Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

চালু হচ্ছে ই-হজ ব্যবস্থাপনা

আমিরুল ইসলাম

জানুয়ারি ২৬, ২০২২, ০৭:২০ পিএম


চালু হচ্ছে ই-হজ ব্যবস্থাপনা

আগামী দিনে হজ ও ওমরার সব কাজ অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে। অর্থাৎ ম্যানুয়ালি আর হজ এবং ওমরাহ করার সুযোগ থাকছে না। সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা হজে যাবেন, তারা নির্ধারিত স্থানে এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা যাবেন তারা সরকারি নির্ধারিত হজ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করবেন। 

সরকার ঘোষিত সময়ে যারা নিবন্ধন করতে পারবেন না তাদের প্রাক-নিবন্ধনের মেয়াদ এক বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। হজযাত্রীরা প্রাক-নিবন্ধন, নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ, টিকা, ভিসা, ফ্লাইটের সময়-তারিখসহ যাবতীয় তথ্যাদি এসএমএসের মাধ্যমে পাবেন। প্রত্যেক হাজির জন্য ই-হেলথ প্রোফাইল করা হবে। 

সৌদি সরকারের সাথে চুক্তির আলোকে সরকার প্রতি বছর সরকারি ও বেসরকারি হজ কোটা নির্ধারণ করবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রতি বছর বৈধ হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করবে। ফলে অনিবন্ধিত এজেন্সিতে হাজিদের লেনদেন বন্ধ হবে। তারা প্রতারণার হাত থেকে বেঁচে যাবে। জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিমালার খসড়া থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এই বিধিমালা প্রণয়ন করে তার ওপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত নেয়া হচ্ছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, ‘বিধিমালা তৈরির কাজ চলমান। আমরা সবার পরামর্শ নিয়ে এটি প্রণয়নের চেষ্টা করছি।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘আগে নীতিমালায় হজ ব্যবস্থাপনা করা হতো। এখন আইনের অধীনে বিধিমালা হচ্ছে। সরকারি খরচে কাউকে ওমরার জন্য পাঠানো হয় না বলেও তিনি জানান। 

সরকারি খরচে হজ করানোর  ক্ষেত্রে ব্যক্তি নির্বাচনে অস্বচ্ছতা বিষয়ে তিনি বলেন, যতটুকু পারব এড়ানোর চেষ্টা থাকবে। সব কিছু চাইলেও করা সম্ভব হয় না। 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মতিউল ইসলাম বলেন, যারা প্রশাসনিক টিমে যাবেন, তারা তো হজে যাচ্ছেন না। বলেই নেয়া হচ্ছে প্রশাসনিক কাজে তারা সহায়তা করবেন।  

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি বছর হজ ব্যবস্থাপনায় নতুন এ বিধিমালা কার্যকর হবে।প্রতি বছর সরকার কিছু সংখ্যক অসচ্ছল ব্যক্তিকে সরকারি খরচে হজ পালনের সুযোগ দেবে। বিধিমালায় এর কোনো সংখ্যা নির্ধরণ করা হয়নি। তারা সরকার ঘোষিত সর্বনিম্ন খরচে হজ পালন করবেন। ওই সময় তারা কোনো টিএ বা ডিএ পাবেন না। 

তবে আমাদের দেশে এই কোটায় সচ্ছল রাজনীতিবিদ, উচ্চপদস্থ্থ সরকারি কর্মকর্তা, প্রভাবশালী ব্যক্তিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ হজ করছেন। যা নিয়ে বিগত দিনে নানান প্রশ্ন ছিল। এই বিধিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পর আগের ন্যায় স্বচ্ছ ব্যক্তিরা অসচ্ছল কোটায় হজে যাবেন কি-না তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়া বিধিমালায় এই কোটাসহ সরকারিভাবে একজন ব্যক্তি জীবনে একবার  হজ করতে পারবেন। একবারের বেশি নয়। কিন্তু ওমরাহ কতবার করতে পারবেন তা উল্লেখ করা হয়নি।   

হজের আনুষ্ঠানিকতার শেষ তারিখ থেকে পরবর্তী ছয়মাস পাসপোর্টের মেয়াদ থাকলে সেই ব্যক্তি চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। মহিলা হজ যাত্রীদের ক্ষেত্রে হজের সময় তার বা তাদের মাহরাম সঠিকভাবে উল্লেখ করে নিবন্ধন করতে হবে। কোনো এজেন্সি প্রাক-নিবন্ধন ফি ও জামানতের টাকা ছাড়া অন্য কোনো অর্থকড়ি নিতে পারবে না। প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনসহ যাতীয় ফি নির্দিষ্ট ব্যাংকে জমার সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাক-নিবন্ধন ক্রমিক বা শনাক্তকরণ প্রদান করবে। 

