Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

ভাইরাসের বিশ্বায়ন ও পরিবর্তিত বিশ্ব

জুন ১৩, ২০২০, ০৪:৫৯ এএম


ভাইরাসের বিশ্বায়ন ও পরিবর্তিত বিশ্ব

করোনা মহামারিতে বিশ্ব এক সংকটকাল অতিক্রম করছে। মৃত্যুর পাশাপাশি জীবনের নানা হিসাব-নিকাশও আবার নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে। সংকট মোকাবিলায় বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর যখন নাজেহাল অবস্থা তখন এর ছাপ পড়ছে উৎপাদন ব্যবস্থা, বাজারব্যবস্থা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ওপরও।

ফলে বার্লিন দেয়াল পতনের পরবর্তী সময়ের মতো করোনাসংকট পরবর্তী বিশ্বের চিত্রপট আমাদের সামনে বেশকিছুটা পরিবর্তিতরূপেই হাজির হবে। বিশ্বের বর্তমান জীবিত প্রজন্ম এ রকম সর্বগ্রাসী বৈশ্বিক দুর্যোগ আর দেখেনি। প্রতিদিনই কোভিড-১৯ ক্ষয়ক্ষতির চমক দেখাচ্ছে।

এর শেষ কোথায়, আমরা কেউই জানি না। প্রাথমিকভাবে মনে হয়নি চীন এত দ্রুত ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তবুও মনে হয়নি, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় বিপর্যয় এত ব্যাপক হবে। তুলনামূলকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা ছিলো ওইসব অঞ্চল।

অথচ সেখানেই অস্তিত্বের সংকট তীব্র রূপ নিয়েছে। ইরানে সংক্রমণের ব্যাপকতারও কোনো উত্তর মেলেনি আজও। এটুকুই কেবল বোঝা গেলো, যেসব দেশ ও সরকার আগে আগে সততার সঙ্গে সমস্যার রূঢ়তা চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ মাত্রায় সক্রিয় হয়েছে, তারা ভাইরাসের আগ্রাসন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনেছে। অন্যত্র ঘটেছে উল্টো। করোনার ক্ষয়ক্ষতি হলো চলতি দুর্যোগের মাত্র প্রথম পাঠ। ধাপে ধাপে এর পরের অধ্যায়গুলোও হাজির হতে থাকবে।

ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী এই শিক্ষা হয়েছে, মানবজাতির একাংশকে বিশুদ্ধ পানি ও ন্যূনতম স্যানিটেশন সুবিধাবঞ্চিত রেখে অন্যত্র সুস্বাস্থ্যের স্বর্গ বানানো যায় না। আমেরিকা, ব্রিটেনসহ বিশ্বের মুরব্বি দেশগুলোর নেতারা করোনাকালে বিশ্বকে মোটেই নেতৃত্ব দিতে পারেননি। তাদের তরফ থেকে এমন একটি বাক্যও পাওয়া যায়নি, যা বিশ্ববাসীকে আশ্বস্ত করতে পারে। এটা বৈশ্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের পালাবদলের তাগিদ দিচ্ছে ভবিষ্যৎকে।

অতীত মহামারির ইতিহাসেও এমন দৃষ্টান্ত আছে— অভিভাবকসুলভ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়ে বহু রাজত্ব নুয়ে পড়েছিল। তবে সব মহামারির শিক্ষা এক রকম নয়। এটাও অতীতেরই শিক্ষা আপাতত যা দেখা গেলো, যুক্তরাষ্ট্র সময়মতো নিজের অনেক নাগরিকের ভাইরাস টেস্ট করাতে পারেনি, পাশাপাশি নিজেও বৈশ্বিক ‘গভর্ন্যান্স-টেস্টে’ এত দিনকার অবস্থান হারিয়েছে। দেশটির ডাকে ইউরোপ যুগের পর যুগ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধে শরিক হয়েছে।

অথচ ভাইরাস হানা দেয়ামাত্র ওয়াশিংটন কোনো ধরনের মতবিনিময় ছাড়াই ঘনিষ্ঠ মিত্র ইউরোপের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বাকি বিশ্বের জন্যও কোনো দায় বোধ করতে দেখা যায়নি দেশটির প্রেসিডেন্টকে।

