Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

রায় ঘোষণার অপেক্ষায়

সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১, ০৬:২০ পিএম


রায় ঘোষণার অপেক্ষায়
  • আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে : রাষ্ট্রপক্ষ
  • মেজর সিনহার হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শেষে খুলেছে বিচারবিভাগ। সচল হয়েছে বিচারিক প্রক্রিয়া। সরগরম হয়ে উঠেছে আদালত পাড়া। বিচারিক আদালতে বেশ কিছু আলোচিত মামলার বিচারে অগ্রগতি এসছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বলেও জানা গেছে।

মামলাগুলোর  তদন্তকাজ, চার্জশিট প্রদান, সাক্ষ্য হাজির, সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে চার্জ গঠন পর্যায়ে রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা, বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও পুলিশের পুলিতে নিহত মেজর সিনহা রশিদ চৌধুরীর মামলা।  

জানা গেছে, আবরার হত্যামামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হবে। আর এস কে সিনহার অর্থ আত্মসাৎ ও রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ দুই মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হবে। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বলছেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে, এমনই আশা রাষ্ট্রপক্ষের।

রাষ্ট্রপক্ষের তিন আইনজীবী বলছেন, তিন মামলায়ই বিচারিক প্রক্রিয়া শেষের দিকে রয়েছে। যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হবে। তবে দ্রুতই এসম মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

জানতে চাওয়া হলে আবরার হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি প্রশান্ত কুমার কর্মকার বলেন, ‘আবরার হত্যামামলাটি যুক্তি উপস্থাপন পর্যায়ে রয়েছে। যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হবে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মামলার রায় ষোষণা হবে। রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা করছি।’

এদিকে এস কে সিনহার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মীর আহম্মেদ সালাম বলেন, ‘এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে করা মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হবে। আর দুই ধার্য তারিখের মধ্যে মামলাটি শেষ হবে বলে আশা করছি।’

বনানীতে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ  মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ বলেন, ‘দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হবে। আশা করি দুই-তিন ধার্য তারিখের মধ্যে মামলাটির রায় ঘোষণা হয়ে যাবে। রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি আমরা।’

আবরার হত্যা : যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় : ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদি হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যামামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত আরও ছয়জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন।

গ্রেপ্তার ২২ জন হলেন— মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রাসেল, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।

মামলার তিনজন আসামি এখনো পলাতক আছেন। তারা হলেন— মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত আসামি। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণের পর মামলাটির যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রয়েছে। যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হবে।

এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য শেষ : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ও কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা । পরে বিদেশ থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।এরপর ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঋণ জালিয়াতি ও চার কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদি দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

দুদক জানায়, আসামি মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখায় দুটি চলতি হিসাব খোলেন। ৭ নভেম্বর তারা দুই কোটি করে মোট চার কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেন। ব্যাংক হিসাব খোলা ও ঋণ আবেদনপত্রে দুজনই বাড়ি নম্বর ৫১, সড়ক নম্বর ১২, সেক্টর ১০, উত্তরা আবাসিক এলাকা- এই ঠিকানা উল্লেখ করেন। ওই বাড়ি সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। ঋণ আবেদনে জামানত হিসেবে রণজিৎ চন্দ্র সাহার স্ত্রী সান্ত্রী রায় সিমির সাভারের ৩২ শতাংশ জমি দেখানো হয়। এ দুজনই এস কে সিনহার পূর্বপরিচিত। ঋণ আবেদন দুটি কোনোরকম যাচাই-বাছাই করা হয়নি। রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ ও ব্যাংকের কোনো নিয়মনীতিও মানা হয়নি।

২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আদালতে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে সবার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে ২৯ আগস্ট (রোববার) আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থন শেষ হলে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করা হবে।

এরপর মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হবে। মামলার আসামিদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) কারাগারে, ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা জামিনে আছেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় পলাতক আছেন।

রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য শেষ : শেষ পর্যায়ে রয়েছে রাজধানীর বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচারকাজও। মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদি এবং তার বান্ধবী ও বন্ধুকে আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে বাদি ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যান আসামিরা। সেখানে বাদিকে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদি। তার মাধ্যমেই ওই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় হয়।

পরে সাফাত তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ওই দুজনকে আমন্ত্রণ জানালে তারা সম্মত হন। আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে তাদের বলা হয়েছিল, বড় একটি অনুষ্ঠান হবে, অনেক লোকজন থাকবে। ঘটনার রাতে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী তাদের দুজনকে বনানীর ২৭ নম্বর রোডে অবস্থিত হোটেল রেইনট্রিতে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তারা অন্য কোনো লোকজন দেখতে পাননি। তবে অন্য দুই তরুণীকে নিয়ে সাফাত ও নাঈমকে হোটেলের ছাদ থেকে নিচে যেতে দেখতে পান তারা।

কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন না দেখে ভুক্তভোগী দুই তরুণী চলে যেতে চাইলেও আসামিরা তাদের গাড়ির চাবি শাহরিয়ারের কাছ থেকে নিয়ে নেন এবং তাকে মারধর করেন। পরে বাদি ও তার বান্ধবীকে হোটেলের একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন।এসময় সাফাত তার গাড়িচালককে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে বলেন। বাদিকে নাঈম আশরাফ মারধরও করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি ২০১৭ সালের ৭ জুন পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

একই বছরের ১৯ জুন ওই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শফিউল আজম পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন।

অভিযোগপত্রে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্য তিন আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ। মামলায় মোট ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

মামলাটিতে রোববার (২৯ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। তা শেষ হলে শুরু হবে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন। এরপর মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি।