Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক উষ্ণতা

অক্টোবর ২৬, ২০২১, ০৬:১০ পিএম


রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক উষ্ণতা

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ব্যর্থতার প্রতিবাদে বিএনপির শোভাযাত্রা ও সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে লক্ষ করে ছোড়া হয়েছে ইটপাটকেল। আত্মরক্ষার্থে টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পুলিশও। এতে পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে বিএনপির ৪৪ নেতাকর্মীকে— এমন ভাষ্য পুলিশের। 

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল থেকে বলা হচ্ছে, অপপ্রচার করাই বিএনপির শেষ আশ্রয়স্থল। দোষারোপের রাজনীতি করেই মানুষকে দলটি বিভ্রান্ত করছে। বিএনপি মিথ্যাচার এবং অপপ্রচারের ফানুস উড়িয়েই যাচ্ছে। তাদের এসব অভিযোগ কল্পনাপ্রসূত, যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই। 

এজন্য তারা সাময়িক ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রতিবাদকারীদের বাধা দেয়া উচিত নয়। আবার বিষয়টি কেউ যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করেন, তাহলে প্রকৃত সমাধান হবে না। প্রয়োজন সবার ঐক্যবদ্ধতা। যা আমরা এখনো কার্যত দেখছি না। 

সংশ্লিষ্ট ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত আমার সংবাদকে বলেন, প্রথম কথা সাম্প্রদায়িক যে হামলা হলো, সেসব অতীতে কোনো রাজনৈতিক দল স্বীকার করেনি। এ সরকারও শিকার করে না। এবারের একটি ইতিবাচক দিক হলো, উভয় দলই সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে বলে শিকার করেছে। 

তবে এই সাম্প্রদায়িক হামলাগুলো নিয়ে তারা যেভাবে (দুটি দল) পারস্পরিক দোষারোপের রাজনীতি শুরু করেছে— এটা সঠিক বলে আমরা মনে করছি না। আমরা মনে করছিস দোষারোপের রাজনীতিটা বাদ দিয়ে কী করে নাগরিককে রক্ষা করবে, সুরক্ষা করবে, তা নিয়ে দুই দলের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তোলা উচিত এবং জাতীয় ঐকমত্যের নিরিখে জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক।  

রাজনৈতিক বিশ্লেষক রুহিন হোসেন প্রিন্স আমার সংবাদকে বলেন, পুলিশের ওপর আক্রমণ করে বা কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের আটক করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা হবে না। রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এভাবে কাজ না করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রকৃত সমাধানের জন্য প্রয়োজন সবারই ঐক্যবদ্ধতা। কিন্তু আমি যতটুকু দেখেছি, আজকে (গতকাল) বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে। এভাবে রাষ্ট্র থেকে বাধা দেয়া উচিত নয়। কিন্তু এটিকে যদি আবার কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হিসেবে নিয়ে কাজ করা হয়, এটা সমীচীন হবে না। 

জানা গেছে, গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির ‘শান্তি সমাবেশের’ কর্মসূচির পর পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে।  বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ওই সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কাকরাইলের দিকে এগোলে নাইটিঙ্গেল মোড়ের কাছে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এসময় বিএনপিকর্মীরা রাস্তার দুই পাশের গলিতে ঢুকে পড়ে পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়তে থাকেন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের উপকমিশনার আব্দুল আহাদ ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বিএনপিকর্মীদের মিছিল করার কথা ছিলো না। সমাবেশ শেষে বিএনপি মহাসচিবও সে কথা বলেছিলেন। ঢাকার নয়াপল্টনে গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির শান্তি সমাবেশের কর্মসূচির পর পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।

এরপরও আপনারা দেখেছেন, মিছিলসহকারে নেতাকর্মীরা যখন এখানে আসেন, আমাদের পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়ে, তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে। এতে অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। যেভাবে পুলিশের ওপর তারা ইটপাটকেল ছুড়েছে, এটা কোনো সভ্য দেশে কাম্য হতে পারে না।

একজন সাংবাদিক এ সময় বলেন, বিএনপি তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার অভিযোগ করেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। উত্তরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।’ এ ঘটনায় ঘটনাস্থল ও আশপাশ থেকে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ঢাকার নয়াপল্টনে গতকাল বিএনপির শান্তি সমাবেশের কর্মসূচির পর পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে  

সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে এই শান্তি শোভাযাত্রা ও সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি। তাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করেন। এ অবস্থানের কারণে সড়কের এক পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

 এদিকে বিএনপির এ কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কাছেই দেখা যায় পুলিশের সাঁজোয়া যান। পুলিশের উপস্থিতিতেই বিএনপি নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।  ‘এক হও- লড়াই করো’, ‘জিয়ার সৈনিকরা- এক হও’, ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই- খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।  

নয়াপল্টনে শান্তি সমাবেশের কর্মসূচির পর পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সেখান থেকে দুই ডজনের বেশি নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন।