এ পরিস্থিতি যেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে ‘স্প্যানিশ-ফ্লু’র কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সেই দুর্যোগে অস্ট্রিয়া আর জার্মানি শক্তিমত্তা হারিয়ে উত্থান ঘটেছিল ব্রিটেন ও ফ্রান্সের। তবে মহামারি কেবল রাজনীতিতে নয়, নাটকীয় পরিবর্তন আনে অর্থনীতিতেও। স্প্যানিশ-ফ্লুর পরই বিশ্বজুড়ে ফ্যাক্টরির ক্ষুধা মেটাতে নারীরা কাজে নেমেছিল।

কোভিড-১৯ কী কী করবে, আমরা এখনো সামান্যই জানি তার। ডলার-পাউন্ড পকেটে নিয়ে পণ্য না পাওয়ার অভিজ্ঞতা উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক নাগরিকের জন্য জীবনে এই প্রথম। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সীমান্ত বন্ধ এবং জরুরি অবস্থার মতো ঘটনা। বিশ্বজুড়ে সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়েছে।

কিন্তু অর্থনৈতিক গোলকায়নের জন্য এ রকম অবস্থা দীর্ঘ মেয়াদে বিপর্যয়কর। বড় ধরনের মন্দার মুখে পড়েছে সমগ্র বিশ্ব। সব দেশেই ব্যবসায়ীরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রণোদনার জন্য মরিয়া হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। কেউ চাইছেন নগদ সহায়তা, কেউ কর মওকুফ। পরিস্থিতি অভূতপূর্ব।

ফলে তা অভূতপূর্ব সমাধান চিন্তাই দাবি করছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রীরা অধিকাংশ দেশেই হতবিহ্বল অবস্থায় আছেন। রাষ্ট্রগুলো মদদ চাইছে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবির কাছে। এত দিনকার ‘সিস্টেম’-এর ত্রুটির দিকে কেউই অঙ্গুলি নির্দেশ করতে চাইছে না। কেন কথিত মধ্যম আয়ের একটা দেশ তার প্রধান সরকারি হাসপাতালেও পর্যাপ্ত মাস্ক দিতে পারেনি, সে নিয়ে ইতোমধ্যে গভীর প্রশ্ন উঠছে। এটা একটা কাঠামোগত সংকটই বটে।

বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য, প্রকৃতি ও পরিবেশকে অগ্রাহ্য করে কেবল পুঁজির স্বার্থ দেখার দীর্ঘ ঐতিহ্য এবার কেবল নৈতিকভাবেই নয়, কার্যকারিতার দিক থেকেও চ্যালেঞ্জে পড়েছে। মানুষের শরীর-স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিবেচনাকে বাদ দিয়ে যে কারখানা চালু রাখা যায় না, চীনে সপ্তাহের পর সপ্তাহ বন্ধঘোষিত শত শত কারখানা তার সাক্ষ্য হলো। কোভিড-১৯ থেকে বাঁচতে মাস্কপরা মানুষ উপলব্ধি করছে— তার এত দিনের উন্নয়নচিন্তায় বিশুদ্ধ পানি ও বিশুদ্ধ বাতাসের বিষয়টি বাদ পড়ে গিয়েছিল।

যে কারণে, কোনো এক ভাইরাস মানব প্রজাতিকে আক্রমণ করেছে বলার চেয়ে পুঁজিতন্ত্র মানবজীবনকে বিপদে ফেলেছে কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে। করোনা যখনই বিদায় নিক, করোনা বিশ্বায়ন ধারণাকে নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে যাবে। করোনা দেখিয়েছে, এত দিনকার বিশ্বায়ন টেকসই নয়। এই বিশ্বায়নের কেন্দ্রে ছিলো বাণিজ্যিক স্বার্থ, রাজনৈতিক যৌথতা নয়।

করোনা বিশ্বায়নের অন্ধকার অংশে আলো ফেলে দিয়েছে। করোনার সংক্রমণে রাষ্ট্রগুলো যেভাবে নিজ নিজ সীমান্ত নিয়ে সচেতন হয়ে গেলো, তাতে স্পষ্ট, রাষ্ট্র উবে যাওয়ার প্রচারণা আর এগোবে না। খোদ ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন’ও এককভাবে এবার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি; বরং ইউনিয়নভুক্তরা একে অপরের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করার চেষ্টায় ছিলো কঠোরভাবে। ইতোমধ্যে এ প্রবণতাকে ‘করোনা-জাতীয়তাবাদ’ বলা শুরু হয়েছে।

