Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

কোন পথে খালেদার মুক্তি

ডিসেম্বর ১, ২০২১, ০৫:৩৫ পিএম


কোন পথে খালেদার মুক্তি
  • সর্বশেষ পরিস্থিতি কূটনীতিকদের অবহিত করলো সরকার 
  • মানবিকতার পরিচয় দেবেন শেখ হাসিনা —বলছেন অনেকে 
  • ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের লোভে বিএনপিতে নীরব ও নরম কর্মসূচি 
  • চিকিৎসা নিয়ে বিএমএ ও ড্যাবের পাল্টা অভিযোগ 
  • সূক্ষ্ম দৃষ্টি রাখছে সরকার, শেষ সময়ে দিতে পারে ছাড়  
  • মুক্তি দাবিতে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে বিএনপি

দেশের চোখ সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দিকে। তিনবার রক্তক্ষরণের পর মঙ্গলবার চতুর্থবার রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিন্তার ভাঁজ বিএনপিসহ ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলেও। সমপ্রতি দেশের কূটনীতিক পাড়াও খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছে সরকারের কাছে।

বিএনপি যেকোনো মূল্যে খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে চায়, অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল বলছে, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে কিংবা দেশের বাইরে থেকে যেকোনো চিকিৎসক নিয়ে আসতে— প্রয়োজনে সরকার সহযোগিতা করবে। মুক্তির জন্য এখন বাকি শেখ হাসিনার মানবতার চূড়ান্ত উদাহরণ। দিন শেষে সেদিকেই নজর দেশের বেশির ভাগ মানুষের। দুই রাজনৈতিক দলেই চলছে নানান যুক্তি ও হিসাব-নিকাশ। 

সমপ্রতি খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সংবাদ সম্মেলনের পর খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ‘বাংলাদেশেই সম্ভব’ বলে বিবৃতি দেয় ডাক্তারদের সংগঠন বিএমএ। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় (ড্যাব) নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন,  বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) নেতারা যে ভাষায় বিবৃতি দিয়েছেন তা সরকারেরই বক্তব্য।

এদিকে চলছে এ নিয়ে বিএনপির কর্মসূচি। খালেদা জিয়াকে বন্দি অবস্থায় রেখে সংসদে যাওয়া সদস্যরাও ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে আলাদাভাবে মুক্তির জন্য দাবি জানিয়েছেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের পাঁচটি শরিক দল সরকারের প্রতিনিধির সাথে দেখা করে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়েছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে করেছে মানববন্ধন। 

পল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সকল জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি কর্মসূচি পালন করেছে। পালন করছে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচিও। ২৫ নভেম্বর  ঢাকাসহ দেশব্যাপী সমাবেশ করেছে, ২৬ নভেম্বর  রাজধানীসহ সারা দেশে বাদ জুমা মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়েছে। 

এছাড়া একই দিন মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ে প্রার্থনা করেছে দলটি। ২৮ নভেম্বর  জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে রাজধানীসহ দেশব্যাপী সমাবেশ করেছে, ৩০ নভেম্বর বিএনপির উদ্যোগে ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিভাগীয় সদরে সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হয়েছে, গতকাল ১ ডিসেম্বর  জাতীয়তাবাদী মহিলা উদ্যোগে মৌন মিছিল করা হয়েছে, আজ ২ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি রয়েছে, আগামীকাল ৩ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে রাজধানীসহ সারা দেশে সমাবেশ করবে, সর্বশেষে ৪ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে সমাবেশ রয়েছে। 

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আগামী ৬ ডিসেম্বর সমাবেশ করবেন উপজেলা পরিষদে বিএনপিপন্থি সাবেক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরা। গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের এ কর্মসূচির কথা জানান সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভালো নেই খালেদা জিয়া। এখনো পারছেন না মুখে কিছু খেতে। স্যালাইনেই বেঁচে আছেন। নড়াচড়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধীরে ধীরে, ইশারায় মাঝে মধ্যে শব্দ করার চেষ্টা করছেন। হয়েছে রক্তবমি। গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে হিমোগ্লোবিন কমে যায়। সেই থেকে উন্নতি নেই। অবনতির কথাই বলছেন চিকিৎসকরা। তার শারীরিক জটিলতাগুলো শুধু বাড়ছেই। লিভার ও কিডনি পরিস্থিতি নিয়ে পেরেশানিতে চিকিৎসকরা। এখন শেষ ভরসা বিদেশের হাসপাতালে ‘অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট’। অন্যথায় নতুন জীবনে ফেরা নিয়ে অন্য কোনো পথ দেখছেন না চিকিৎসকরা। 

