Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

প্রতিটি কাজ নিয়েই আমি অতৃপ্ত

নভেম্বর ২২, ২০২১, ০৬:৫০ পিএম


প্রতিটি কাজ নিয়েই আমি অতৃপ্ত

মনে পড়ে কণ্ঠশিল্পী নাসিরের গাওয়া ‘নদীর ঢেউয়ের পরে ঢেউ এসে ভাঙলোরে দু’কূল/মনের দু’কূল ভাঙলো তবু ভাঙলো না তার ভুল’। অথবা ‘একদিন সব ছেড়ে চলে যাব বহু দূরে’ গানের কথা। একসময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাসির নতুন চমক নিয়ে আসছেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ওয়াহিদ তাওসিফ মুছা

কেমন আছেন, এ সময়ে কেমন কাটছে দিন?     
ভালো আছি। সামনেই পরিবারসহ আমেরিকা যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আমেরিকান অ্যাম্বাসি থেকে প্রথম মেইল পেয়েছি।  দ্বিতীয় মেইল পেলেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেবো। সন্তানদের পড়াশোনাসহ কিছু বিষয় নিয়ে দেশের বাইরে প্রায় এক বছর থাকতে হবে। এটা নিয়ে নানা দৌড়ঝাঁপের ওপর আছি। আর কাজের কথা যদি বলি- যেহেতু দেশের বাইরে একটা লম্বা সময় কাটবে, তাই বাংলাদেশ থেকেই কিছু গানের ভয়েস দিচ্ছি, শুটিং করছি। প্রতিটি গান আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রচারিত হচ্ছে। এভাবেই কেটে যাচ্ছে ব্যস্ত সময়।

ভক্তদের জন্য নতুন কী গান করছেন?
সম্প্রতি মিল্টন খন্দকারের দুটি গান নিয়ে কাজ করছি। রণজিৎ ও মাসুদুল ইসলামের লেখা কিছু গানসহ বেশ কয়েকটি গান নিয়ে কাজ করছি। ২০২২ সাল অবধি প্রায় ৪০টি গান উপহার দিতে চাই শ্রোতাদের। সময়ের পালাবদলে মানুষ বদলেছে। বদলেছে ইচ্ছা, চাহিদা আর অনুভূতিও। সবকিছু মাথায় রেখে প্রায় ২২টি নতুন গান এবং ১৮টি পুরাতন গান নতুন আঙ্গিকে (ভিডিও) শ্রোতাদের উপহার দিতে চাই। আশা করছি আমার গাওয়া এসব গানে ২০ বছর আগের সেই নাসিরকে শ্রোতারা পুনরায় খুঁজে পাবেন। 

আপনার পছন্দের কাজ সম্পর্কে জানতে চাই...
আমি যখন নিজের কাজ দেখতে বসি, তখন আমার কোনো কাজই পছন্দ হয় না। কোনো শিল্পী সেভাবে বলতে পারবে না যে, আমি ওই কাজ করে তৃপ্ত। আমি আমার প্রতিটি কাজ নিয়েই অতৃপ্ত। তবে আমার কিছু কাজ আছে যেগুলো আমার প্রিয়। সম্প্রতি যে গানগুলো প্রকাশিত হয়েছে, তার মধ্য ‘বাঁধলি দুটি চোখ, পারি না দোষ দিতে,  রূপসী কইন্না, অভিমান, নয়া দামান-২, কাগজের দাম যতই বাড়ুক পত্র দিও’  গানগুলোতে বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। এছাড়া ‘বন্ধুরে আমারে আর এমনে মারিস না, একদিন সব ছেড়ে চলে যাব বহু দূরে’ গানের মাঝেই ভক্তদের অন্তরে শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছিল বলে আমার বিশ্বাস।

গানের প্রতি আপনার ভালোবাসা কীভাবে?
আশির দশকে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার সময়  ব্র্যান্ডের এক জোয়ার যাচ্ছিল। গানের প্রতি সহজাত প্রবণতা আর ভালোবাসা থেকেই নিজের সঞ্চয় করা ৪৫০ টাকা দিয়ে একটি পুরাতন গিটার কিনে ফেলি। সেই থেকে শুরু! এরপর আর  পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পরবর্তীতে খুলনার ‘স্কুল অব মিউজিক’ থেকে ২-৩ বছর প্রশিক্ষণ নেয়া হয়েছিল। তবে আমি মনে করি, সংগীতের প্রতি আমার ভালোবাসার শক্তিই ব্যক্তি নাসির থেকে সবার ভালোবাসার নাসির করে তুলেছে।

ফিরে দেখা নাসির এবং তার প্রতিবন্ধকতা কেমন ছিলো?
আমার জীবনের প্রথম সম্মানী পেয়েছিলাম ২০ হাজার টাকা। সে ছিল এক অনিন্দ্যসুন্দর অনুভূতি। ঢাকা আসার পর তখন ৬০ টাকা দিয়ে হোটেলের রুম ভাড়া করে কেটেছে এক দীর্ঘ সময়। প্রথম কয়েকটি গান হিট না হলেও হতাশ হইনি। পরবর্তীতে অনেক অপ্রত্যাশিত গানেও প্রচুর পরিমাণে ভালোবাসা কুড়িয়েছি। এ যাত্রায় আমার কখনোই এই ফিল হয়নি যে, প্রতিবন্ধকতার কারণে এই পেশায় না এলেই ভালো হতো।