এর আরও গোছানো রূপ দেখতে শুরু করবো আমরা শিগগিরই। করোনাকালে আশপাশের দেশ থেকে কোনো সাহায্য না পেয়ে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিস ইউরোপীয় ঐক্যের ধারণাকে একটা ‘রূপকথা’ বলে অভিহিত করে শোরগোল তুলেছেন। ইতালিও এবারের দুর্যোগে ইইউ সদস্যদেশগুলো থেকে প্রত্যাশিত সহায়তা পায়নি।

এর একটা প্রতিক্রিয়া অনিবার্য ও আসন্ন। মনে হচ্ছে, ভবিষ্যতে বিশ্বজুড়ে কর্তৃত্বের কাঠামোগত ওলটপালট ঘটতে চলেছে। ফলে আঞ্চলিক মেরুকরণ বাড়বে। যেসব দেশে ফেডারেল ব্যবস্থা ছিলো, সেখানেও ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন বাড়ার তাগিদ তৈরি হবে। আন্তর্দেশীয় খোলামেলা সীমান্তগুলো আর আগের মতো থাকবে না। এসব প্রবণতা বিশ্বায়নের বিরুদ্ধেই যায়।

এটা একটা শূন্যতা। ভূরাজনীতিতে এই শূন্যতা কীভাবে পূরণ হবে, আমরা এখনই তার পুরোটা জানি না অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো সংস্থার আগে চীনের আলিবাবা আফ্রিকার ৫৪টি দেশে বিপুল পরিমাণ মাস্ক আর করোনা পরীক্ষার সরঞ্জাম পাঠিয়ে আপাতত তার দেশকে বৈশ্বিক নেতৃত্বে এগিয়ে রাখল।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের এত দিনকার বাণিজ্যযুদ্ধ করোনার পরে যে রাজনৈতিক যুদ্ধে রূপ নিতে চলেছে, তা ইতোমধ্যে স্পষ্ট। এই দুই দেশের ঠাণ্ডাযুদ্ধ করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার গতি কমিয়ে দেবে। এটা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা নৈরাজ্যকর অবস্থাও তৈরি করতে পারে।

অথচ এ মুহূর্তে আন্তর্জাতিক একটা স্বাস্থ্য অবকাঠামোর জরুরি চাহিদা দেখা দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আপাতত আত্মসমর্পণ বোধ হয় ভবিতব্য। কারণ, দেশটির অ্যান্টিবায়োটিক বাজারে চীনের হিস্যা ৯৫ শতাংশ। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের উদীয়মান দ্বন্দ্ব সাপ্লাই চেইনের শুরুর বিন্দুতে থাকা বড় বড় উৎপাদকের কিছু কিছু কারখানা এমন সব নিরাপদ স্থানে সরাতে বাধ্য করবে, যেখানে ওই দ্বন্দ্বের আঁচ লাগবে না।

এত দিন প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাকে যেভাবে দেখা হতো, এ ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আশা করা যায়। প্রতিটি সংকটই কিছু সম্ভাবনার দ্বারও খুলে দেয়। খাবারে মানুষের শুচিবায়ু বাড়ার সম্ভাবনা আছে এবার। ফলে অর্গানিক ফুডের বাজার চাঙা হয়ে উঠবে। বিশেষ করে যেসব খাবার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সেগুলোর দিকে মানুষের আগ্রহ বাড়বে। মাস্ক পরার চেয়েও শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকা যে অধিক জরুরি ছিলো, সেটা করোনা ভালোভাবেই জানিয়েছে।

ফলে ভোগের ধরন পাল্টাবে। জীবনযাপনের ধরনও। ‘লাইফস্টাইল’ জগতে তাই পরিবর্তন হবে ভূমিকম্পতুল্য। চীনে বন্যপ্রাণী খাওয়া বন্ধের মধ্য দিয়ে এর সূচনা হয়েছে বলা যায়। নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষায় শক্তিশালী অনেক দেশকে এবার মাস্ক ও সাধারণ মেডিকেল যন্ত্রপাতির জন্য অন্য দেশের দিকে হাত বাড়াতে হয়েছে।

