Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

চাল ও কাঁচামরিচের দাম কমেনি

এম এ আহাদ শাহীন

আগস্ট ১৩, ২০২১, ০৭:২৫ পিএম


চাল ও কাঁচামরিচের দাম কমেনি

ইলিশের ভরা মৌসুমেও কেজির ওপরে ইলিশ হাজার টাকার নিচে মিলছে না। তবে তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অন্য মাছের বাজার। চাল ও কাঁচামরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও স্বস্তি রয়েছে মুরগির বাজারে। এ ছাড়া বাজারে সবজির দাম অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন নিত্যপণের বাজারে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গতকাল বাজারে অন্যদিনের তুলনায় ক্রেতার উপস্থিতি বেশি দেখা যায়।

বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলছেন, চালের দাম বেড়ে গেছে। কাঁচামরিচের দামও বাড়তি। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। তবে সবজি ও মুরগির দাম অপরিবর্তিত থাকায় কিছুটা স্বস্তির কথা জানালেন তারা।

চার মাস ধরে মুরগির দাম প্রায় একই রকম রয়েছে জানিয়ে বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, গত কয়েক মাসে মুরগির বাজারে দামের তেমন কোনো পার্থক্য নেই। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার, সোনালি ও দেশি মুরগি। কেজিপ্রতি ব্রয়লার ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, সোনালি ২১০ থেকে ২২০ টাকা, দেশি ৪০০ থেকে ৪১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আব্দুল আওয়াল নামের এক ক্রেতা জানান, গত কয়েক মাসে শুধু মুরগির বাজারেই দামের তেমন কোনো পার্থক্য দেখিনি। এ ছাড়া চালসহ অন্য পণ্যের দাম প্রতিদিনই ওঠানামা করে।

এদিকে চালের বাজার এখনো ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি সর্বনিম্ন ৫০ টাকায়। এ ছাড়া মোটা চাল কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫২ টাকা, নাজিরশাইল ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা, বাংলামতি ৭৩ থেকে ৭৫ টাকা, পাইজাম আতপ ৬৩ থেকে ৬৫ টাকা, মিনিকেট চিকন ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা, পোলাও চাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ইলিশ বিক্রেতা মো. সুরুজ আলী জানান, কেজির নিচে ইলিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কেজির ওপরে এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা আর দেড় কেজির ওপরে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের দাম আরও কিছুদিন পর কমবে। তখন কেজিপ্রতি ইলিশ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় মিলবে।

সবজির বাজারে শুধু কাঁচামরিচের ঝালই বেশি। কেজিপ্রতি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এ ছাড়া কেজিপ্রতি পেঁয়াজ দেশি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আকার ও মানভেদে বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পালংশাক ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটোল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কচু ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতের আগাম সবজি শিম ও ফুলকপি রাজধানীর বাজারগুলোতে চলে এসেছে। তবে দাম একটু চড়া। শিম কিনতে ক্রেতাদের কেজিতে ১৬০-২০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। আর ছোট একটা ফুলকপি কিনতে লাগছে ৩০-৫০ টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে নতুন আসায় এখন শিম ও ফুলকপির দাম একটু বাড়তি। এই বাড়তি দাম আরও বেশকিছু দিন থাকবে। তবে দাম বেশি হলেও বাজারে শিম ও ফুলকপির বেশ চাহিদা রয়েছে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সরদার ফরিদ বলেন, বাজারে যখন নতুন কোনো সবজি আসে তার দাম একটু বাড়তি থাকে। সে হিসেবে এখন শিম ও ফুলকপি দাম খুব বেশি না। সহসা এ দাম কমার সম্ভাবনা নেই। বরং সামনে আরও বাড়তে পারে।

তিনি বলেন, বাজারে শীতের সবজি ভরপুর আসতে আরও অনেক সময় বাকি আছে। এখন যে শিম ও ফুলকপি আসছে তা আগাম সবজি। এর চাষ অল্প পরিমাণে হয়। ফলে বাজারে সরবরাহ কম থাকে। আর নতুন জিনিসের প্রতি ক্রেতাদের বাড়তি চাহিদা থাকে। তাই দাম বেশি হলেও এখন শিম ও ফুলকপি বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে।

খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মিন্টু বলেন, অল্প কয়েকদিন ধরে বাজারে শিম ও ফুলকপি আসতে শুরু করেছে। বাজারে এ দুটি সবজির চাহিদা বেশ ভালো রয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্রেতা এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) আধা কেজি করে কিনছেন। বাজারে দেশি ডাল ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়, ভারতের ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ডিমের ডজন ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায় কেজিতে।

আমারসংবাদ/জেআই