Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

শিক্ষাঙ্গনে গরম হাওয়া

আগস্ট ২৯, ২০২১, ০৭:১০ পিএম


শিক্ষাঙ্গনে গরম হাওয়া
  • নীলক্ষেতে ছাত্রদের চার ঘণ্টা অবস্থানে যানজট, আশ্বাসে ফিরলেও দেয়া হয়েছে হুঁশিয়ারি
  • ঢাবিতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষ, অর্ধশত আহত, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দুই দলের
  • ছাত্রলীগের শীর্ষ ব্যক্তিদের নেতৃত্বে হামলা হয় আমাদের মিছিলে —রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সহসভাপতি ছাত্রদল
  • ছাত্রলীগকে দোষারোপ করা ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভ্যাস —সাদ্দাম হোসেন, ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
  • ক্ষমতাসীন দল সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনীতিতে সংঘাত সৃষ্টি করছে —মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি মহাসচিব

ক্যাম্পাস খোলার আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গরম হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে গত দুই-তিন দিন রাজনৈতিক মাঠে দিচ্ছেন উত্তপ্ত বক্তব্য। এর মধ্যে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ছাত্রদলের আহতদের রক্তাক্ত ছবি ও পরিচয় প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়ে সংঘাত সৃষ্টি করছে। বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সমপ্রতি ছাত্রলীগের কর্মীদেরকে উস্কানি দেয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মতিঝিল, বগুড়া, সিলেট ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদের বিক্ষোভে পুলিশ ও ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এর দায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককেই নিতে হবে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের ভাষ্য, আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করা বিএনপির সাংগঠনিক অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

এদিকে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজে গণফেলের প্রতিবাদে নীলক্ষেত ও সাইন্সল্যাব এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ করে চার ঘণ্টা সড়কে অবস্থান নেন শতাধিক শিক্ষার্থী। বন্ধ হয়ে যায় আশপাশের সড়ক। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মিরপুর রোড, সাইন্সল্যাব ও আজিমপুরে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সাত কলেজের শিক্ষকরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। দুদিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের ইঙ্গিত দিলে আন্দোলনকারীরা ৪৮ ঘণ্টার হুঁশিয়ারি দিয়ে চার ঘণ্টা পর সড়ক থেকে সরে যান।

ঢাবিতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষ, অর্ধশত আহত, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রনিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও মুক্তি দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে গতকাল হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা, এমন অভিযোগ ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীদের। অর্ধশত নেতাকর্মী রক্তাক্ত হওয়ারও দাবি করে তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমানসহ সংগঠনটির বহু নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রুমি ভবনের (বিএনসিসি ভবন) সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ছাত্রদলের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আমরা শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে টিএসসির দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় বিএনসিসির সামনে বাইক নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা হেলমেট পরে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে।’

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন বলেন, ‘আমরা মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার থেকে শামসুন্নাহার হলের সামনে এলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে আমাদের মিছিলে হামলা করা হয়। আমরা তাদেরকে শত বাধা দেয়ার পরও আমাদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।’ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তানজিল হাসান আমার সংবাদকে বলেন, ‘ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদককে অবৈধভাবে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমরা মিছিল বের করি। মিছিলে ছাত্রলীগ আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে ছাত্রদলের প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হন। অনেকেই রক্তাক্ত, চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’

এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন আমার সংবাদকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে ঘটনাটি ঘটেছে এর সাথে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সকল বিষয়ে ছাত্রলীগকে দোষারোপ করা ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভ্যাস হয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা ১৫ ও ২১ আগস্টের ঘাতকদের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী এবং যারা ধারাবাহিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে— তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করবে, প্রতিরোধ করবে, প্রতিহত করবে।’

এ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ছেলেরা একজন সহকর্মীর মুক্তির জন্য শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে গেলে সেখানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশ সহকারে তাদের ওপর নির্মমভাবে আঘাত করেছে, অত্যাচার করেছে, নির্যাতন করেছে।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সমপ্রতি ছাত্রলীগের কর্মীদেরকে উস্কানি দেয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মতিঝিল, বগুড়া, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদলের বিক্ষোভে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলা, গ্রেপ্তার প্রমাণ করে— ক্ষমতাসীন দল সিদ্ধান্ত নিয়ে সংঘাত সৃষ্টি করছে। এর দায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককেই নিতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে বিনা উস্কানিতে ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহিম, সজীব হোসেন শান্ত, সোহাগ মাহমুদ, মো. রায়হান, মেহেদী হাসান, মো.  জোবায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীর ৪০ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হোসেন এখন পর্যন্ত নিখোঁজ। হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমানসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, হামলা-সন্ত্রাস চালিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম দমন করা যাবে না। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় দায়-দায়িত্ব তাদেরকেই বহন করতে হবে।’

