Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

শিল্প-কারখানায় গ্যাস সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ২, ২০২১, ০৬:১০ পিএম


শিল্প-কারখানায় গ্যাস সংকট
  • হঠাৎ করেই গত রোববার থেকে এ চাপ দুই থেকে তিন পিএসআইয়ে নেমে এসেছে।   এ  কারণে ধুঁকে ধুঁকে চলছে গ্যাসচালিত  কারখানাগুলো।  তাই শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত  হচ্ছে

 

ঢাকার উত্তর অংশসহ আশুলিয়া, গাজীপুর, শফিপুর, কাশিমপুর, কোনাবাড়ি, সাভার ও এর আশপাশের এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। সাধারণত জেনারেটর বা বয়লার চালানোর জন্য পোশাক কারখানাগুলোয় ১৫ পিএসআই (পাউন্ড পার স্কয়ারিংস-প্রতি বর্গইঞ্চিতে গ্যাসের চাপের ইউনিট) চাপের গ্যাস প্রয়োজন। কিন্তু হঠাৎ করেই গত রোববার থেকে এ চাপ ২-৩ পিএসআইয়ে নেমে এসেছে। এ চাপের কারণে ধুঁকে ধুঁকে চলছে গ্যাসচালিত মেশিনের কারখানাগুলো। এ কারণে শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। এসব এলাকায় রান্নার চুলাও জ্বলছে না বলে খবর পাওয়া গেছে।

গ্যাস সরবরাহে নিয়োজিত সরকারি সংস্থা তিতাস জানিয়েছে, বিবিয়ানা আর জালালাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রের সংস্কার কাজের জন্য গ্যাস সরবরাহ কমে গেছে। এতে লাইনে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে সাভার-আশুলিয়া শিল্প এলাকায় গ্যাসের চাপ কম। তবে এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।

তিতাস জানিয়েছে, সারা দেশে দৈনিক চাহিদা ২২০ কোটি ঘনফুট থাকলেও তিতাস গ্যাস পায় ১৭০ কোটি ঘনফুট।  কিন্তু গতকাল তা নেমে এসেছে ১২০ কোটি ঘনফুটে।  ফলে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে।

আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা জানান, সকাল থেকেই গ্যাসের স্বল্পতার কারণে বয়লার চালু করা যায়নি। ফলে শ্রমিকরা কাজে এলেও তারা বসে আছেন।

জানতে চাইলে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ জানান, দুটি গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন বন্ধ থাকায় গ্যাসের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তিনি আজকের মধ্যে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন।

গাজীপুরের শফিপুর এলাকার যমুনা স্পিনিং ডিভিশন লিমিটেডের কর্মকর্তা লিয়াকত আলী জানান, কয়েকদিন আগে গ্যাস কর্তৃপক্ষ একটি নোটিস দিয়েছিল। সেখানে বলা হয়, লাইনে সংস্কার কাজ করার কারণে ২৬ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই এ দুইদিন গ্যাস সরবরাহে কিছুটা বিঘ্ন  হতে পারে। কিন্তু গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলছে গ্যাসের সংকট। ফলে উৎপাদন কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

তিতাস গ্যাসের গাজীপুর জোনাল বিক্রয় কেন্দ্রের উপ-ব্যবস্থাপক মির্জা শাহনেওয়াজ লতিফ বলেন, গ্যাসের স্বাভাবিক গতি সর্বোচ্চ থাকে ১৫০ পিএসআইজি। কোনো কোনো এলাকায় এটা কমে ২-১ এ চলে এসেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জরুরি রপ্তানি কাজের জন্য লকডাউনের মধ্যে ও বিশেষ বিবেচনায় পোশাক কারখানা খোলা হয়েছে। এখন যদি গ্যাসের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়, তাহলে পোশাক রপ্তানিও ব্যাপকভাবে ব্যহত হবে। সময় মতো পণ্য ডেলিভারি দিতে না পারলে কোটি কোটি ডলারের রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়ে যাবে। কারখানা মালিকরা দ্রুত গ্যাস সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। তিতাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিবিয়ানা ও জালালাবাদ গ্যাস ক্ষেত্র রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় তিতাস অধিভুক্ত ধনুয়া, জয়দেবপুর, সাভার, আশুলিয়া, কোনাবাড়ি, টাঙ্গাইল, এলেঙ্গা, নরসিংদী ও ঢাকা শহরের উত্তরাংশে গ্যাসের তীব্র স্বল্পচাপ বিরাজ করছে। গ্রাহকের অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

আমারসংবাদ/জেআই