এ শিক্ষা মনে রেখে গতানুগতিক ধাঁচের প্রতিরক্ষা বাজেটের কিছু অংশ স্বাস্থ্য শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতের সামর্থ্য বাড়াতে ব্যয় করবে অনেক দেশ। দৃশ্যমান শত্রুর বদলে অদৃশ্য শত্রু প্রতিটি দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে।

সুতরাং বিশ্বজুড়ে শত্রু-মিত্রের পুরানো ধারণাও পাল্টাতে বাধ্য। নাগরিকদের জাতীয় নিবন্ধনের মতোই অনলাইনের স্বাস্থ্যতথ্য সংরক্ষণ ভবিষ্যতে বাধ্যতামূলক হয়ে উঠবে অনেক অঞ্চলে।

একটা মিসাইল সংগ্রহের চেয়ে একজন ডাক্তার তৈরি যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সে সত্য বয়ে বেড়াচ্ছে করোনা-সাহিত্য। এর মধ্য দিয়ে সামরিক গৌরব অর্জনের চেয়ে কিউবার মতো জনস্বাস্থ্যের গৌরব প্রলুব্ধ করতে পারে নীতিনির্ধারকদের কাউকে কাউকে।

তবে করোনার আগে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয় যে প্রয়োজনীয় মনোযোগ পাচ্ছিল এবং তার মোকাবিলা যেভাবে মানবসমাজের অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছিল, সেই স্থানটি করে নিতে পারে এখন সরাসরি স্বাস্থ্য প্রশ্ন। এমনকি ব্যবসায়ীরাও সেই অর্থের বড় অংশ নিয়ে নিতে পারে।

ইউরোপের দেশগুলো ইতোমধ্যে শিল্প ও ব্যবসা খাতকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সহায়তার ঘোষণা দিচ্ছে। এ অবস্থা অ-রাষ্ট্রীয় পথে দরিদ্র দেশগুলোকে দেয়া ধনী দেশগুলোর সামাজিক সহায়তাও কমতে পারে কিছুকালের জন্য। আবার নতুন সাহায্য চলে যাবে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার প্রকল্পগুলোতে।

কোভিড-১৯-এর আগে ইউরোপ-আমেরিকা তার স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে গর্ব করত। তাদের একাংশ এখন ভাইরাস ছড়ানোর জন্য চীনসহ ‘বাইরের মানুষ’দের দায়ী করছে। এরকম মনোভাব ভবিষ্যতে সেখানে এশিয়া-আফ্রিকার মানুষদের ‘নোংরা অপর’ জ্ঞান করার প্রবণতা বাড়াতে পারে।

আবার নতুন ভ্যাকসিন উদ্ভাবনও শুরু হবে জোর কদমে। ভাইরাসের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বব্যাপী স্থল, নৌ ও আকাশযানের চলাচল ধারণাতীতভাবে কমায়-প্রকৃতিতে দূষণ কমেছে ব্যাপকভাবে।

এটা অন্য রোগ অনেক কমিয়ে আনতে পারে ভবিষ্যতে। পুরো গোলার্ধ্বে স্বাস্থ্য সচেতনতার একটা নতুন তরঙ্গ তুলেছে করোনা। এটাই সর্বশেষ এই মহামারি থেকে তাৎক্ষণিক সামাজিক লাভ।

পরিশেষে এও বলা যায়, বৃষ্টির পরই রংধনু ওঠে এবং রংধনুতে এক-দুটি নয়, থাকে অনেক রং। কিন্তু এই মৃত্যু-বৃষ্টি কবে থামবে, আমরা এখনো তা জানি না।

আবার কবে মানুষ উদ্বেগহীনভাবে আনন্দে অপরকে জড়িয়ে ধরবে, কবে মুখোশ খুলে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেবে সবাই, সে-ও অনুমান করা দুঃসাধ্য। এটা হতে পারে কয়েক মাস; বছরও। তবে নিশ্চিত যে, মানুষ আবারো উঠে দাঁড়াবে। নতুন অভিজ্ঞতায়, নতুনভাবে। প্রতিটি বড় বিপর্যয়ের পর এমন হয়েছে।

গবেষক ও কলাম লেখক

আমারসংবাদ/এআই