Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

শেখ হাসিনাই ছিলেন টার্গেট

আসাদুজ্জামান আজম ও রফিকুল ইসলাম

আগস্ট ১৯, ২০২১, ০৬:৪৫ পিএম


শেখ হাসিনাই ছিলেন টার্গেট
  • এমন জঘন্য ও বর্বরতম জঙ্গি হামলা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই : লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য, আ. লীগ
  • দীর্ঘদিনের শাসন-শোষণ টিকিয়ে রাখতে ২১ আগস্ট ঘটানো হয়েছিল : অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য
  • শেখ হাসিনাকে হত্যার মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল : মাহবুব-উল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. লীগ
  • রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে সন্ত্রাসের উত্থান হয়েছিল : আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. লীগ

আগামীকাল শনিবার, ভয়াল ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। গ্রেনেড বিস্ফোরণে মুহূর্তে মৃত্যুপুরী হয়ে যায় গুলিস্তান এলাকা। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকে আহত-নিহতদের দেহ। ওই ঘটনায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা ভয়াবহ এ হামলা থেকে বেঁচে গেলেও নিহত হন আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী। দলটির দাবি— ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় বিএনপি-জামায়াত সরাসরি জড়িত। তাদের মূল টার্গেট ছিলো শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করে দেশে জঙ্গিদের অভায়ারণ্য তৈরি করে দীর্ঘদিনের শাসন-শোষণ টিকিয়ে রাখা। তারা বলছেন, ২১ আগস্টের মতো জঘন্য ও বর্বরতম জঙ্গি হামলা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই।

তথ্যমতে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অনিয়ম, দুর্নীতি, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদসহ নানামুখী অপকর্মের বিরুদ্ধে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ডাক দেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সকাল থেকেই জয় বাংলা স্লোগানে উত্তপ্ত পুরো গুলিস্তান এলাকা। বিকালে ট্রাকের উপর অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য দেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা। তার বক্তব্য শেষ করে তিনি ‘সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রার’ উদ্বোধন ঘোষণার মুহূর্তে নৃশংস গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে মুহূর্তের মধ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় পুরো গুলিস্তান এলাকা। ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে থাকে গ্রেনেডে আঘাতপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের নিহত নেতাকর্মীদের নিথর দেহ। ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রাণে বেঁচে গেলেও তার শ্রবণশক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে যত নৃশংস সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর মধ্যে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা সবচেয়ে ভয়াবহ।

২০০১ সালের পর বাংলাদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, খুন, গুম, ধর্ষণসহ নানামুখী অপরাজনীতির রাজত্ব কায়েম করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাভাই, শায়েখ আব্দুর রহমান, জঙ্গি সংগঠনগুলোর উত্থান শুরু হয়। বিএনপি-জামায়াতের এমন অপকর্মের বিরুদ্ধে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ ও দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নানামুখী আন্দোলন-সংগ্রাম, মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা গড়ে তোলেন। এ অবস্থায় তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও তারেক রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অপব্যবহার করে পূর্বনির্ধারিত এবং ঠাণ্ডা মাথায় গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে কিলিং অপারেশন চালায় বলে দাবি আওয়ামী লীগ নেতাদের। তারা মনে করেন, এ দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ভয়াবহ কলঙ্কময় দিন। দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নেতৃত্বশূন্য করার জঘন্য অপচেষ্টার দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড ছুড়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। নেতাকর্মীরা মানব ঢাল তৈরি করে তাকে বাঁচাতে পারলেও মহিলা লীগের তৎকালীন সভাপতি আইভী রহমান, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত দেহরক্ষীসহ ২৪ জন নেতাকর্মী এই ভয়াবহ, নৃশংস, নিষ্ঠুর-নির্মম গ্রেনেড হামলায় মারা যান। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রাণে বেঁচে গেলেও তার দুই কান ও চোখ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অপূরণীয় ক্ষতি হয় তার শ্রবণশক্তির। অলৌকিকভাবে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসেন তিনি।

আ.লীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় বিএনপি-জামায়াত সরাসরি জড়িত। তাদের মূল টার্গেট ছিলো শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করে দেশে জঙ্গিদের অভায়ারণ্য তৈরি করে দীর্ঘদিনের শাসন-শোষণ টিকিয়ে রাখা।  তাদের দাবি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর মামলা নেয়া হয়নি, সংসদে কথা বলতে দেয়া হয়নি, চিকিৎসা নিতে দেয়া হয়নি, মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং গুলিবর্ষণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসমপ্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে শক্তি, সেই শক্তিকে ধ্বংস করে দেয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় এত মানুষ রক্তাক্ত হয়েছে, ক্ষতবিক্ষত হয়েছে কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কেউ সেই স্থান পরিদর্শন পর্যন্ত করেনি। মূলত ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত বিএনপি-জামায়াত সরকার সরাসরি যুক্ত ছিলো।  