সরকারি-বেসরকারি প্রাক-নিবন্ধন ফি এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন ফি ধর্ম মন্ত্রণালয় নির্ধারিত লিড ব্যাংকে জমা দিতে হবে। প্রাক-নিবন্ধিত কোনো ব্যক্তি পরপর দুই বছর নিবন্ধন না করলে তা প্রাক-নিবন্ধন বাতিল হবে। 

বেসরকারিভাবে হজ এবং ওমরাহ গমনেচ্ছুক কোনো ব্যক্তি সরকার অনুমোদিত যেকোনো এজেন্সির সাথে আর্থিক লেনদেন করে নিজ নামে অর্থ প্রদানের রশিদ গ্রহণ করতে পারবেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ যেকোনো দৈবপাকের কারণে হজ এবং ওমরায় যেতে না পারলে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে তার অর্থ ফেরত নিতে পারবেন।
 
ঢাকা হজ অফিসের কাজ হলো তারা মৌসুম শুরুর আগেই হাজী ক্যাম্প প্রস্তুত, সৌদি আরব যাত্রার প্রাক্কালে হাজীদের আবাসন, হজযাত্রীদের মধ্যে হজসামগ্রী বিতরণ, সরকারি ব্যবস্থাপনার যাত্রীদের পাসপোর্ট ও ব্যাংকের নিবন্ধন সনদ, হজ ভিসা, ই-সিস্টেমে বেসরকারি হজ এজেন্সি থেকে আবাসন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে। 

এছাড়া হজযাত্রীদের টিকা প্রদান, বিমানবন্দর ব্যবহার, বিমানে আরোহণ, সৌদি আরব অবস্থান ও ভ্রমণ ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য হজ ক্যাম্পে ডিজিটাল সিপ্লে বোর্ডের ব্যবস্থা করবে। হজ সমাপ্ত হওয়ার পর সামগ্রিক হজ ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশাসনিক ও চিকিৎসক দলের সাফল্য ও ব্যর্থতা নিরুপণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করবে মক্কা, মদিনা ও জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ হজ অফিস। সরকারি ব্যবস্থাপনার হাজীদের জন্য মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ও হোটেল ভাড়ার চুক্তিপত্র এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রমজান মাসের আগেই ঢাকা হজ অফিসে পাঠাতে হবে। 

এজেন্সির অফিসের বিষয়ে বলা হয়েছে, একই ঠিকানায় একটি অফিস স্পেস ব্যবহার করে একাধিক হজ ও ওমরাহ এজেন্সি পরিচালনা করা যাবে না। কমপক্ষে ৪০০ বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট অফিস ও প্রয়োজনীয় জনবল থাকতে হবে। হজ ওমরার এজেন্সিতে টেলিফোন, মোবাইল নম্বর, ইমেইল, অনলাইল রিজার্ভেশন সিস্টেমসহ যাবতীয় আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা থাকতে হবে। 

হজের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য হজ শুরু ১০ দিন আগে একটি প্রতিনিধি দল সৌদি আরব যাবেন এবং হজের প্রথম ফ্লাইট শুরুর আগে দেশে ফিরে পরিদর্শন প্রতিবেদন ধর্ম সচিবের কাছে পেশ করবেন। 

এছাড়া সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনা তত্ত্বাবধান এবং সৌদি সরকারের সাথে মতবিনিময় করার জন্য ধর্মমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে সর্বোচ্চ ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সৌদি আরবে ১৫ দিন এবং মন্ত্রী-সচিবের নেতৃত্বে ভ্রমণদল প্রয়োজনে ২০ দিন অবস্থান করতে পারবেন। প্রতি দুই হাজার ৫০০ জন হাজির জন্য একজন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে হজ প্রশাসনিক দলে নিয়োগ দেয়া হবে। 

যে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে নেয়া হবে সেগুলো হলো— রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, অর্থ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা বিভাগ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ধর্ম ছাড়া অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হবেন সর্বোচ্চ উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা। ওই সব মন্ত্রণালয় ছাড়া অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকে ভবিষ্যতে কখনো হজ প্রশাসনিক টিমে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নেয়া হবে কি-না সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বিধিমালায়। 

তাদের চাকরি তখন ধর্ম মন্ত্রণালযের আওতায় থাকবে। দায়িত্ব পালনকালে হজ প্রশাসনিক দলের কোনো সদস্য স্ত্রী, সন্তান কিংবা পরিবার পরিজন আত্মীয়দের সাথে রাখতে পারবেন না। তাদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। হজ প্রশাসনিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে হজ পরবর্তী সময় মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বিরূপ মন্তব্য থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করবে ধর্ম মন্ত্রণালয়। 

তবে অপরাধের ধরন কিংবা অপরাধ চিহ্নিত করে প্রয়োজনে দেওয়ানি কিংবা ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ থাকা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে। প্রতি এক হাজার জন হাজির জন্য একজন চিকিৎসক অনুপাতে হজ চিকিৎসা টিম গঠিত হবে। 