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা নভেম্বর ২৮ জরুরি এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা নিয়ে আমরা খুব অসহায় বোধ করছি। ওনার সিরিয়াস বিষয়টা আমরা পরিবারকে জানিয়েছি। আপনারা যত দ্রুত পারেন তাকে দেশের বাইরে নেয়ার ব্যবস্থা করেন। কারণ টানা তিন দিন ওনার ব্লিডিং হয়েছে। এখন একটা পর্যায়ে ব্লিডিংটা বন্ধ আছে। খালেদা জিয়ার ব্লিডিং আবার হতে পারে এটাই স্বাভাবিক। চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা অসহায় বোধ করছি। একটা সময় আসতে পারে তাকে আর স্থানান্তরিত করাও যাবে না। 

এমন পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়াকে নিয়ে দেশে বড় একটা জনমত তৈরি হয়েছে। দেশের সব অঙ্গন থেকেই বিদেশ পাঠানোর সুযোগ দিতে দাবি উঠেছে। বিএনপিও কর্মসূচি ঘোষণা করে মাঠে রয়েছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে সরকারের মধ্যেও। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতারাও খালেদা বিষয়ে মুখ খুলছেন। গত ১৭  নভেম্বর  রাতে খালেদা জিয়ার মৃত্যু গুজবের পর সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়। তখন থেকেই শুধু দেশে নয়, বিশ্বব্যাপী নজরে রয়েছে বলেও মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। 

নির্ভরযোগ্য সূত্রের ভাষ্য, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতিতে সরকারও চিন্তিত। বিদেশ পাঠাতে নমনীয়তার ইঙ্গিত রয়েছে। খালেদা জিয়ার দুর্ঘটনার দায় গ্রহণ করতে চাইবে না আওয়ামী লীগ। এ জন্য ভাবা হচ্ছে এবং সব দিক বিচার-বিশ্লেষণ করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে হলে কী আইনি প্রক্রিয়া আছে তা খতিয়ে দেখতে আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে পরামর্শ পেলে এবং খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে চিকিৎসকদের মতামত পেলে এ বিষয়ে নমনীয় হতে পারে সরকার। 

বিদেশ যেতে দেয়া হবে না কোনো বাধা। প্রধানমন্ত্রীও শেষ সময়ে মানবিকতার উদাহরণ রাখতে চান। দেশ-বিদেশের পরিস্থিতি আগ থেকেই আঁচ করার চেষ্টা করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। খালেদা জিয়ার পুরো বিষয়টি সরকার গভীর গুরুত্বের সাথে দেখছে। যদি মারাত্মক অবনতির দিকে যায় তাহলে সরকার শেষ সময়ে ছাড় দেবে। বিদেশ যেতে এমনই মত আওয়ামী ঘরের নীতিনির্ধারকদের। খালেদা জিয়ার চলমান অবস্থা ও সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ নজর রেখেছে। 

আইনজীবী ও চিকিৎসকের সাথে সরকার সব ধরনের পরিস্থিতির খবর রাখছে। আইনি ও সম্ভাব্য পরিস্থিতি উপলব্ধি করে সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে ভাবছে বলেই মত একাধিক সূত্রের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিকতার উদাহরণ রাখবেন। খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করতে সুযোগ করে দেবেন। এমনই ভাষ্য রাজনীতি বিষয়ে চোখ রাখা সংশ্লিষ্টদের। 

গত সোমবার ঢাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা এবং অন্যান্য সমসাময়িক বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাই কমিশনারদের ব্রিফ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি  বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি বাংলাদেশের যেকোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারেন। 

প্রয়োজন হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনা যাবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলে তাকে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

