডও (ইডকল) ঋণ দেয়। সে সুবাদেই সোলার প্যানেল এখন গ্রাহকদের কাছে সস্তায় পৌঁছে যাচ্ছে। এতে দেশে ঘটে গেছে সোলার প্যানেল ব্যবহারে বিপ্লব। প্রতিটি এলাকায় টিআর ও কাবিখা কর্মসূচির অর্ধেক টাকা সোলার প্যানেল বসানোর পেছনে ব্যয় করা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সোলারের মাধ্যমে সেচ প্রকল্প গ্রহণ করেও সফলতা অর্জন করেছে সরকার। গত একযুগে গ্যাস, জ্বালানি তেল, কয়লা ইত্যাদি জ্বালানির ব্যবহার সুনিশ্চিত করে বিদ্যুতের উৎপাদন চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শিল্প, কৃষি এবং পরিবহন খাতে দ্রুত অগ্রগতি এসেছে।

সূত্র মতে, বর্তমান সরকারের সময়ে সাফল্য এসেছে এমন খাতের মধ্যে হলো জ্বালানি ও খনিজ। বিদ্যুৎ খাতের পাশাপাশি নানা ধরনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

সাশ্রয়ী মূল্যে টেকসই জ্বালানি সরবরাহের মাধ্যমে দেশের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জন করা এবং পরিবেশগতভাবে টেকসই উপায়ে খনিজ সম্পদ কাজে লাগানো। স্বল্প, মাঝারি এবং দীর্ঘ মেয়াদে একটি ব্যাপক এবং সমন্বিত শক্তি পরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ করছে সরকার। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আধুনিকায়নে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্যাসের বিভিন্ন বিতরণী সংস্থা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এবং বিস্ফোরক অধিদপ্তরের আধুনিকায়ন।

ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের বিশাল সমুদ্র এলাকায় গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান এবং উৎপাদন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। বর্তমানে অগভীর সমুদ্রের তিনটি ব্লকে এবং গভীর সমুদ্রের একটি ব্লকে পাঁচটি আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি একক ও যৌথভাবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে অধিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ২০ নন-এসিভ মাল্টি-ক্লায়েন্ট সিসমিক সার্ভে কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে দেশে মোট ১৮টি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে। এর ফলে গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা ২০০৯ সালে ২৩টি থেকে বর্তমানে ২৭টিতে উন্নীত হয়েছে। ত্রিমাত্রিক (এডি) সাইসমিক সার্ভের কার্যক্রমের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পুরাতন গ্যাসক্ষেত্রসমূহে সঠিক বিস্তৃতি নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে। নতুন গ্যাস মজুদ আবিষ্কারের উদ্দেশে ২০৪১ সালের মধ্যে অনশোরে ৩৮টি (প্রসপেক্ট ম্যাচিউরড সাপেক্ষে) অনুসন্ধান কূপ খননের পরিকল্পনা আছে। প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ : ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে গ্যাসের উৎপাদন ছিলো দৈনিক এক হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট। নানা উদ্যোগে দেশীয় উৎপাদিত গ্যাস ও আমদানিকৃত এলএমজিসহ বর্তমানে গ্যাস সরবরাহ দৈনিক কমবেশি তিন হাজার ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। পুরাতন বন্ধ কূপ ওয়ার্কওভার (সংস্কার), নতুন অনুসন্ধান ও কূপ খননের কর্মসূচি জোরদার ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির সমন্বিত পরিমাণ ১.৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে আটটি গ্রাহক শ্রেণিতে (বিদ্যুৎ, সার, শিল্প, বাণিজ্যিক, ক্যাপটিভ পাওয়ার, সিএনজি, চা বাগান এবং আবাসিক শ্রেণিতে) প্রায় ৪৩ লাখ গ্রাহকের কাছে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চলে (যেমন : বেজা, ইপিজেড, বিসিক ইত্যাদি) গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যে গ্যাস অবকাঠামো নির্মাণে অগ্রাধিকার প্রদান করা হচ্ছে। বাপেক্সের কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গভীর কূপ খননের ক্ষমতাসম্পন্ন  বাড়ানো হচ্ছে। কুমিল্লার শ্রীকাইলের ৪ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক গ্যাস উঠতো ৬০-৭০ লাখ ঘনফুট করে। কিন্তু নতুন করে খননের ফলে বর্তমানে প্রতিদিন গ্যাস মিলছে দুই কোটি ঘনফুট। ২০৪১ সালের মধ্যে বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রে ১৮টি উন্নয়ন কূপ খনন এবং দুটি কূপের ওয়ার্কওভারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্যক্রম চলছে।  আমদানিকৃত এলএনজি থেকে দৈনিক কমবেশি ৬০৩ মিলিয়ন ঘনফুট (সর্বোচ্চ) গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। পেট্রোলিয়াম পণ্য উৎপাদন ও দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে প্রাপ্ত গ্যাস কনডেনসেট সমৃদ্ধ হওয়ায় এ অঞ্চলের অধিকাংশ গ্যাসক্ষেত্রে শুরু থেকে ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্টে কনডেনসেট প্রক্রিয়াকরণ করে পেট্রোল, ডিজেল ও কেরোসিন জাতীয় পেট্রোলিয়াম পদার্থ উৎপাদন করা হচ্ছে। গ্যাসের ঘাটতি নিরসনের লক্ষ্যে কক্সবাজারের মহেশখালীতে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের প্রথম ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় প্যাস গ্রিডে রি-গ্যাসিফাইড এলএনজি সরবরাহ করছে। কক্সবাজারের মাতারবাড়ী এলাকায় দৈনিক এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এলপিজি নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি ১৮টি কোম্পানি এলপিজি আমদানি ও বাজারজাত করছে এবং এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩৮ লাখ। ২০০৯ সালে লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সরবরাহ ছিলো ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগে বৃদ্ধি পেয়ে সাত লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে।

আমারসংবাদ/জেআই