Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

চাপে নত নয় ঢাকা

আগস্ট ৩, ২০২১, ০৭:৫৫ পিএম


চাপে নত নয় ঢাকা
  • আশ্রিতদের চলাফেরায় সব সুবিধা, জমি কেনা, নির্বাচনের অধিকার দিতে বিশেষ গোষ্ঠীর আবদার, সরকারের না
  • সরকারের উত্তরে খুশি স্থানীয়রা, উখিয়ায় পাড়ায় পাড়ায় উল্লাস
  • মসজিদে মসজিদে মিষ্টি বিতরণ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য দোয়া
  • বিশেষ গোষ্ঠীগুলো রোহিঙ্গাদের দান করতে সরব থাকলেও প্রত্যাবাসনে চুপ
  • ৩৪ ক্যাম্পে প্রতিদিনই গোলাগুলি, খুন  অপহরণ, মাদকসহ নানা অপরাধ
  • স্বদেশে স্বাধীনতা চাইতে ব্যর্থ হয়ে এদেশে এখনো আশ্রিত ২০ লাখ রোহিঙ্গা
  • প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিশ্ব ব্যাংক আমাদের একটা চাপে রাখতে চাইবে — আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • চাপ মোকাবিলা করে প্রত্যাবাসনের সক্ষমতা রয়েছে সরকারের —ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক

অধিকার আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা! নিজ দেশে স্বাধীনতা আদায়ে হতে পারেনি ঐক্যবদ্ধ। উগ্রবাদী সেনা ও মগদের নির্যাতনে পালাতে হয়েছে স্বদেশ থেকে। মানবিক কারণে সাময়িক পাশে রয়েছে বাংলাদেশ। দেয়া হচ্ছে খাবারসহ প্রয়োজনীয় সাহায্য। চালিয়ে যাচ্ছে প্রত্যাবাসনের। এর মধ্যেই সমপ্রতি বিশ্ব ব্যাংক দাবি করে ওরা (রোহিঙ্গারা) রিফিউজি। বাংলাদেশ দাবি করে, রোহিঙ্গারা রিফিউজি নয়। ওরা মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক। রাজনৈতিক, কূটনৈতিকসহ দেশের বড় অংশ বিশ্ব ব্যাংকের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায়। বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠীর চাপে নত না হয়ে সরকারের উত্তরে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। উল্লাস পাড়ায় পাড়ায়। মসজিদে মসজিদে মিষ্টি বিতরণ। রোহিঙ্গাদের স্থায়ী করতে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করায় স্থানীয়রা মসজিদে মসজিদে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য দোয়ার ব্যবস্থা করেছেন। দেশের সচেতন মহলের শতভাগ লোক সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে যে জবাব দেয়া হয়েছে দেশের কোটি কোটি মানুষ খুশি। প্রধানমন্ত্রীকে প্রত্যাবাসনে অটল থাকতে বিশেষ মহল থেকে জোর অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

যদিও গতকাল বিশ্ব ব্যাংক নতুন বক্তব্য দিয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বাংলাদেশকে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো সুপারিশ তারা করেনি। মিয়ানমার থেকে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু এই মুসলমান জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশকে সহায়তায় বিশ্ব ব্যাংক কাজ করছে। বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদা মোকাবিলায় তাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত সহায়তা করছে। স্থানীয় সমপ্রদায়ের ওপর রোহিঙ্গাদের প্রভাব কমাতে বিশ্ব ব্যাংকও বাংলাদেশকে সহায়তা করছে। বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা, নিরাপত্তা বেষ্টনী, পানি ও স্যানিটেশন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপক রাস্তা, রাস্তার সৌর বিদ্যুৎসহ মৌলিক অবকাঠামো এবং দুর্যোগ প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা সমাধানে ৫৯০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ৫৯০ মিলিয়ন ডলার হলো অনুদান, এটি কোনো ঋণ নয়। কক্সবাজারের চ্যালেঞ্জ এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকার বুঝতে গবেষণা ও বিশ্লেষণ করছে বিশ্ব ব্যাংক।

এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের দান করতে সরব থাকলেও প্রত্যাবাসন ইস্যুতে চুপ থাকায় সচেতন মহল থেকে উদ্বেগের ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে! রাষ্ট্রের জন্য দীর্ঘায়িত ভাবনা বাড়ছে। অনিশ্চয়তায় অন্ধকারের বার্তা। শুধু গত চার বছরে প্রায় দেড় লাখ শিশু বাংলাদেশের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছে। ওদের পরিচয় কী তাও কেউ জানেন না। দেশি-বিদেশি সহায়তা নিয়ে আরাম-আয়েশেই দিন কাটাচ্ছে রোহিঙ্গারা। ফ্রিতে খাচ্ছে, থাকছে। স্থানীয় অধিবাসীদের তুলনায় রোহিঙ্গারাই এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ। কক্সবাজারের আশপাশ এলাকা এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে। খুনের ঘটনাও ঘটছে। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে ধীরে ধীরে নানা অপরাধের কারণে বাড়ছে অস্থিরতা। টেকনাফ আর উখিয়ায় ৩৪টি ক্যাম্পে প্রতিদিনই কোনো না কোনো শিবিরে গোলাগুলি, খুন, অপহরণ, মাদকসহ নানা অপরাধের ঘটনা ঘটছে। শৃঙ্খলার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে উখিয়া, টেকনাফ এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোতে। কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জোট, পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশ, মানবাধিকার সংগঠন ও গণমাধ্যম বাংলাদেশের পাশে আছে। তবে কার্যত সমাধানে চুপ! ভূমিকা অদৃশ্য। এ নিয়ে পেছনের রহস্য সবাইকে ভাবাচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাবে সাত লাখ দেশে রয়েছে। সরকারের হিসাবে প্রায় ১২ লাখ। অপরদিকে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর এবং এর আরও আগে এদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ।

বিশ্ব ব্যাংকের আবদারের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশসহ ১৬ দেশের জন্য রিপোর্ট তৈরি করেছে। এটা যে সমস্ত দেশে রিফিউজি আছে সেখানে তাদের হোস্ট কান্ট্রিতে ইন্টিগ্রেট করার বিষয়ে। যেহেতু রোহিঙ্গারা রিফিউজি নয়, আমরা এটা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছি। এই রিপোর্টের সঙ্গে আমাদের চিন্তা-ভাবনার মিল নেই। আমরা মনে করি, রোহিঙ্গাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য তাদের একমাত্র পথ হচ্ছে, নিজ দেশে ফিরে যাওয়া। আমরা তাদের ক্ষণিকের জন্য আশ্রয় দিয়েছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের অস্থায়ী অর্থাৎ ক্ষণিকের জন্য আশ্রয় দিয়েছি, আমাদের সমাজে অন্তর্ভুক্ত করা বা রেখে দেয়ার জন্য নয়। মিয়ানমার তাদের নেবে না বলেনি, বলেছে নিয়ে যাবে। কিন্তু নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া অর্থাৎ প্রত্যাবাসন শুরু করা নিয়ে তাদের কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়।

বিশ্ব ব্যাংকের কর্মসূচি দীর্ঘমেয়াদি। বাংলাদেশ একার পক্ষে নয়। আমরা আমাদের বক্তব্য স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি। বলে দিয়েছি, আমরা এটা গ্রহণ করি না। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে আমরা নাকচ করার পর ওদের সঙ্গে একটা সমঝোতা হচ্ছে। যেসব শর্ত আমাদের অপছন্দনীয় সেগুলো বাদ দিয়ে চুক্তি করবো। রোহিঙ্গাদের নিয়ে ক্ষণস্থায়ীভাবে আমরা যে চিন্তাভাবনা করি সেটা সে অনুযায়ী তারা রাজি হলে চুক্তি হবে। তবে বিশ্ব ব্যাংকের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাংলাদেশের জন্য একটি বাড়তি চাপ থাকবে বলেও মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, আমরা নিশ্চিত, এটা নিয়ে তারা আমাদের একটা চাপে রাখবে। অর্থায়ন নিয়ে ঝামেলা করবে। কিন্তু তারা তো আমাদের সরাসরি অর্থ দেয় না। রোহিঙ্গাদের নামে যে অর্থ আসে এর চেহারাও আমরা দেখি না। রোহিঙ্গাদের নামে যে অর্থ আসে তা খরচ করে আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থা, ইউএনএইসচিআরসহ অন্যান্য সংস্থা। এরা কিভাবে টাকা খরচ করে সেটাও আমাদের জানায় না। রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে অর্থ এলেও এর খরচ এবং দেখভাল করে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।

বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে ইউএনএইচসিআরকে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য যেনো সব ধরনের নাগরিক সুবিধা প্রদান অর্থাৎ তারা যেনো বাংলাদেশিদের মতো কাজ করতে পারে। চলাফেরায় আইনগত সুবিধা পায়, জমিজমা কিনতে পারে এমনকি নির্বাচনি রাইটও দিতে হবে এদেশের নাগরিকের মতো। দেশের সবক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কোনো বৈষম্য করা যাবে না। অথচ আশ্রিত রোহিঙ্গারা এসব শর্তের মধ্যে পড়ে না।

টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি বিতরণ ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করা হয়েছে জানিয়ে টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ফজলুল কবির গণমাধ্যমকে জানান, রোহিঙ্গাদের কীভাবে স্বাধীন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে একীভূত করার কথা তারা বলতে পারে? বিশ্ব ব্যাংক যদি বাংলাদেশকে ভিক্ষুক মনে করে তা তাদের ভুল হবে। যেহেতু আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। বাংলাদেশ স্বনির্ভর একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশরক্ষার্থে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত রয়েছে এদেশের জনগণ।

উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল হক চৌধুরী বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটা দেশের জন্য একটি শুভ দিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার খাতিরে রোহিঙ্গাদের জায়গা দিয়েছেন, তখন আশ্রয় না দিলে জাতিসংঘ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের দুর্নাম করতো। মানবতার খাতিরে আশ্রয় দেয়া হয়েছে বলেই কি তাদের স্থায়ী করে নিতে হবে? এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলবো, আপনি বিশ্ব ব্যাংকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। সুন্দর ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করুন। আপনার আহ্বানে প্রয়োজনে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের লাখ লাখ মানুষ সাড়া দিয়ে হেঁটে ঢাকায় এসে বিশ্ব ব্যাংকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করতে প্রস্তুত। বিশ্ব ব্যাংকের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান জেলা আওয়ামী লীগ নেতারাসহ সাধারণ জনগণ।

অভিবাসনবিষয়ক গবেষণা সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিচার্স ইউনিটের (রামরু) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, ‘এটা তাদের একটা অন্যায় আবদার। তারা (রোহিঙ্গা) তো বিদেশি নাগরিক। তাদের পাসপোর্ট দিতে বলা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে। বাংলাদেশের উচিত তীব্র প্রতিবাদ জানানো এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া’। এছাড়া বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠী যেসব আবদার করছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তাদের প্রত্যাবাসনে ঐক্যমত হওয়াই জরুরি। দেশে তাদের অধিকার নিশ্চিতে নয়। মানবিকতার সর্বোচ্চটুকু ঢাকা দিয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এক ধরনের কূটনৈতিক নাটক করেছে। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বরও মিয়ানমার নানান নাটক করেছিল। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আন্তরিক নয়।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক দফার ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত, যাতে করে মিয়ানমারের ফাঁদে আমরা আটকে না যাই।’ এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও রোহিঙ্গাদের সহায়তার পাশাপাশি প্রত্যাবাসন নিয়ে চাপ থাকা উচিত। বিভিন্ন বিষয়ে দেশীয় নাগরিকদের ন্যায় সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিতে যে সব দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে এটা বাংলাদেশের জন্য একটা চাপ। তবে সরকার এই চাপ মোকাবিলা করে অবশ্যই প্রত্যাবাসনের সক্ষমতা রয়েছে বলে আমরা মনে করছি।

আমারসংবাদ/জেআই