এদিকে বিএনপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিএনপির বড় অংশ বলছে— খালেদা জিয়া কার? নেত্রী পারিবারিক ইস্যু নিয়ে সাজা খাটছেন নাকি দলীয় ইস্যু নিয়ে? যদি দলীয় ইস্যুতে বা রাজনৈতিক ইস্যুতে খালেদা জিয়ার সাজা হয় ও বিদেশ যাত্রার পথ কঠিন হয় তাহলে মুক্তির দায়িত্ব কেন পরিবারের হাতে। গত ১৫ নভেম্বর সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে পুনরায় পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। 

শুরুতে বিষয়টি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মিডিয়া উইং ও হাইকমান্ডের কেউ স্বীকার করেননি। কিন্তু একদিন পর ঠিকই মুখ খুলেছেন। আবেদন নিয়ে এমন লুকোচুরিকেও মাঠ পর্যায়ের নেতারা সন্দেহের চোখে দেখছেন। আসলে আদৌ কী বিএনপির হাইকমান্ড খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় নাকি পর্দার আড়ালে খালেদা বিষয়টি এভাবে ঝুলিয়ে রেখে নেত্রীকে মাইনাস করতে চায়। খালেদাপন্থিরা বলছেন, দলে এখন খালেদা জিয়ার অবস্থান বইয়ের শেষ পৃষ্ঠার মতো। 

প্রথমে বিএনপির কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে— কয়েকটি দেশকে সন্তুষ্ট রাখা, সমঝোতার রাজনীতি ও আগামী নির্বাচন। দলের বড় একটি অংশ থেকে অভিযোগ উঠেছে, কারাবন্দি হয়ে খালেদা জিয়া বিএনপির নেতৃত্বের বাইরে থাকায় সংস্কারবাদী-বামপন্থি নেতারা বিএনপিতে কৌশলে তাদের বীজ বপন করছেন। এতে করে বিএনপি চলে যাচ্ছে জনগণের বাইরে, দলের মূল চরিত্র থেকে দূরে।

খালেদাপন্থিদের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র আমার সংবাদকে জানায়, খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর ও নির্বাচনের আগ থেকেই বিএনপির নেতৃত্ব বাম রাজনীতির কৌশলে চলছে। পাশের একটি দেশ, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বিজনেস পলিসির জন্য বিএনপিতে বাম রাজনীতির আদর্শ তৈরি করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের লোভে দলের বড় একটি অংশ খালেদা জিয়ার মুক্তিতেও নীরব রয়েছে। 

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মেয়ে মাহমুদা খানম ভাসানী এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করে  জানান, বেগম জিয়া কথা বলতে পারছেন, তবে খুব ধীরে ধীরে। তিনি খুবই দুর্বল। তার সাথে কথা বলার সময় তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে বিদেশে পাঠিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সেই হিসেবে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমা করে দিলেই তো তিনি বিদেশে যেতে পারেন।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কেন সরকার তাকে যেতে দিতে চায় না? তারা আইনের কথা বলে, এই আইনের মধ্যেই বলা আছে— ইচ্ছে করলে সরকার অবশ্যই তাকে বিদেশে যেতে দিতে পারে। বাধা আইন নয়, বাধা হচ্ছে এই সরকার। খালেদা জিয়ার অঘটন হলে  দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগ সরকারের, শেখ হাসিনা সরকারের। দায় সব আপনাদেরকে বহন করতে হবে।’

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে সচল রাখতে তারা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর চেয়ে বেশি কিছু করার মতো সমন্বিত মাল্টি ফ্যাসিলিটেড চিকিৎসাকেন্দ্র বাংলাদেশে নেই। তাই যত দ্রুত সম্ভব খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা প্রতিনিয়ত তাকে পর্যবেক্ষণ করছি। সামনের কয়েকটি দিন তার জন্য খুব ক্রিটিক্যাল। 

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘খালেদা জিয়া একজন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও একজন নারী। তার শারীরিক যে অবস্থা বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে— তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এখন আবশ্যক। যদিও তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত, এটি অবশ্যই মাবতার ঊর্ধ্বে নয়। 

আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এটি অবশ্যই সমাধানযোগ্য। রাজপথে আন্দোলন করে এর সমাধান করা যাবে না। আমি দেশের একজন নাগরিক হিসেবে চাইবো সরকার অবশ্যই রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দেবে। কারণ, আমি জানি না খালেদা জিয়ার কোনো অঘটন ঘটে গেলে সরকার এটি ইতিবাচক হিসেবে নিয়ে দায় এড়াতে পারবেন কি-না।