সাত কলেজের ছাত্রদের চার ঘণ্টা অবস্থান, যানজট, আশ্বাসে বাড়ি ফিরলেও দেয়া  হয়েছে হুঁশিয়ারি : চার ঘণ্টা সড়কে অবস্থানের পর শিক্ষকদের আশ্বাসে সরলেন সাত কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কয়েকশ শিক্ষার্থীর অবস্থানের কারণে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মিরপুর রোড, সাইন্সল্যাব ও আজিমপুরে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুপুরের পর সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ আন্দোলকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যা সমাধানের সময় বেঁধে দিলে শিক্ষকরা বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়ে সড়ক থেকে উঠার অনুরোধ জানান। অধিভুক্ত সাত কলেজের সমন্বয়ক, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘আগামী দুই দিনের মধ্যে সাত কলেজের অধ্যক্ষ, ডিপার্টমেন্ট চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটা মিটিংয়ের আয়োজন করবো। যেখানে তোমাদের দাবিসমূহ উত্থাপন করে একটা সিদ্ধান্ত নেবো। পরবর্তীতে তোমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে। এখন সবাইকে বাসায় ফিরে যেতে অনুরোধ করবো।’ অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মো. নোমান বলেন, ‘আগামী দুই দিনের মধ্যে আমাদের বিষয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নেবে সেদিকে তাকিয়ে থাকবো। কিন্তু আমাদের দাবিসমূহ মেনে না নিলে আমরা পুনঃরায় আবার জড়ো হয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো।’

জানা যায়, গতকাল রোববার সকাল ১০টা থেকে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী কর্মসূচি শুরু করেন। বেলা ৩টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে তারা এ দিনের মতো কর্মসূচি শেষ করেন। ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন অথবা আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিশেষ পরীক্ষা নিয়ে ফলাফল প্রকাশের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না করলে এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। তাদের এই অবস্থান কর্মসূচির কারণে আজিমপুর-মিরপুর সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিলে তাদের পাশ দিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক মাসে সাত কলেজের আট থেকে ৯টি বিভাগের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফলে দেখা গেছে ‘বিপর্যয়’। এর মধ্যে ইংরেজি বিভাগে সাতটি কলেজেই গণহারে ‘ফেল করিয়ে দেয়া হয়েছে’ বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। ঢাকা কলেজের দর্শন বিভাগের অনেক শিক্ষার্থীকে ফেল দেখানো হয়েছে। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ২০১৫-১৬ সেশনের ইংরেজি বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষে ‘ভয়াবহ ফলাফল বিপর্যয়’ হয়েছে। তিতুমীর কলেজের ২৪১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৯৩ জন ফেল, ইডেন মহিলা কলেজের ২১০ জনের মধ্যে ১৭৫ জন ফেল, সরকারি বাংলা কলেজের ১১৬ জনের মধ্যে ৯২ জন ফেল, বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ জন ফেল করেছেন। অন্যান্য বিভাগের ফলাফলও ভালো নয়। ‘এত বিপুল শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার পেছনে কোনো কারণ কলেজ প্রশাসন দেখাতে পারছে না। আমরা চাই খাতাগুলোর আবার মূল্যায়ন করা হোক।’

ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আমাদেরকে চার বছরের জায়গায় ছয় বছর পড়তে হয়েছে। কোনো ক্লাস ছাড়া মাত্র ২০ দিনের নোটিসে আমাদের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়ার পর দেখা গেছে, প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে গণহারে ফেল। ৩০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫০ জন বা ২৫ জন পাস করেছে।’  তিনি বলেন, ‘ফেল করার মতো পরীক্ষা আমরা দেইনি। আমাদের নিজেদের কনফিডেন্স আছে। আমরা চার বছর পড়ালেখা করেই ফাইনাল ইয়ারে এসেছি, আমরা যদি কোনো পড়ালেখাই না করতাম, তাহলে ফার্স্ট ইয়ারেই আমাদের আরও খারাপ হতো বা আমরা এগোতে পারতাম না।’

সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী ওসমান গনী বলেন, ‘আমাদের ২০১৯ সালের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে ২০২১ সালে, চার বছরের কোর্সে ছয় বছর লেগে গেছে। তারপর ফলাফলে দেখা গেছে, গড়ে সবাইকে একটা সাবজেক্টে ফেল করানো হয়েছে। ‘ক্লাস না হলেও আমরা ফুল সিলেবাসে পরীক্ষা দিয়েছি। গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করতে আমাদের ছয় বছর লেগে গেছে, আমরা গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে এই সাত কলেজ থেকে মুক্তি চাই, আমরা খাতার পুনর্মূল্যায়ন চাই।’

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘রাস্তায় নামলেই কি সমাধান হয়ে যায় নাকি? তাদের উচিত ছিলো সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সাথে কথা বলা। তাদের অধ্যক্ষরা সেটা আমাদের জানাবেন।’ গণহারে ফেলের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘খাতা তো দেখেছে সাত কলেজের শিক্ষকরাই, এটা তো আর ঢাকা ইউনিভার্সিটির শিক্ষকরা দেখেননি। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জিজ্ঞাসা করেছি, ওই খাতাগুলো সাত কলেজের শিক্ষকরাই দেখেছেন।’

আমারসংবাদ/জেআই