Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

বিজয়ের মাসেই ইউনিক আইডি

নভেম্বর ২৬, ২০২১, ০৭:৪০ পিএম


বিজয়ের মাসেই ইউনিক আইডি

কেমন হতো যদি স্কুলের ফি, পরীক্ষার ফলাফল, রক্তের গ্রুপ, বই সংগ্রহ, রেজিস্ট্রেশন, বৃত্তি-উপবৃত্তির অর্থ নেয়া— অর্থাৎ যত ধরনের নাগরিক সেবা আছে তার সব কিছুই একই ছাতার নিচে মিলতো? এ সব সুবিধা হাতের নাগালে পৌঁছে দিতেই দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য ‘ইউনিক আইডি’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। 

শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ এ সেবায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় রাখার জন্য ইউনিক আইডি তৈরি করা হচ্ছে। অফিস অব রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় বর্তমানে কোনো শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন করছে। 

আর যারা ১৮ বছরের ওপরে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে। এই দুই স্তরে পরিচয় ও শনাক্তের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু মাঝখানে বাদ পড়ে যাচ্ছে প্রি-প্রাইমারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে— প্রায় সাড়ে তিন কোটি শিক্ষার্থী। এদের আইডেন্টিফিকেশনের আওতায় আনার জন্যই ইউনিক আইডি তৈরি করা হচ্ছে।

‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (আইইআইএমএস) প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা চার পৃষ্ঠার ফরমে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফরমে শিক্ষার্থীর নাম, জন্মনিবন্ধন নম্বর, জন্মস্থান, জেন্ডার, জাতীয়তা, ধর্ম, অধ্যয়নরত শ্রেণি, রোল নম্বর, বৈবাহিক অবস্থা, প্রতিবন্ধিতা (ডিজঅ্যাবিলিটি), রক্তের গ্রুপ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কি-না, মা-বাবার নামসহ বেশ কিছু তথ্যঘর রয়েছে। বৈবাহিক অবস্থার অপশন হিসেবে অবিবাহিত, বিবাহিত, বিধবা, বিপত্নীক ছাড়াও স্বামী-স্ত্রী পৃথক বসবাস, তালাকপ্রাপ্ত, বিয়েবিচ্ছেদের তথ্যসহ সর্বমোট ১৫ ধরনের তথ্য সরবরাহ করতে অভিভাবকদের নির্দেশ দেন।

১৮ বছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সব ধরনের সেবা ইউনিক আইডির মাধ্যমে পাবে বলে নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। একজন শিক্ষার্থীর সব ধরনের সেবা, যেমন— বই নেয়া থেকে শুরু করে ফল প্রকাশ, রেজিস্ট্রেশন, বৃত্তি-উপবৃত্তির অর্থ নেয়া অর্থাৎ যত ধরনের নাগরিক সেবা আছে সবই দেয়া হবে এই আইডির মাধ্যমে। 
আর যখন শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তখন নির্বাচন কমিশন সচিবালয় তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে এই ইউনিক আইডিই জাতীয় পরিচয়পত্রে রূপান্তর করবে। 

ইউনিক আইডি সংক্রান্ত কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ‘স্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (আইইআইএমএস) প্রকল্পের পরিচালক  মো. শামসুল আলম আমার সংবাদকে জানান, ‘বিজয়ের মাসেই কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর হাতে ইউনিক আইডি তুলে দিতে পারব। আগামী ২৭ নভেম্বর শেষ হবে ইউনিক আইডির ফরম পূরণের কার্যক্রম। এরপর ডাটা এন্ট্রি দেয়া হবে। কারিগরি কিছু ত্রুটির জন্য সঠিক সময়ে সেবা দিতে পারা নিয়ে কিছুটা সংশয় থাকলেও আশা করছি খুব দ্রুত সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে এবং আগামী বছরের শুরুতেই পর্যায়ক্রমে এক কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে ইউনিক আইডি তুলে দেয়া সম্ভব হবে। কিউআর কোডযুক্ত ইউনিক আইডি সংক্রান্ত বিষয়ে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের হস্তক্ষেপ বা সম্পৃক্ততা না থাকায় তথ্য পাচার হওয়ার কোনো ঝুঁকি থাকছে না বলেও জানান তিনি।