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান আমার সংবাদকে বলেন,  ২০০১ সালের পর বাংলাদেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের উত্থান হয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের হাত ধরে। সে সময় আমরা দেখেছি বাঙলা ভাই, শায়েখ আব্দুর রহমান, জামায়াতের উত্থান এবং সরকারের মন্ত্রীদের সমর্থনে নানা ধরনের জঙ্গি তৎপরতা, এক সাথে পাঁচশতাধিক স্থানে বোমা হামলা দেখেছি, ৬৩ জেলায় বোমা হামলা দেখেছি, ২১ আগস্ট একটি জঘন্যতম গ্রেনেড হামলা দেখেছি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের খুনগুম করতে দেখেছি, বাংলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করতে দেখেছি। কিন্তু ২১ আগস্টের মতো জঘন্য ও বর্বরতম জঙ্গি হামলা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। সেদিন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পূর্বপরিকল্পনা করেই গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় বিএনপি-জামায়াত সরাসরি জড়িত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ আওয়ামী লীগ বিরোধীরা মনে করেছিল, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করলেই বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা যাবে। তাই সেদিন শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেয়াই ছিলো প্রাইম টার্গেট। এই জঘন্য ঘটনার সাথে খালেদা জিয়া, তারেক জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা জড়িত ছিলো। কারণ তারা বাংলাদেশে কখনো গণতন্ত্র ও জনগণের সরকার চায়নি। লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান আরও বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর মামলা নেয়া হয়নি, সংসদে কথা বলতে দেয়া হয়নি, চিকিৎসা নিতে দেয়া হয়নি, মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে। ২১ আগস্ট বিএনপি সরাসরি জড়িত ছিলো। তার অনেক প্রমাণ আছে। বিএনপির জড়িত থাকার কারণ তারা ভেবে ছিলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। লুটের রাজত্ব কায়েম করতে পারবে না, দুর্নীতি করতে পারবে না, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে পারবে না। তৎকালীন সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা চায়নি বলেই গ্রেনেড হামলা করেছিল।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক আমার সংবাদকে বলেন, ২১ আগস্টে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সেদিন মূল টার্গেট ছিলো শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। আওয়ামী লীগের নেতাকমীদের হত্যা। আর এই হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে জঙ্গিদের অভায়ারণ্য তৈরি করা। দীর্ঘদিনের শাসন-শোষণ টিকিয়ে রাখা। শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসমপ্রদায়িক বাংলাদেশের বিনির্মাণের যে শক্তি, সেই শক্তিকে ধ্বংস করে দেয়া। এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত বিএনপি-জামায়াত সরকার সরাসরি যুক্ত ছিলো। তিনি আরও বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর চারদিকে বাঁচাও বাঁচাও বলে মানুষের চিৎকার-আহাজারি। ছুটে গেলাম নেত্রীর বাসায়। নেত্রীকে বললাম, আমরা এই রক্তের বদলা নেবো। অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘাটের ডাক দিবো। কিন্তু নেত্রী বললেন, আমি মানুষের রাজনীতি করি। আগে মানুষ বাঁচাতে হবে, পরে রাজনীতি। হরতাল দিলে মানুষের কষ্ট হবে। আমার জন্য আর কত মানুষ জীবন দিবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ আমার সংবাদকে বলেন, ২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় দিন। সরকার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদেশ্যে এই হামলা চালিয়ে ছিলো। এই গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা হাওয়া ভবনে বসে করা হয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছিলো আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হত্যা করা। আর হত্যার মধ্যদিয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখেছিল। এই গ্রেনেড হামলা লজ্জাজনক ছিলো। তিনি আরও বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর জেল হত্যার ধারাবাহিকতার অংশ। তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত  পাকিস্তানের ধারা থেকে সৃষ্টি। তারা সব সময় মনে করেন, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। তাই তারা বারবার বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে আঘাত করেছে। শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। তাকে হত্যা করতে ২১ আগস্ট ভয়ঙ্কর গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত ছিলো তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। মদতদাতারা চিহ্নিত হয়েছে। বাঙালি জাতির প্রত্যাশা তাদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক।    

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম আমার সংবাদকে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির মূল লক্ষ্য ছিলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে পাকিস্তানি ভাবধারায় সামপ্রদায়িক শক্তির উত্থানের ভেতর দিয়ে মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী শক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে পাকিস্তানে রূপান্তরিত করা এবং ধর্মভিত্তিক একটি রাষ্ট্র তৈরি করা। ঠিক একইভাবে ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসামপ্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে শক্তি, সেই শক্তিকে ধ্বংস করে দেয়া। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে হত্যা করা। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর আমরা দেখেছি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় কীভাবে দেশে সন্ত্রাসের উত্থান হয়েছে। আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং গুলিবর্ষণ করেছে। সেদিন এত মানুষ রক্তাক্ত হয়েছে, ক্ষতবিক্ষত হয়েছে কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কেউ সেই স্থান পরিদর্শন পর্যন্ত করেনি। মূলত ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত বিএনপি-জামায়াত সরকার সরাসরি যুক্ত ছিলো।

আমারসংবাদ/জেআই