এছাড়া টিমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেবক-সেবিকা, ফার্মাসিস্ট এবং প্যারামেডিক থাকবে। হজ চিকিৎসক দলের যে সব সদস্যের নামে আগে হজ করবেন না লেখা থাকবে তারা হজের দিনগুলোতে মক্কায় মেডিকেল ক্লিনিকে অবস্থান করবেন। 

তারা ৮ থেকে ২০ জিলহজ পর্যন্ত প্রতিদিন তিন শিফটে বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ হাজিদের খোঁজ খবর নেবেন। তারা বাংলাদেশে নিজ নিজ কর্মস্থলে বেতন-ভাতা পাবেন এবং সর্বোচ্চ ৪২ দিন সৌদি আরবে অবস্থান করতে পারবেন। দেশে ফেরার পর তাদের পাওনাদি ধর্মমন্ত্রণালয় নির্ধারণ ও পরিশোধ করবে।

হজ গাইড নিয়োগ : ৪৪ জন হজযাত্রীর জন্য একজন হজ গাইড নিয়োগ দেয়া হবে। হজ এজেন্সির মালিক, অংশীদার, এজেন্ট বা মোনাজ্জেমদের হজ গাইড হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে না। আগে হজের অভিজ্ঞতা, কারিগরি জ্ঞানে দক্ষ এবং শরিয়তের বিধান মোতাবেক জীবন যাপনে অভ্যস্ত ব্যক্তি হজ গাইড হিসেবে নিয়োগে অগ্রাধিকার পাবেন। হজ গাইডের বয়স ৪০ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হবে। দেশের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়, কামিল, ফাজিল, দাওরায়ে হাদিস, স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন। 

হজ গাইডকে ২৫ জন হজযাত্রীর তথ্য সংগ্রহ করার এবং ৪৪ জন হজযাত্রীর অনাপত্তিপত্র গ্রহণ করতে হবে। এজেন্সি মালিক, অংশীদার এজেন্ট হজ গাইড হতে পারবেন না। কুরআর তিলাওয়াত, আরবি ভাষায় পারদর্শীরা, শরিয়াহ ও সুন্নাহ অনুসারী এবং মোবাইল অ্যাপসে পারদর্শীদের আগ্রাধিকার দেয়া হবে। হজ প্রশাসনিক সহায়তাকারী টিমে ১০ থেকে ১৩তম গ্রেডের কর্মকর্তারা নিয়োগ পাবেন। এই টিমের সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ১৫ জন। 

তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে এই বিধান শিথিলযোগ্য। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ধর্ম মন্ত্রণালয় ওই গ্রেডের আগে-পরের গ্রেডের কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীদের হজ টিমে পাঠানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। হজ চিকিৎসক সহায়তাকারী দলে যাবেন ১৪ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা। এখানেও প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের এই কোটায় উপরের পদবির কর্তাদের যাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। 

অনিয়ম  অসদাচরণ :  হজ আইনের ১২ ধারা মোতাবেক  হজের প্যাকেজ গোষণা না করা কিংবা ঘোষিত প্যাকেজ মোতোবেক  সেবা প্রদান না করা। হজ কিংবা ওমরাহ যাত্রীর সাথে চুক্তি না করা, হজ বা ওমরাহ কাজে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে সহযোগিতা না করা, যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজ বা ওমরাহ যাত্রীদের প্রেরণ বা প্রত্যাবর্তন না করা। হাজীদের সাথে প্রতারণা করা। হজ বা ওমরাহ বিষয়ে সরকারের সাথে সম্পাদিত চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করা। তবে এখানে আংশিক না পুরোচুক্তির শর্ত ভঙ্গ বোঝানো হয়েছে তার কোনো বর্ণনা নেই। 

যিনি হজের জন্য প্রাক-কিংবা চূড়ান্ত নিবন্ধনই করেননি অথচ তাকে হজে পাঠানোর হয়েছে এমন  ঘটনা ঘটলে. হাজিদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সেবা প্রদানে ব্যর্থ হলে, হজ এজেন্সির কোনো কর্মচারী অপরাধ করলে তা এজেন্সির অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।’ 

হজ ও ওমরাহ শেষে হওয়ার পর তিন মাসের মধ্যে হজ যাত্রী বা যাত্রীরা অনিয়ম, অসদাচরণগুলোর বর্ণনা তুলে ধরে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। তবে তিন মাস পর অভিযোগ করা হলে তা আর গ্রহণ করা হবে না। 

হজ ব্যবস্থানার জন্য একটি আপদকালীন ফান্ড থাকবে। মৃত্যু, অসুস্থতা, দুর্ঘটনার কারণে কোনো সৌদি আরবে যাওয়া অসম্ভব হলে তার বিমান ভাড়া, খাওয়া, আবাসনের জমা দেয়া  অব্যয়িত অর্থ তাকে ফেরত দিতে হবে। প্রাক-নিবন্ধন ফি বাবদ তিন হাজার, এজেন্সি সার্ভিস দুই হাজার টাকা কর্তন করা হবে।