Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

অপরাধীদের বিরুদ্ধে তৎপরতা জরুরি

জুন ১৬, ২০২০, ০৭:৩৬ পিএম


অপরাধীদের বিরুদ্ধে তৎপরতা জরুরি

চুরি, ডাকাতি, হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের মতো সাধারণ অপরাধগুলোর সংঘটনের হার করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে অনেকটাই কমেছে। থানা পুলিশের পরিসংখ্যান থেকেই সেটা বোঝা যায়।

তবে ভিন্ন ধরনের আর্থিক অপরাধ বাড়ছে। পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে জানুয়ারি মাসে মামলার সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ছয়টি, ফেব্রুয়ারিতে তা কমে হয় ১৭ হাজার ৪৭২টি। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে।

ওই মাসে মামলা হয়েছে ১৭ হাজার ১৫০টি। এপ্রিলে মামলার সংখ্যা কমে হয় ৯ হাজার ৯৮টি এবং মে মাসে ১১ হাজার ৫০০টি মামলা হয়েছে। এটা সাধারণ অপরাধচিত্র। কিন্তু বাড়ছে ভিন্ন ধরনের আর্থিক অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বজুড়েই ঘটছে।

আর্থিক জালিয়াতি, অর্থপাচার ও আর্থিক প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে। এসব অপরাধের বেশির ভাগই সাইবার অপরাধ। এ ব্যাপারে এরইমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশকে সতর্ক করেছে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল।

আর্থিক অপরাধ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো ‘ফিন্যানশিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক ক্রাইম সেন্টার’ নামে নতুন ইউনিট গঠন করেছে।

আমাদের দেশে অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে জালিয়াতির বিষয়ে কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) খবরাখবর রাখছে।

তারা এপ্রিল মাসেই ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট নতুন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়ালেও বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়নি। সেটা থাকা উচিত।

কারণ অন্য অপরাধ প্রবণতায় ভাটা দেখা গেলেও আর্থিক অপরাধে করোনাকালে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। আর্থিক অপরাধের ঘটনাগুলো ডাকাতি, ছিনতাই, প্রতারণার মাধ্যমে ঘটছে; সাইবার মাধ্যমেও হচ্ছে।

গত ১ এপ্রিল থেকে ৩ জুন পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গাড়ি থেকে টাকা ছিনতাই, গুদামে চুরি, রিকশাযাত্রীর কাছ থেকে টাকা ছিনতাই, মোবাইল ফোনের দোকান, ল্যাপটপের দোকান, ওষুধের দোকান থেকে টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। টাকার জন্য শিশু অপহরণ ও হত্যার ঘটনাও ঘটেছে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। বিএফআইইউ প্রতিটি ব্যাংকে চিঠি দিয়ে ভুয়া দোকান, ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পেজ এবং ই-মেইল ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জালিয়াতির ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছে।

নতুন ও অভিনব কায়দায় ঘটমান আর্থিক অপরাধের ব্যাপারে তৎপর থাকতে হবে সংশ্লিষ্টদের। অপরাধীরা করোনার ভয় ও অনিশ্চয়তার অপব্যবহার করে নাগরিকদের প্রতারণা করছে।

তাই অপরিচিত ওয়েবসাইট ও ই-মেইলের তথ্যের ব্যাপারে সাধারণ মানুষ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লোকদের সতর্ক থাকতে হবে। বিনিয়োগের প্রস্তাব ও ভুয়া বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। আর সজাগ-সতর্ক থাকতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের।

আমারসংবাদ/এসটিএম