এ নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজ আল আসাদ জানান, এ ঘটনায় নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে বিএনপির ৪৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই— এই দেশে সরকার পরিবর্তন এখন জনগণের দাবি। আওয়ামী লীগের আর ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। তারা কোনো সমস্যারই সমাধান করতে পারেনি। তারা আজকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি করে, মানুষের অধিকার ব্যাহত করে, জনমানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। তাই বলবো, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটি নতুন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিন, যাতে সবাই ভোট দিতে পারেন। ভোটের মাধ্যমে তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে সরকার যে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে, তার প্রতিবাদ জানাতে শান্তিপূর্ণ র্যালি করে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত যাবো। এ ব্যাপারে আমরা চিঠিও দিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সকাল থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের এখানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এখন সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করছি।’ ৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করে অবিলম্বে তাদের মুক্তি চান বিএনপি মহাসচিব।

স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য— এই সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হতে দেয়া হবে না এবং নির্বাচনে যাবো না। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে হটিয়ে একটি নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে আগামী দিনে নির্বাচন করবো। আগামী দিনে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য আপনারা প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের যে সংগঠিত করছেন, আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। যে কোনো মুহূর্তে আন্দোলনের ডাক পড়বে। সময় পাবেন অথবা সময় পাবেন না। আজকে যেমনি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তার থেকে শতগুণ শক্তি নিয়ে রাজপথে থাকতে হবে। রাজপথে যে বাধা আসবে, সেই বাধা অতিক্রম করতে হবে। আঘাত করলে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

‘আঘাত করলে আমরা নির্ভয়ে মাথা পেতে নেবো না— এ কথাটা পরিষ্কারভাবে প্রশাসনকে বলতে চাই। সময় থাকতে পদত্যাগ করুন, দেশে শান্তি অবস্থা ফিরিয়ে আনুন। আর মন্দিরে হামলার সাথে জড়িত প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করুন। বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে যে মামলা দিয়েছেন, তা প্রত্যাহার করুন। যাদের গ্রেপ্তার করেছেন, তাদের মুক্তি দিন।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘গণতন্ত্রের মা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ আন্দোলনের মাধ্যমেই; অন্য কোনো পথ নেই। সেজন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এরশাদের সময়েও মন্দিরে হামলা হয়েছে। কিন্তু এরশাদের পতন কেউ ঠেকাতে পারেনি। আজও মন্দিরে হামলা করে ক্ষমতা টেকানো যাবে না। এই জুলুমবাজ, স্বৈরাচারী, দুর্নীতিবাজ, তাঁবেদার সরকারকে বিদায় নিতেই হবে।’

প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বিএনপির নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, হায়দার আলী খান লেলিন, আমিরুজ্জামান শিমুল, নিপুণ রায় চৌধুরী, অঙ্গসংগঠনের আফরোজা আব্বাস, সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, হেলেন জেরিন খান, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর, নুরুল ইসলাম নয়ন, হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আবুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।

এ নিয়ে গতকাল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, যে কোনো ইস্যুকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে বিতর্কিত করাই বিএনপির কাজ। তিনি বলেন, অপপ্রচার করাই বিএনপির শেষ আশ্রয়স্থল। 

ঘটনার পর বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ায়নি অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন প্রায় দুই সপ্তাহ পর বিএনপি প্রতিনিধিদল বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করছে। ঘটনার রেশ কেটে যাওয়ার পর এই লোকদেখানো পরিদর্শন দলীয়ভাবে বিএনপির দায়িত্বহীনতাকেই স্পষ্ট করছে। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে পুরোহিতদের সরকার বাধা দিয়েছে— এমন অভিযোগ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, এমন সৃজনশীল মিথ্যাচার বিএনপির মুখেই মানায়।

কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায় পূজামণ্ডপে হামলা সরকারের নীলনকশা, সরকার হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিচারের উদ্যোগ নেয়নি— বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব অভিযোগ বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচার গোয়েবলসকেও হার মানায়। 

তিনি বলেন, পূজামণ্ডপে হামলার পর থেকে বিএনপি মিথ্যাচার এবং অপপ্রচারের ফানুস উড়িয়েই যাচ্ছে। তাদের এসব অভিযোগ কল্পনাপ্রসূত, যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই। দোষারোপের রাজনীতি যেহেতু বিএনপির আদর্শ, সেহেতু সরকারের বিরুদ্ধে কিছু না কিছু বলতেই হবে। এ ধরনের কল্পিত ও অন্তঃসারশূন্য অভিযোগ তারই ধারাবাহিকতা।  

ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, বিএনপি নেতারা হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য মায়াকান্না করলেও প্রকৃতপক্ষে পূজামণ্ডপে হামলার বিচার তারা চাননি। ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হলেও তারা বলছেন, বিরোধীদের হেনস্তা করার জন্য মামলা করা হয়েছে। এটা বিএনপির ডাবল স্ট্যান্ডার্ড।